সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী করার দোয়া ও আমল

সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী করার দোয়া ও আমল-- সম্মানিত পাঠক বন্ধুরা, আসসালামু আলাইকুম, আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি নতুন টপিক। সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী করার দোয়া ও আমল, সম্পর্কে জানতে হলে আমার এই বাংলা পোস্টটি পড়বেন। আশা করছি অনেক কিছু জানতে পারবেন, সন্তানের সুস্থতার জন্য দোয়া।
সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী করার দোয়া ও আমল
এই পোস্টটিতে আরো থাকছে সন্তানের জন্য মা-বাবার দোয়া, সন্তানের রোগ মুক্তির জন্য দোয়া। অবাধ্য সন্তানের জন্য দোয়া। তাহলে চলুন দেরি না করে, জেনে নেওয়া যাক সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী করার দোয়া ও আমল সম্পর্কে। এরকম নতুন নতুন টিপস পেতে, আমার এই বাংলা ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। আপনার পরিচিতদের মধ্যে শেয়ার করবেন। শেষ পর্যন্ত সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

সন্তানের সুস্থতার জন্য দোয়া

সন্তানের সুস্থতার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দোয়া আছে যা আপনি করতে পারেন। এখানে কয়েকটি উল্লেখ করা হলোঃ
সুস্থতার দোয়াঃ
  • উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা রাব্বান নাসি উজহিবাল বা’সি, ইশফিহি ওয়া আনতাশ-শাফি, লা শিফায়া ইল্লা শিফায়ুকা শিফায়ান লা ইউগাদিরু সাকমা।
  • অর্থঃ হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক, কষ্ট দূরকারী। আমাকে আরোগ্য দিন, আপনি আরোগ্যকারী—আপনি ছাড়া কোনো আরোগ্যকারী নেই। এমন আরোগ্য দিন যেন কোনো রোগ না থাকে।
শয়তান থেকে মুক্তির দোয়া--
  • উচ্চারণঃ আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শায়তানিঁও ওয়া হাম্মাহ; ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মা।
  • অর্থঃ আমি তোমাদের দুজনের জন্য আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমাগুলোর মাধ্যমে প্রত্যেক শয়তান ও বিষাক্ত প্রাণী থেকে এবং সর্বপ্রকার কুদৃষ্টি থেকে মুক্তি কামনা করছি।
নিরাপদ জীবিকার দোয়া--
  • উচ্চারণঃ রাব্বানা লিয়ুক্বিমুস সালাতা ফাঝআল আফ্ইদাতাম মিনান নাসি তাহ্ওয়ি ইলাইহিম ওয়ারযুক্হুম মিনাছ ছামারাতি লাআল্লাহুম ইয়াশকুরুন।
  • অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! তারা (সন্তান-সন্তুতি) যাতে নামাজ প্রতিষ্ঠা করে। কাজেই তুমি মানুষের অন্তরকে তাদের প্রতি অনুরাগী করে দাও। আর ফল-ফলাদি দিয়ে তাদের জীবিকার ব্যবস্থা কর; যাতে তারা (আল্লাহ তাআলার) শুকরিয়া আদায় আশা করি এই দোয়াগুলো আপনার সন্তানের সুস্থতার জন্য সহায়ক হবে। আল্লাহ আপনার সন্তানের সুস্থতা ও কল্যাণ দান করুন। আমিন।

সন্তানের জন্য বাবা মায়ের দোয়া

সন্তানের জন্য বাবা-মায়ের দোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। ইসলাম ধর্মে সন্তানের কল্যাণের জন্য বাবা-মায়ের দোয়া করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এখানে কিছু দোয়া উল্লেখ করা হলো যা বাবা-মা তাদের সন্তানের জন্য করতে পারেনঃ
নেককার সন্তানের দোয়া--
  • "হে আমার প্রতিপালক! আমাকে নেককার সন্তান দিন।" (সুরা: সফফাত, আয়াত: ১০০)
দ্বিনের প্রতি যত্নবান হওয়ার দোয়া--
  • "হে আমার প্রতিপালক! আমাকে নামাজ আদায়কারী করুন এবং আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও। হে আমার প্রতিপালক! আমার প্রার্থনা কবুল করুন।" (সুরা: ইবরাহিম, আয়াত: ৪০)
নিরাপদ জীবিকার দোয়া--
  • "হে আমার প্রতিপালক! আমি আমার বংশধরদের কতককে বসবাস করালাম অনুর্বর উপত্যকায় আপনার পবিত্র ঘরের কাছে; হে আমাদের প্রতিপালক! এ জন্য যে তারা যেন নামাজ কায়েম করে। অতএব কিছু লোকের অন্তর তাদের অনুরাগী করে দিন এবং ফল দ্বারা তাদের জীবিকা দান করুন, যাতে তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।" (সুরা: ইবরাহিম, আয়াত: ৩৭)
শয়তানের প্ররোচনা থেকে মুক্তির দোয়া--
  • "আমি তোমাদের দুজনের জন্য আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কলেমাগুলোর মাধ্যমে প্রত্যেক শয়তান ও বিষাক্ত প্রাণী থেকে এবং সর্বপ্রকার বদনজর থেকে মুক্তি চাইছি।" (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস: ৪৭৩৭)
এই দোয়াগুলো সন্তানের জন্য কল্যাণ ও সুরক্ষা কামনা করে। আল্লাহ তাআলা সকল পিতামাতাকে তাদের সন্তানের জন্য কল্যাণের দোয়া করার তাওফিক দান করুন।
আপনার সন্তানের জন্য বিশেষ কোনো দোয়া করতে চান?

সন্তানের রোগ মুক্তির জন্য দোয়া

সন্তানের রোগ মুক্তির জন্য কিছু বিশেষ দোয়া রয়েছে যা বাবা-মা পড়তে পারেন। এখানে কয়েকটি উল্লেখ করা হলোঃ
সুরা আল-ফাতিহা--
  • "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আর-রাহমানির রাহিম। মালিকি ইয়াওমিদ্দিন। ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাইন। ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম। সিরাতাল লাজিনা আনআমতা আলাইহিম গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দালিন। আমিন।"
সুরা আল-ইখলাস--
  • "কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুস সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ। ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।"
রোগ মুক্তির বিশেষ দোয়া--
  • "আল্লাহুম্মা রাব্বান-নাসি মুজহিবাল বা’সি, ইশফি আনতাশ-শাফি, লা শাফি ইল্লা আনতা শিফাআন লা ইউগাদিরু সুকমা।" অর্থ: "হে আল্লাহ, মানুষের প্রতিপালক, কষ্ট দূরকারী। আমাকে আরোগ্য দিন, আপনি আরোগ্যকারী—আপনি ছাড়া কোনো আরোগ্যকারী নেই। এমন আরোগ্য দিন যেন কোনো রোগ অবশিষ্ট না থাকে।
এই দোয়াগুলো পড়ে আল্লাহর কাছে সন্তানের রোগ মুক্তির জন্য প্রার্থনা করতে পারেন। আল্লাহ তাআলা সকলকে সুস্থতা দান করুন। আপনার সন্তানের জন্য আরও কোনো বিশেষ দোয়া বা পরামর্শ প্রয়োজন হলে জানাতে পারেন।

অবাধ্য সন্তানের জন্য দোয়া

অবাধ্য সন্তানের জন্য কিছু বিশেষ দোয়া রয়েছে যা বাবা-মা পড়তে পারেন। এখানে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো--
সুরা আহকাফ, আয়াত ১৫--
  • "আল্লাহুম্মা আসলিহলি ফি জুররিয়্যাতি, ইন্নি তুবতু ইলাইকা ওয়া ইন্নি মিনাল মুসলিমিন।" অর্থ: "হে আল্লাহ, আমার বংশধরদের সংশোধন করে দাও, অবশ্যই আমি তোমার কাছে তাওবা করলাম এবং নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত।"
সুরা ইবরাহিম, আয়াত ৪০--
  • "রাব্বিজ আলনী মুকিমাছ ছালাতি ওয়ামিন জুররিয়্যাতি, রাব্বানা ওয়াতাকাব্বাল দুয়া।" অর্থ: "হে আমার পালনকর্তা, আমাকে নামাজ কায়েমকারী বানাও আর আমার সন্তানদের মধ্য থেকেও। হে আল্লাহ, আমার দোয়া কবুল করে নাও।"
সুরা আল-ফুরকান, আয়াত ৭৪--
  • • "রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিইয়াতিনা কুররাতা আইইনিও ওয়াজ আলনা লিল মুত্তাক্বিনা ইমামা।" অর্থ: "হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিগণহতে নয়নের তৃপ্তি দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানাও।"
এই দোয়াগুলো পড়ে আল্লাহর কাছে সন্তানের সংশোধনের জন্য প্রার্থনা করতে পারেন। আল্লাহ তাআলা সকল পিতামাতাকে তাদের সন্তানের জন্য কল্যাণের দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আপনার সন্তানের জন্য আরও কোনো বিশেষ দোয়া বা পরামর্শ প্রয়োজন হলে জানাতে পারেন।

সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী করার দোয়া

সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী করার জন্য কিছু দোয়া এবং আমল রয়েছে যা আপনি করতে পারেন। একটি দোয়া হলোঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
  • উচ্চারণঃ "আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজানি, ওয়াল আজজি ওয়াল কাসলি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়াদালা'ইদ দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।"
  • অর্থঃ "হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।"
এছাড়াও, পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য কিছু সাধারণ পরামর্শ রয়েছেঃ
  • নিয়মিত নামাজ আদায় করাঃ নামাজ মনকে প্রফুল্ল রাখে এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
  • আল্লাহর যিকির করাঃ যেমন- সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি।
  • গুনাহ থেকে দূরে থাকাঃ গুনাহর কারণে মুখস্থশক্তি দুর্বল হয়
আপনার সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী করতে এই দোয়া এবং পরামর্শগুলো কাজে লাগতে পারে। আশা করি এটি সাহায্য করবে! আপনার সন্তানের পড়াশোনার জন্য শুভকামনা রইল! পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হওয়ার এবং স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করার আমল।

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ২০টি উপায়

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে যা আপনি অনুসরণ করতে পারেন। এখানে ২০টি উপায় উল্লেখ করা হলোঃ
  • লক্ষ্য স্থির করাঃ পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করুন।
  • গুনাহ থেকে দূরে থাকাঃ গুনাহর কারণে মুখস্থশক্তি দুর্বল হয়।
  • পড়ার সময় নোট নেওয়াঃ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো নোট করুন।
  • সময় ম্যানেজ করাঃ পড়াশোনার জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন।
  • পড়ার সময় ছবি আঁকাঃ বিষয়বস্তুকে চিত্রিত করে মনে রাখা সহজ হয়।
  • কঠিন বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়াঃ প্রথমে কঠিন বিষয়গুলো পড়ুন।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ শরীর ও মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতে পানি পান করুন।
  • পড়ার সময় শব্দ করে পড়াঃ এতে মনোযোগ বাড়ে এবং মনে রাখা সহজ হয়।
  • নিয়মিত বিরতি নেওয়াঃ দীর্ঘ সময় পড়াশোনা না করে মাঝে মাঝে বিরতি নিন।
  • পড়ার সময় বিভিন্ন রঙের পেন ব্যবহার করাঃ এতে পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ে।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াঃ পুষ্টিকর খাবার খাওয়া মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
  • পড়ার সময় বন্ধুদের সাথে আলোচনা করাঃ এতে বিষয়বস্তু ভালোভাবে বোঝা যায়।
  • পড়ার সময় নিজেকে পুরস্কৃত করাঃ নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ হলে নিজেকে পুরস্কৃত করুন।
  • পড়ার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করাঃ একটি শান্ত ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে পড়াশোনা করুন।
  • মনোযোগ বিঘ্নিত করবে এমন জিনিস দূরে রাখাঃ মোবাইল ফোন, টিভি ইত্যাদি দূরে রাখুন।
  • নিয়মিত নামাজ আদায় করাঃ নামাজ মনকে প্রফুল্ল রাখে এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
  • নিজেকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখাঃ নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।
  • আল্লাহর যিকির করাঃ যেমন- সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি।
  • পোমোডোরো টেকনিক (Pomodoro Technique) মেনে চলাঃ ২৫ মিনিট পড়াশোনা এবং ৫ মিনিট বিরতি নিন।
এই উপায়গুলো অনুসরণ করলে আপনার সন্তান পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারবে। আপনার সন্তানের পড়াশোনার জন্য শুভকামনা রইল! পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ২০টি উপায় পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি করবে কিভাবে?

পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়ানোর কিছু উপায়

সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী করার জন্য কিছু বিশেষ দোয়া রয়েছে যা বাবা-মা পড়তে পারেন। এখানে কয়েকটি উল্লেখ করা হলোঃ
সুরা ত্বাহা, আয়াত ২৫-২৮ঃ
  • "রাব্বি শ্রাহ্ লি সাদ্রি, ওয়া ইয়াস্সির্ লি আম্রি, ওয়াহ্লুল্ উক্দাতাম্ মিল্ লিসানি, ইয়াফ্কাহু কাওলি।" অর্থ: "হে আমার পালনকর্তা! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন, আমার কাজ সহজ করে দিন এবং আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দিন, যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।"
সুরা আল-ইমরান, আয়াত ৮ঃ
  • "রাব্বানা লা তুযিগ কুলুবানা বা’দাইয হাদাইতানা ওয়া হাব লানা মিল্লাদুংকা রাহমাতান, ইন্নাকা আনতাল ওহাব।" অর্থ: "হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের অন্তরকে বিপথগামী করবেন না, আপনি যখন আমাদের সঠিক পথ দেখিয়েছেন এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের রহমত দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি মহাদাতা।"
সুরা আল-ইমরান, আয়াত ১৬০ঃ
  • "ইয়া আল্লাহ! আমাকে এমন জ্ঞান দান করুন যা উপকারী, আমাকে এমন রিযিক দান করুন যা পবিত্র এবং আমাকে এমন আমল দান করুন যা কবুলযোগ্য।"
এই দোয়াগুলো পড়ে আল্লাহর কাছে সন্তানের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য প্রার্থনা করতে পারেন। আল্লাহ তাআলা সকল পিতামাতাকে তাদের সন্তানের জন্য কল্যাণের দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আপনার সন্তানের জন্য আরও কোনো বিশেষ দোয়া বা পরামর্শ প্রয়োজন হলে জানাতে পারেন।

মনোযোগ বৃদ্ধির দোয়া

মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য কিছু দোয়া ও আমল রয়েছে যা আপনি করতে পারেন। এখানে কয়েকটি উল্লেখ করা হলোঃ
দোয়াঃ
  • رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا (উচ্চারণ: রাব্বি যিদনি ইলমা)
  • অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। (সূরা ত্বাহা, আয়াত: ১১৪)
  •  اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ (উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজজি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়াদ দায়নি ওয়াগালাবাতির রিজাল)
  • অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।
আমলঃ
  • আল্লাহর যিকিরঃ সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি পড়া।
  • গুনাহ থেকে দূরে থাকাঃ গুনাহর কারণে মুখস্থশক্তিতে দুর্বলতা আসে। তাই গুনাহ থেকে দূরে থাকা উচিত।
  • মধু ও কিসমিস খাওয়াঃ কিছু আলেমের মতে, মধু ও কিসমিস খাওয়া স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
আশা করি, এই দোয়া ও আমলগুলো আপনার মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। আপনি যদি আরও কিছু জানতে চান, আমাকে জানাতে পারেন! পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হওয়ার এবং স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করার আমল পড়া মনে রাখার দোয়া ও আমল মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য কিছু দোয়া ও আমল রয়েছে যা আপনি পড়তে পারেন। এখানে একটি দোয়া উল্লেখ করা হলোঃ
দোয়াঃ
  • اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
উচ্চারণঃ
  • "আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজানি, ওয়াল আজজি ওয়াল কাসলি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া দালা'ইদ দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।"
অর্থঃ
  • "হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।"
এই দোয়াটি নিয়মিত পড়লে ইনশাআল্লাহ মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও, আল্লাহর যিকির করা এবং নিয়মিত নামাজ আদায় করাও মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে আপনার জন্য শুভকামনা রইল! পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হওয়ার এবং স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করার আমল পড়া মনে রাখার দোয়া ও আমল স্মরণশক্তি বাড়ানোর কিছু আমল।

পড়া মনে রাখার আমল

পড়া মনে রাখার জন্য কিছু দোয়া ও আমল রয়েছে যা আপনি করতে পারেন। এখানে কয়েকটি উল্লেখ করা হলোঃ
দোয়াঃ • رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا (উচ্চারণ: রাব্বি যিদনি ইলমা)
অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। (সূরা ত্বাহা, আয়াত: ১১৪)
  • اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ (উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজজি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়াদ দায়নি ওয়াগালাবাতির রিজাল)
  • অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।
আমলঃ
  • আল্লাহর যিকিরঃ সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি পড়া।
  • গুনাহ থেকে দূরে থাকাঃ গুনাহর কারণে মুখস্থশক্তিতে দুর্বলতা আসে। তাই গুনাহ থেকে দূরে থাকা উচিত।
  • মধু ও কিসমিস খাওয়াঃ কিছু আলেমের মতে, মধু ও কিসমিস খাওয়া স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
আশা করি, এই দোয়া ও আমলগুলো আপনার পড়া মনে রাখতে সহায়ক হবে। আপনি যদি আরও কিছু জানতে চান, আমাকে জানাতে পারেন! পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হওয়ার এবং স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করার আমল পড়া মনে রাখার দোয়া ও আমল

কোন কিছু ভুলে গেলে মনে করার দোয়া

কোনো কিছু ভুলে গেলে মনে করার জন্য কিছু দোয়া ও আমল রয়েছে। এখানে কয়েকটি উল্লেখ করা হলোঃ
দোয়াঃ
  • اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ النِّسْيَانِ (উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিনান নিসইয়ান)
  • অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি ভুলে যাওয়া থেকে।
  • اللَّهُمَّ ارْزُقْنِي حِفْظَ مَا عَلَّمْتَنِي وَرُدَّهُ إِلَيَّ عِنْدَ حَاجَتِي إِلَيْهِ (উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আরযুকনি হিফযা মা আল্লামতানি ওয়া রুদ্দাহু ইলাইয়া ইন্দা হাজাতি ইলাইহি)
  • অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাকে যা শিখিয়েছেন তা মনে রাখার তৌফিক দিন এবং যখন প্রয়োজন হবে তখন তা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিন।
আমলঃ
  • আল্লাহর যিকিরঃ নিয়মিত আল্লাহর যিকির করা, যেমন সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি।
  • দুই রাকাত নামাজঃ কোনো কিছু ভুলে গেলে দুই রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
  • গুনাহ থেকে দূরে থাকাঃ গুনাহ থেকে দূরে থাকা, কারণ গুনাহর কারণে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়।
আশা করি, এই দোয়া ও আমলগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে। আপনি যদি আরও কিছু জানতে চান, আমাকে জানাতে পারেন! কোনো জিনিস হারিয়ে গেলে যে দোয়া পড়বেন কোনো জিনিস হারিয়ে গেলে যে দোয়া পড়তে হয়।                        ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url