এপেন্ডিসাইটিস হলে করনীয় কি জানতে এই পোষ্ট দেখুন

হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি, একটি নতুন টপিক। এপেন্ডিসাইটিস হলে করনীয়, এপেন্ডিসাইটিস সাইড কেন হয়, সেসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আমার এই পোস্টটিতে রয়েছে। আমরা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা বলে এড়িয়ে যাই। কিন্তু সব ব্যথা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা নয়। সময়মতো এপেন্ডিসাইটিস ব্যথা চিহ্নিত করতে না পারলে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের বিপদ। তাই আগে থেকেই যদি রোগটি সম্পর্কে ধারণা রাখা যায়, তাহলে চিকিৎসাও করা সহজ হবে, আপনার আমার সকলেরই পেটের নিচের দিকে বৃহদন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থলির মতো একটি অঙ্গ থাকে।
এপেন্ডিসাইটিস হলে করনীয় কি জানতে এই পোষ্ট দেখুন
যেটি এপেন্ডিসাইটিস নামে পরিচিত । যদিও চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত মানবদেহে এই, অঙ্গের প্রয়োজনীয়তা খুঁজে বের করতে পারেননি । কোন কারনে যদি ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবীর সংক্রমণ অথবা মল বা কৃমি ঢুকে এপেন্ডিসাইটিস ব্লক হয়ে নানা উপসর্গ দেখা দেয়, সেই অবস্থাটিকেই আমরা এপেন্ডিসাইটিস বলি। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নি, এপেন্ডিসাইটিস হলে করণীয় কি, এপেন্ডিসাইটিস কেন হয়, এপেন্ডিসাইটিস ফেটে গেলে কি হয়, সেসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আশা করি শেষ পর্যন্ত থাকবেন ধন্যবাদ।

এপেন্ডিসাইটিস হলে করনীয়

এপেন্ডিসাইটিস হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা উচিতঃ
  • দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াঃ পেটের ব্যথা যদি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে বা তীব্র হয়ে উঠে, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে যাওয়াঃ যদি পেটের ব্যথা হঠাৎ করে অনেক বেড়ে যায় এবং পুরো পেটে ছড়িয়ে পড়ে, বা ব্যথা কিছুক্ষণের জন্য কমে গিয়ে আবার বেড়ে যায়, তাহলে রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
  • অপারেশনের প্রস্তুতিঃ অ্যাপেন্ডিসাইটিস হলে সাধারণত অপারেশনের মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব রোগীর অ্যাপেন্ডিক্স কেটে ফেলে দিতে হয়। এই অপারেশনের নাম ‘অ্যাপেন্ডিসেকটোমি’ বা ‘অ্যাপেন্ডেকটোমি’।
এছাড়াও, এপেন্ডিসাইটিসের কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকলেও, সময় মতো চিকিৎসা না করলে এপেন্ডিক্স ছিদ্র হয়ে ইনফেকশন পুরো পেটে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এতে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। তাই এপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং প্রয়োজনে অপারেশন করানো জরুরি।

এপেন্ডিসাইটিস কেন হয়

এপেন্ডিসাইটিস হওয়ার নির্দিষ্ট কারণ এখনো পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। তবে, সাধারণত এই অবস্থা নিম্নলিখিত কারণগুলির জন্য ঘটতে পারেঃ
  • পরজীবী সংক্রমণঃ থ্রেডওয়ার্ম বা সুতা কৃমির মতো পরজীবী থেকেও এপেন্ডিসাইটিস হতে পারে।
  • ব্যাকটেরিয়ার প্রদাহঃ স্ট্যাফাইলোককাস, স্ট্রেপটোককাস এবং ই. কোলাই জাতীয় ব্যাকটেরিয়া অ্যাপেন্ডিক্সে প্রদাহ সৃষ্টি করে।
  • অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও কোস্ঠকাঠিন্যঃ অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এবং কোস্ঠকাঠিন্য এপেন্ডিসাইটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • ইনফেকশনঃ শ্বাসনালীর ইনফেকশনের মতো কোনো ইনফেকশনের কারণে নাড়িভুঁড়ির দেয়ালের গ্রন্থিগুলো ফুলে উঠতে পারে, যা অ্যাপেন্ডিক্সের মুখ বন্ধ করে দিতে পারে।
  • অ্যাপেন্ডিক্সের মুখ আটকে যাওয়াঃ অ্যাপেন্ডিক্সের মুখে কোনো কিছু আটকে গেলে, যেমন নাড়িভুঁড়িতে তৈরি হওয়া পায়খানার ছোটো একটি দলা বা অন্য কোনো বস্তু, তাহলে সেখান থেকে এপেন্ডিসাইটিসের সূত্রপাত হতে পারে।
এপেন্ডিসাইটিস হলে অ্যাপেন্ডিক্সে প্রদাহ এবং ফুলে যাওয়া ঘটে, যা তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করে। এই প্রদাহ যদি অবহেলা করা হয়, তাহলে অ্যাপেন্ডিক্স ছিদ্র হয়ে যেতে পারে, যা পেটের ভেতরে গুরুতর সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারে এবং জীবনের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই এপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং প্রয়োজনে অপারেশন করানো জরুরি।

এপেন্ডিসাইটিস ফেটে গেলে কি হয়

এপেন্ডিসাইটিস যদি ফেটে যায়, তাহলে এটি খুবই জরুরি এবং জীবন-হুমকির একটি অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়। এপেন্ডিক্স ফেটে গেলে নিম্নলিখিত জটিলতাগুলি ঘটতে পারেঃ
  • অ্যাবসেসঃ ইনফেকশনের ফলে পেটের ভেতরে পুঁজ জমা হতে পারে, যা অ্যাবসেস তৈরি করে। এটি আরও বেশি চিকিৎসা প্রয়োজন করে এবং সার্জারি দ্বারা অ্যাবসেস অপসারণ করা হতে পারে।
  • সেপসিসঃ এপেন্ডিক্স ফেটে গেলে ব্যাকটেরিয়া রক্তে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা সেপসিস বা রক্তবাহিত সংক্রমণ ঘটাতে পারে। সেপসিস একটি জরুরি মেডিকেল অবস্থা যা অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন।
  • পেরিটোনাইটিসঃ এপেন্ডিক্স ফেটে গেলে, পেটের ভেতরের লাইনিং বা পেরিটোনিয়ামে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা পেরিটোনাইটিস নামে পরিচিত। এটি পেটের ভেতরে গুরুতর প্রদাহ এবং সংক্রমণ সৃষ্টি করে।
এপেন্ডিসাইটিস ফেটে গেলে পেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়, পেট ফুলে ওঠে, এবং রোগীর জ্বর আসতে পারে। এই অবস্থা অত্যন্ত জরুরি এবং অবিলম্বে চিকিৎসা প্রয়োজন। এপেন্ডিসাইটিসের এই ধরনের জটিলতা থেকে বাঁচার জন্য সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। যদি এই ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যাওয়া উচিত।

মেয়েদের এপেন্ডিসাইটিস কোন পাশে হয়

মেয়েদের এপেন্ডিসাইটিস সাধারণত তলপেটের ডান পাশে হয়। এপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা প্রায়ই নাভির কাছাকাছি অংশে শুরু হয়ে, আস্তে আস্তে তলপেটের নীচের ডান দিকে স্থানান্তরিত হয়। এই ব্যথা প্রায়ই তীব্র হয়ে থাকে এবং হাঁচি বা কাশি দিলে, হাঁটাচলা করলে বা ঝাঁকুনি খেলে ব্যথা আরও বেড়ে যেতে পারে। তবে, গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্যথা পেটের বিভিন্ন স্থানে হতে পারে। এপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা অনুভূত হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

মেয়েদের এপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ কি

মেয়েদের এপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণগুলি সাধারণত নিম্নলিখিতঃ
  • জ্বরঃ হালকা জ্বর থাকতে পারে।
  • খাবারে অরুচিঃ খাবারে অরুচি বা খিদে কমে যেতে পারে।
  • বমি বা বমি ভাবঃ বমি বমি ভাব বা দু-একবার বমি হতে পারে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়াঃ পেট ফাপাবোধ লেগেই থাকে অথবা প্রায়ই দেখা দিতে পারে।
  • পেটের ব্যথাঃ প্রথমে নাভির চারপাশে বা নাভির একটু ওপরে ব্যথা শুরু হয়ে, কয়েক ঘণ্টা পর তলপেটের ডান দিকে স্থায়ী হয়। ব্যথা তীব্র ও হালকা—দুই রকমেরই হতে পারে।
এই লক্ষণগুলি যদি দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। এপেন্ডিসাইটিস হলে সাধারণত শল্যচিকিৎসা দ্বারা অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ করা হয়

পুরুষের এপেন্ডিসাইটিস কোন পাশে হয়

পুরুষের এপেন্ডিসাইটিস সাধারণত তলপেটের ডান পাশে হয়। এপেন্ডিক্স একটি ছোট সরু থলের মত অংশ, যা বৃহদান্ত্রের সাথে যুক্ত থাকে এবং আকারে প্রায় দুই থেকে চার ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। এপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা প্রথমে পেটের মাঝখানের দিকে (নাভির আশেপাশে) শুরু হয়ে থাকে এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তলপেটের ডানদিকে গিয়ে স্থির হয়, যেখানে সাধারণত অ্যাপেন্ডিক্স অবস্থিত থাকে। ব্যথা যদি হঠাৎ করেই অনেক বেড়ে যায় এবং পুরো পেটে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে এটি অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে, যা জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। এই ধরনের ব্যথা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত

এপেন্ডিসাইটিস এর ঔষধ

এপেন্ডিসাইটিসের জন্য সাধারণত ঔষধের চেয়ে শল্যচিকিৎসা অধিক প্রচলিত। এপেন্ডিসাইটিস হলে, অ্যাপেন্ডিক্স ফুলে যায় এবং প্রদাহিত হয়, যা অবিলম্বে চিকিৎসা না করা হলে ফেটে যেতে পারে এবং জীবন-হুমকির অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে। এপেন্ডিসাইটিসের চিকিৎসা সাধারণত নিম্নলিখিত দুই পদ্ধতিতে করা হয়ঃ
  • ওপেন সার্জারিঃ এই পদ্ধতিতে পেটে বড় একটি চির করে অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ করা হয়।
  • ল্যাপারোস্কপিঃ এই পদ্ধতিতে পেটে ছোট ছোট কয়েকটি চির করে সেগুলির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ঢুকিয়ে অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ করা হয়।
কিছু ক্ষেত্রে, যদি অ্যাপেন্ডিসাইটিস খুব প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে এবং অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি না থাকে, তাহলে ডাক্তাররা অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি প্রয়োগ করতে পারেন। তবে, এই পদ্ধতি সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় এবং সাধারণত অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণের জন্য শল্যচিকিৎসা করা হয়। এপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এটি একটি জরুরি মেডিকেল অবস্থা যা দ্রুত চিকিৎসা ছাড়া জীবন-হুমকির হতে পারে।

এপেন্ডিসাইটিস এর প্রাথমিক চিকিৎসা

এপেন্ডিসাইটিসের প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে, সাধারণত নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা হয়ঃ
  • বিশ্রামঃ প্রচুর বিশ্রাম নেওয়া এবং শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলা।
  • ব্যথা নিরাময়ঃ ব্যথা কমানোর জন্য প্রায়ই ব্যথানাশক ওষুধ দেওয়া হয়।
  • তরল খাবারঃ রোগীকে প্রচুর তরল খাবার যেমন জল, স্যুপ ইত্যাদি খেতে বলা হয়।
  • জ্বর নিয়ন্ত্রণঃ যদি জ্বর থাকে, তাহলে জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল বা অন্যান্য অ্যান্টিপাইরেটিক ওষুধ দেওয়া হতে পারে।
  • অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপিঃ প্রাথমিক পর্যায়ে এবং অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি না থাকলে, অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা হতে পারে।
এই প্রাথমিক চিকিৎসাগুলি অস্থায়ী সমাধান প্রদান করে এবং রোগীকে আরাম দেয়। তবে, এপেন্ডিসাইটিসের স্থায়ী চিকিৎসা হল অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণের মাধ্যমে শল্যচিকিৎসা। এপেন্ডিসাইটিসের কোনো লক্ষণ অনুভব হলে, অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং প্রয়োজনে জরুরি চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত

এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন খরচ

বাংলাদেশে এপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের খরচ বিভিন্ন হাসপাতালে ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, সরকারি হাসপাতালগুলোতে এই অপারেশনের খরচ পড়ে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে, বেসরকারি মেডিকেলগুলোতে খরচ বেশি হতে পারে, যা ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
ছোট ক্লিনিকগুলোতে খরচ হতে পারে ৮ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এই তথ্যগুলি সাধারণ অনুমান এবং হাসপাতালের সেবা, অবস্থান, এবং অপারেশনের ধরনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তনশীল হতে পারে। সঠিক খরচের জন্য আপনি যে হাসপাতালে অপারেশন করাতে চান, সেখানে সরাসরি যোগাযোগ করে জানতে পারেন।

এপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের পর করণীয়

এপেন্ডিসাইটিস অপারেশনের পর করণীয় নিম্নরূপঃ
  • বিশ্রামঃ অপারেশনের পর প্রথম কয়েক দিন পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়া জরুরি।
  • খাদ্যাভ্যাসঃ প্রথমে তরল খাবার এবং ধীরে ধীরে স্বাভাবিক খাবারে ফিরে আসা।
  • সেলাই কাটাঃ অপারেশনের পর সেলাই কাটার জন্য ডাক্তারের নির্দেশ মেনে চলা।
  • ভারী কাজ এড়ানোঃ ওপেন সার্জারির পরে কমপক্ষে ৬ সপ্তাহ ভারী কাজ এড়িয়ে চলা উচিত।
  • পুনরুদ্ধারের সময়ঃ অপারেশনের পর পুরোপুরি সুস্থ হতে সাধারণত কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে।
  • চিকিৎসকের পরামর্শঃ অপারেশনের পর নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো।
এই নির্দেশাবলী মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি অপারেশনের পর দ্রুত এবং নিরাপদে সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে। যদি অপারেশনের পর কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন অতিরিক্ত ব্যথা, জ্বর, বা ইনফেকশনের চিহ্ন, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

শেষ কথা - এপেন্ডিসাইটিস হলে করনীয় কি জানতে এই পোষ্ট দেখুন

সম্মানিত পাঠক বন্ধুরা, আজকে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আমার এই পোস্টটিতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। অনেক না জানা তথ্য যা কিনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমার এই পোস্টটি পড়ে আশা করি অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। যাঁদের প্রায়ই মাথা ধরা, বমিভাব, দীর্ঘ দিন পেটে ব্যথা রয়েছে তাঁদের এপেন্ডিসাইটিস সমস্যা থাকতে পারে। এই ধরনের সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে নিজেদের খাদ্যাভাসে সামান্য পরিবর্তন আনা যেতেই পারে।

আমার এই পোস্টটি পড়ে যদি, ভালো লেগে থাকে বা কোন প্রশ্ন থাকে, একটি কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে যাবেন, আপনার পরিচিত বন্ধুবান্ধবের মধ্যে শেয়ার করবেন। আপনার একটি লাইক কমেন্ট শেয়ার, আমার লেখার আগ্রহ এবং আপনাদের মাঝে তথ্যমূলক বিষয়, তুলে ধরার অনুপ্রেরণা যোগাবে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url