স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির উপায় - কিভাবে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করা যায়

হ্যালো বন্ধুরা আপনি কি দিন দিন সবকিছুতে ভুলে যাচ্ছেন কোন কিছু মনে রাখতে পারছেন না গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে তাহলে আপনার জন্য আজকে আমার এই পোস্টে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির উপায় কিভাবে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করা যায় সেসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এবং আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি অনেক না জানা তথ্য স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কি কি খাবেন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় কি সেসব বিষয় নিয়ে থাকছে বিস্তারিত আলোচনা।
স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির উপায়
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যায় আসুন আমরা জেনে নেই স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় কিভাবে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করা যায় আশা করি পুরোপুরি পড়বেন এবং অনেক না জানা তথ্য পাবেন যা কিনা আপনার এবং আপনার সন্তানদের মেধাবিকাশে অনেক সহায়তা করবে শেষ অব্দি সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায়

  • রুটিন চেকআপঃ হৃদপিন্ডের নানা রকমের অসুখের ঝুঁকির কারণেও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে।তাই বছরে কমপক্ষে একবার করেও রক্তচাপ ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টোরলের মাত্রা পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।তাই এই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • খোঁজে নিন অবসরঃ পরিশ্রমের ফাঁকে ফাঁকে অবসর নেওয়ার খুবই জরুরী। স্বল্পমাত্রায় মানসিক চাপ আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।এতে বিপদের সময় বা জরুরী প্রয়োজনে পরিস্থিতিকে দ্রুত মোকাবেলায় করতে শক্তি পাওয়া যায়। কর্টিসল বলে হরমোনের কারণে দেহ মন চাঙ্গা হয় এবং মনোযোগের আগ্রহ বাড়ে।
  • ঠান্ডা ঘরঃ ঠান্ডা ঘর মস্তিষ্ক অনেক ভালো রাখে।গরমের চেয়ে ঠান্ডা স্মৃতিশক্তিকে তিনগুণ মনোযোগ বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও ঠান্ডা ঘর আপনার মাথাকে অনেক বেশি শান্ত রাখেন।তাই ঘরের তাপমাত্রা কখনো ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রাখা ঠিক নয়। তাই আপনার স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির করার জন্য সব সময় ঠাণ্ডা ঘরে থাকুন।
  • হাঁটা হাঁটিঃ নিয়মিত হাঁটা চলা এবং ব্যায়াম শরীরের জন্য যেমন অনেক বেশি উপকারি তেমনি মস্তিষ্কের জন্যও ভালো। ব্যায়াম হাঁটাহাঁটি এটি ব্রেনকে সুস্থ রাখেন।আপনার মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য হাঁটা চলা অথবা ব্যায়াম করুন।সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যায়াম করুন অথবা হাঁটাহাঁটি করুন।এটি মস্তিষ্কে অনেক কাজ দেবে।
  • মস্তিষ্কের খাবারঃ মস্তিস্কের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে খাবার কিন্তু অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আখরোটের পলিফেনলস ব্রেনের স্মৃতি শক্তি বাড়িয়ে দেয়।তাছাড়াও সামুদ্রিক মাছের ওমেগো ৩ ফ্যাটি এসিড পালংশাক ডার্ক চকলেট গ্রিন টি অভিল ওয়েল শাকসবজি মস্তিস্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই উপাদান গুলো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যরক্ষায় খুবই জরুরি।
  • গল্প শেষ থেকে শুরু করুনঃ আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য একটি গল্প পড়া শেষ হয়ে গেলে পুরো গল্পটা মনে রাখতে চেষ্টা করুন। গল্পটা শুরু থেকে মনে করার চেষ্টা না করে পিছন থেকে গল্পটা মনে করার চেষ্টা করুন। এই কৌশলটা আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করবে এবং মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সচল সচল রাখার সাথে সাথে শক্তিশালীও করবে।
  • প্রতিদিনের অভ্যাসটি থেকে বেরিয়ে আসুনঃ মস্তিষ্ক যেন নির্জীব হয়ে না যায় সে জন্য ব্রেনকে সবসময় নতুন কিছু শিখাতে দিতে হয়।স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য সবসময় একই কাজ না করে নতুন নতুন কাজ করতে চেষ্টা করুন।এতে করে মস্তিষ্কের জানার আগ্রহ আরো বেড়ে যাবে তার সাথে সাথে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
  • পায়ের আঙুল ম্যাসাজ করুনঃ প্রতিদিন কমপক্ষে পায়ের আঙুলগুলো ৫ মিনিট করে ম্যাসাজ করুন। প্রথমে আঙ্গুলের উপর থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে টিপে টিপে নিচের দিকে যান। এই ম্যাসাজ মস্তিষ্কের কোষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করে। তাই আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বাড়াতে এটিও করতে পারেন।

কিভাবে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করা যায়

  • সুরের মাঝে লুকিয়ে আছে শক্তিঃ গান বাজনা সুরের মাধ্যমে মস্তিষ্কে জেগে উঠে। মস্তিষ্ক গান-বাজনা শুর সংগীত দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারে। এটা ডিমেনশিয়ার মত মানসিক অবস্থায় থাকাতে খুবই কার্যকরী। আপনার মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য এবং মস্তিষ্কে শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য গান-বাজনা তে অংশগ্রহণ করতে পারেন১০) প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম
স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির উপায়

  • পর্যাপ্ত ঘুমঃ পর্যাপ্ত ঘুম প্রতিটা মানুষের জন্য অপরিহার্য একটা বিষয়। রাতে যদি ঘুম কম হয় তবে তা বার্ধক্য প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে মস্তিষ্কের বাধার সৃষ্টি করে। এ সমস্যাটি থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম যদি না হয় ঠিকমতো মস্তিষ্ক প্রায় সাত বছর বেশি বুড়িয়ে যেতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম যাবেন সবসময়। দৈনিক পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুমালে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আর ১০ ঘণ্টার বেশি ঘুমালে মস্তিষ্ক সজাগ হওয়ার সময় পাইনা।
  • স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিঃ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য বাদাম তেলের বীজ মাছ এগুলো মস্তিষ্কের জন্য খুবই ভালো। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিদিনের খাবার তালিকায় এক মুঠো বাদাম কুমড়ার বীজ বা ব্লুবেরি রাখুন।তেল জাতীয় খাবার মস্তিষ্কের জন্য ভালো।চিনি কম খাবেন এবং চিনিজাতীয় খাবার গুলো কম খাবেন। সব সময় পানি বেশি খাবেন। পানি বেশি খাওয়া মস্তিষ্কের জন্য ভালো।
  • শপিং লিস্টঃমস্তিস্কের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে আপনি কি কি কিনবেন তা নিয়ে বড় করে একটা লিস্ট তৈরি করুন।আর তৈরি কৃত লিস্টা ভুল করে বাড়িতে রেখে যান।তার শপিং থেকে ফিরে এসে এবার দেখুন কয়টা মনে রাখতে পারছেন আর কয়টা মনে রাখতে পারেন নাই।এই নিয়মটা যত বেশি করবেন তত বেশি ব্রেন দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে পারবে মস্তিষ্ক তথ্যগুল

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার খাবার

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য কিছু খাবার বিশেষভাবে উপকারী হতে পারে। এখানে কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো যা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করা হয়।

  • পাকা কলাঃ পুষ্টিকর এবং শক্তির উৎস।
  • গ্রীন টিঃ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
  • কফিঃ মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে পারে।
  • বিশুদ্ধ পানিঃ পর্যাপ্ত পানি পান করা মস্তিষ্কের জন্য ভালো।
  • টমেটোঃ এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
  • ডিমঃ ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন বি-১২, ফোলেট এবং কোলিনের উৎস।
  • খাঁটি দুধঃ দুধে প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকে যা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • বাদামঃ আখরোট এবং অন্যান্য বাদাম ওমেগা-৩ এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ।
  • শাক-সবজিঃ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি যেমন পালং শাক ভিটামিন-ই এর ভালো উৎস।
  • মাছঃ বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছ যেমন সামুদ্রিক মাছ, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস।
এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে আপনার স্মৃতিশক্তি ভালো থাকবে এবং ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে। তবে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অত্যন্ত জরুরি।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির দোয়া

রাসুল (সা.)-এর কাছে জিবরাইল (আ.) ওহি নিয়ে আসতেন। তিনি তার সঙ্গে ওহি পড়া ও মুখস্ত করার চেষ্টা করতেন যা তার জন্য অনেক ক্ষেত্রে কষ্টকর ছিল। তখন এ আয়াত নাজিল হয় এবং রাসুল (সা.)-এর কষ্টও কিছুটা লাঘব হয়। তিনি ওহি আয়ত্ত করতে প্রশান্তি লাভ করেন।
  • আল্লাহ বলেন- فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ وَلَا تَعْجَلْ بِالْقُرْآنِ مِن قَبْلِ أَن يُقْضَى إِلَيْكَ وَحْيُهُ وَقُل رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا -
অর্থাৎ সত্যিকার মালিক আল্লাহ মহান। আপনার প্রতি আল্লাহর ওহী সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে আপনি কোরআন গ্রহণের ব্যাপারে তাড়াহুড়া করবেন না এবং বলুন, হে আমার পালনকর্তা আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। (সুরা ত্বাহা, আয়াত ১১৪)
  • দোয়াঃ رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا
  • উচ্চারণ- রাব্বি জিদনি ইলমা। অর্থ— হে আমার পালনকর্তা! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।
এই দোয়া নিয়মিত পাঠ করলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি লাভ করে।
এ ছাড়া স্মরণশক্তি বৃদ্ধির কয়েকটি উপকারী আমল হলো—
সব ধরনের গুনাহ থেকে পরিপূর্ণ বেঁচে থাকা। কারণ গুনাহর কারণে মুখস্থশক্তিতে দুর্বলতা আসে।
অধিক হারে আল্লাহর জিকির করা।

  • যেমন— সুবহানআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি পড়া।
  • আল্লাহতায়ালা বলেন— واذكر ربك إذا نسيت“যখন ভুলে যান তখন আল্লাহর জিকির করুন”। (সুরা কাহাফ: ২৪)
কোন কোন আলেম এমন কিছু খাবারের কথা উল্লেখ করেছেন যেগুলো মুখস্থশক্তি বৃদ্ধি করে। যেমন- মধু ও কিসমিস খাওয়া।
  • ইমাম যুহরী বলেনঃ তুমি মধু খাবে কারণ এটি স্মৃতিশক্তির জন্য ভালো। তিনি আরও বলেন: যে হাদিস মুখস্ত করতে চায় সে যেন কিসমিস খায়। (খতিব আল-বাগদাদির ‘আল-জামে’ ২/৩৯৪)
মুখস্থশক্তি বৃদ্ধি ও ভুলে যাওয়ার সমস্যা প্রতিরোধে আরও যে জিনিসটি সাহায্য করে সেটি হচ্ছে— মাথায় শিঙ্গা লাগানো। এটিও পরীক্ষিত।

মেধাবী হওয়ার আমল

মেধাবী হওয়ার জন্য কিছু আমল এবং দোয়া রয়েছে যা ইসলামিক শিক্ষা অনুযায়ী স্মরণশক্তি এবং মেধা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এগুলো হলো।

  • পাপ থেকে দূরে থাকাঃ পাপ থেকে দূরে থাকা এবং পবিত্র জীবনযাপন করা
  • স্মরণশক্তি বৃদ্ধির আমলঃ নির্দিষ্ট দোয়াগুলি নিয়মিত পাঠ করা এবং প্রতিদিনের আমলে অন্তর্ভুক্ত করা
  • পরিপূর্ণ আমলে আল্লাহ তায়ালাকে ডাকা: আল্লাহ তায়ালার কাছে নিয়মিত দোয়া করা এবং তাঁর সাহায্য চাওয়া
  • দোয়া ও জিকিরঃ নিয়মিত দোয়া এবং জিকির করা যেমন সুরা ত্বহা থেকে "রাব্বি জিদনি ইলমা" এবং সুরা বাকারা থেকে "সুবহা নাকা লা ইলমা লানা ইল্লা মা আল্লামতানা ইন্নাকা আনতাল আ’লিমুল হাকিম" পাঠ করা
এই আমল এবং দোয়াগুলি নিয়মিত অনুসরণ করলে বিশ্বাস করা হয় যে আল্লাহ তায়ালা স্মরণশক্তি এবং মেধা বৃদ্ধি করে দেবেন। আপনি যদি আরও বিশেষ তথ্য বা সাহায্য চান তাহলে আমি আপনাকে আরও সাহায্য করতে পারি।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় ইসলাম

ইসলামে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য কিছু উপায় এবং আমল রয়েছে যা নিম্নরূপ।
  • ইখলাস বা আন্তরিকতাঃ যেকোনো কাজে সফলতা অর্জনের ভিত্তি হলো ইখলাস বা আন্তরিকতা। নিয়তের বিশুদ্ধতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
  • পুনরাবৃত্তি করাঃ শিখা পাঠসমূহ পুনরাবৃত্তি করা
  • মধু সেবনঃ মধু স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
  • আমল করাঃ যা শিখা হয়েছে তার উপর আমল করা
  • গুনাহ্ থেকে বিরত থাকাঃ পাপ থেকে দূরে থাকা এবং পবিত্র জীবনযাপন করা
  • অন্যকে শিক্ষাদান করাঃ অন্যকে শিক্ষাদান করা এবং দাওয়া’র মাধ্যমে অন্যের কাছে পৌঁছে দেয়া
  • দোয়া ও জিকিরঃ নিয়মিত দোয়া এবং জিকির করা যেমন "রাব্বি জিদনি ইলমা" এবং "রাব্বিশরাহ লি সদরি" পাঠ করা
এই উপায়গুলো ছাড়াও সুন্নাহ্’ভিত্তিক আরও পদ্ধতি রয়েছে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য। আপনি যদি আরও বিশেষ তথ্য বা সাহায্য চান তাহলে আমি আপনাকে আরও সাহায্য করতে পারি

ভুলে যাওয়া সমস্যা দূর করার উপায়

ভুলে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এই সমস্যা দূর করার জন্য কিছু সাধারণ উপায় হলো।
  • পর্যাপ্ত ঘুমঃ প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো
  • শারীরিক ব্যায়ামঃ নিয়মিত হাঁটা বা জিমে যাওয়া
  • সামাজিক সংযোগঃ বন্ধু ও পরিবারের সাথে সময় কাটানো
  • মনোযোগ বৃদ্ধিঃ একসময়ে একটি কাজে মনোনিবেশ করা
  • মানসিক ব্যায়ামঃ ক্রসওয়ার্ড পাজল খেলা বা নতুন কিছু শেখা
  • স্ট্রেস কমানোঃ ধ্যান যোগা বা অন্যান্য শিথিলকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করা
  • সুষম খাদ্যাভ্যাসঃ স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন ফল সবজি ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ এবং বাদাম খাওয়া
এছাড়াও যদি ভুলে যাওয়ার সমস্যা গুরুতর হয় এবং দৈনন্দিন জীবনে বাধা দেয় তাহলে একজন চিকিৎসক বা স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তারা আপনাকে সঠিক পরীক্ষা এবং চিকিৎসা প্রদান করতে পারেন।

ভুলে যাওয়া কিসের লক্ষণ

ভুলে যাওয়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে এবং এটি কিছু সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা বা মানসিক অবস্থার লক্ষণ হতে পারে। এর মধ্যে কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো।
  • স্মৃতিলোপঃ সাম্প্রতিক ঘটনা বা তথ্য ভুলে যাওয়া
  • ঘুমের প্যাটার্নে পরিবর্তনঃ অতিরিক্ত ঘুম বা ঘুমের অভাব
  • ব্যক্তিগত যত্নে অনীহাঃ নিজের যত্ন না নেওয়া বা উদাসীনতা
  • ব্যক্তিত্বের আকস্মিক পরিবর্তনঃ মেজাজের হঠাৎ পরিবর্তন বা অস্থিরতা
  • সামাজিক অবসর বা উদাসীনতাঃ সামাজিক কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া
  • কথা বলার সময় সঠিক শব্দ খুঁজে না পাওয়াঃ প্রচলিত শব্দ বা নাম মনে না করতে পারা।
এই লক্ষণগুলো ডিমেনশিয়া বা আলঝেইমার্স রোগের লক্ষণ হতে পারে যা সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায় তবে এই লক্ষণগুলো অবশ্যই ডিমেনশিয়ার নির্দেশ না-ও করতে পারে এবং অন্যান্য কারণেও হতে পারে যেমন স্ট্রেস অপর্যাপ্ত ঘুম অপুষ্টি বা অতিরিক্ত মদ্যপান। যদি এই ধরনের লক্ষণ নিয়মিত বা বাড়তে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ভুলে যাওয়া রোগের নাম কি

ভুলে যাওয়া রোগের নাম হল ডিমেনশিয়া। এটি একটি মস্তিষ্কের ক্ষয়জনিত রোগ যা মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি স্মৃতিশক্তি এবং ব্যক্তিত্বের ধরন পরিবর্তন করে ডিমেনশিয়ার অনেক ধরনের প্রকারভেদ রয়েছে যার মধ্যে আলঝেইমারস ডিজিজ সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে এই রোগে মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষগুলোতে প্রোটিনের প্লাক জমা হয় যা চিন্তার ক্ষমতা আচরণ ব্যক্তিত্ব এবং স্মৃতিশক্তির লক্ষণগুলোতে প্রভাব ফেলে ডিমেনশিয়ার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি তবে এটি বংশগত হতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপ ধূমপান অতিরিক্ত মদ্যপান থাইরয়েডের সমস্যা ইত্যাদি ঝুঁকি বাড়ায় ডিমেনশিয়ার চিকিৎসা সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয় তবে কিছু ওষুধ এবং থেরাপির মাধ্যমে এর গতিটাকে কমানো যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url