ফুল ফ্রি স্কলারশিপ ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
সম্মানিত পাঠক বন্ধুরা, আসসালামুয়ালাইকুম, বাহিরে পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন ফুল পিস স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশ মাস্টার্স করতে চাচ্ছেন আপনার জন্য তাহলে আজকের আমার এই পোস্টটি ফুল ফ্রি স্কলারশিপ ২০২৪ বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে সেসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে।
সে সব বিষয় নিয়েও থাকছে বিস্তারিত আলোচনা তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক ফুল ফ্রি স্কলারশিপ ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আশা করি পুরোপুরি পড়বেন আরও থাকছে স্কলারশিপের আবেদন বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা সেসব বিষয় নিয়ে ও থাকছে অনেক না জানা তথ্য আশা করি শেষ অব্দি সঙ্গে থাকবেন তাই বেশি কিছু না বলি মূল বিষয়ে চলে যায় আসুন জেনে নেই।
বিদেশে মাস্টার্স করতে কত টাকা লাগে
বিদেশে মাস্টার্স করতে গেলে খরচের পরিমাণ বিভিন্ন দেশ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আপনার নির্বাচিত বিষয়ের উপর নির্ভর করে। সাধারণত টিউশন ফি জীবনযাত্রার খরচ বই-খাতা আবাসন এবং ভিসা সংক্রান্ত খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। একটি সাধারণ হিসাব অনুযায়ী বছরে প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে তবে কিছু দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি খুবই কম অথবা মোটেও নেই যেমন জার্মানি ইতালি এবং অস্ট্রিয়া। এছাড়াও স্কলারশিপ এবং আর্থিক সাহায্যের সুযোগ বিবেচনা করে খরচ কমানো সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ বিএসসি নার্সিং এর বেতন কত
কানাডায় স্কলারশিপ ও যুক্তরাষ্ট্র ইনকামের সুযোগ থাকলেও ইউরোপের কিছু দেশে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং বিনা খরচে পড়ার সুযোগ পাওয়া যায় আপনি যদি বিদেশে মাস্টার্স করতে চান তাহলে আপনার আর্থিক সামর্থ্য পড়াশোনার বিষয় ভবিষ্যৎ চাকরির সম্ভাবনা এবং অগ্রাধিকারের উপর ভিত্তি করে সঠিক দেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করা উচিত। সঠিক তথ্য এবং পরামর্শের জন্য আপনি বিদেশি শিক্ষা কনসালটেন্সি বা আপনার দেশের উচ্চশিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
কোন দেশের সহজে স্কলারশিপ পাওয়া যায়
বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য কিছু দেশ বেশি পরিচিত যেখানে স্কলারশিপের সুযোগ বেশি এবং প্রক্রিয়া সহজ। এমন কিছু দেশ হলোঃ
- ফ্রান্সঃ সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ধরনের স্কলারশিপ পাওয়া যায়।
- সুইডেনঃ সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ধরনের স্কলারশিপ পাওয়া যায়।
- কানাডাঃ সরকারি বেসরকারি এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ পাওয়া যায়।
- নরওয়েঃ বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি নেই এবং নরওয়েজিয়ান সরকার স্কলারশিপ প্রদান করে।
- জার্মানিঃ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি নেই এবং জার্মান সরকার এবং প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ অফার করে।
এছাড়াও চীন জাপান ইতালি স্পেন চেক রিপাবলিক তাইওয়ান বেলজিয়াম আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলেও স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ ভালো। স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আপনার একাডেমিক অর্জন গবেষণার আগ্রহ এবং ব্যক্তিগত বিবৃতি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শক্তি এবং অর্জনগুলি হাইলাইট করে আবেদন করা এবং সময়সীমার মধ্যে আবেদন করা জরুরী। আপনি যদি আরও তথ্য চান, তাহলে আপনার পছন্দের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং সরকারি ও বেসরকারি স্কলারশিপ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট দেখতে পারেন।
বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা
বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এগুলো হলোঃ
- বৈধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ আপনাকে বৈধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হবে।
- সময়মত পরিকল্পনা ও আবেদনঃ স্কলারশিপের জন্য সময়মত আবেদন করা এবং সঠিক পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ।
- আর্থিক অবস্থাঃ কিছু স্কলারশিপ আর্থিক অসচ্ছলতা বিবেচনা করে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে আর্থিক অসচ্ছলতার প্রমাণ দিতে হবে।
- একাডেমিক ফলাফলঃ ভালো একাডেমিক ফলাফল অত্যন্ত জরুরি। উচ্চ গ্রেড এবং ভালো সিজিপিএ স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
- গবেষণা অভিজ্ঞতা ও প্রকাশনাঃ যদি আপনি গবেষণা ভিত্তিক কোর্সে আবেদন করেন, তাহলে গবেষণা অভিজ্ঞতা এবং প্রকাশনা গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুনঃ নার্সের দায়িত্ব ও কর্তব্য কি
এছাড়াও বিভিন্ন স্কলারশিপের জন্য বিশেষ যোগ্যতা বা শর্ত থাকতে পারে। তাই, আপনি যে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করবেন সেই স্কলারশিপের নির্দিষ্ট যোগ্যতা এবং শর্তাবলী জানতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ভিজিট করা উচিত।
পিএইচডি করতে কত টাকা লাগে
বিদেশে পিএইচডি করার খরচ বিভিন্ন দেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য টিউশন ফি থাকা-খাওয়া বই-পুস্তক এবং অন্যান্য খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। একটি সাধারণ ধারণা দিতে গেলেঃ
- মালয়েশিয়ায়ঃ পড়াশোনার জন্য বছরে প্রায় ৮/১০ লাখ টাকা।
- যুক্তরাজ্যেঃ প্রকৌশল বা জটিল বিষয়ে পড়াশোনার জন্য বছরে প্রায় ২৫ লাখ টাকা এবং অন্যান্য বিষয়ের জন্য ১৭/১৮ লাখ টাকা।
আরো পড়ুনঃ বিএসসি নার্সিং এর ভবিষ্যৎ
তবে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকার পিএইচডি ছাত্রদের জন্য স্কলারশিপ এবং ফান্ডিং অপশন অফার করে থাকে যা খরচ কমাতে সাহায্য করে। স্কলারশিপ পেলে আপনার খরচ অনেক কমে যেতে পারে বা পুরোপুরি মুক্ত হতে পারে। স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য ভালো একাডেমিক রেকর্ড ভাষা দক্ষতা এবং গবেষণা অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি বিশেষ কোনো দেশ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচের বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট বা শিক্ষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইটগুলো যেমন Youth Opportunities, youth carnival, খোলা বাক্স ইত্যাদি ভিজিট করে আরও তথ্য পেতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে স্কলারশিপ এবং ফান্ডিং সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়। সঠিক তথ্যের জন্য সরাসরি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসে যোগাযোগ করা সবচেয়ে ভালো।
মাস্টার্স স্কলারশিপ
বিদেশে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার বিষয়ে আপনি জানতে চাইছেন তাই না বিভিন্ন দেশে এবং বিভিন্ন বিষয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য অনেক ধরনের স্কলারশিপ পাওয়া যায়। এখানে কিছু জনপ্রিয় স্কলারশিপের তথ্য দেওয়া হলোঃ
- ফুলব্রাইট স্কলারশিপঃ এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় আসা-যাওয়ার বিমান ভাড়া টিউশন ফি থাকা-খাওয়া এবং ব্যক্তিগত খরচের জন্য মাসিক স্টাইপেন্ড স্বাস্থ্য বীমা ভ্রমণ এলাওয়েন্স ব্যাগেজ এলাওয়েন্স সহ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
- শেভেনিং স্কলারশিপ ও কমনওয়েলথ মাস্টার্স স্কলারশিপঃ যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই প্রোগ্রামে ১৪৪ দেশ থেকে প্রায় ১৫০০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের সুযোগ করে দেওয়া হয়। কমনওয়েলথ স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করার পাশাপাশি মাসে প্রায় ২ লাখ টাকা পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কী
আপনি যদি ইউরোপীয় দেশগুলোতে মাস্টার্স করতে চান তাহলে ইরাসমাস মুন্ডাস কমনওয়েলথ বা ডিএএডি ভাষার বৃত্তির মাধ্যমে সুযোগ পাওয়া যেতে পারে আরও বিস্তারিত জানতে এবং আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করতে আপনি উল্লিখিত লিংকগুলো দেখতে পারেন। স্কলারশিপের জন্য আবেদন করার আগে প্রতিটি প্রোগ্রামের যোগ্যতা মানদণ্ড, আবেদনের সময়সীমা এবং অন্যান্য বিস্তারিত ভালোভাবে পড়ে নিন। শুভকামনা!
স্কলারশিপ এর আবেদন
স্কলারশিপের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া সাধারণত নির্দিষ্ট কিছু ধাপ অনুসরণ করে। এখানে ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপের জন্য আবেদন প্রক্রিয়ার একটি সাধারণ ধারণা দেওয়া হলোঃ
- অপেক্ষাঃ আবেদনের পরে স্কলারশিপ কমিটির সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করুন।
- সাক্ষাৎকারঃ কিছু ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হতে পারে। এর জন্য প্রস্তুত থাকুন।
- প্রস্তুতিঃ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করুন বা স্নাতক ডিগ্রির শেষ বছরে থাকুন। আইএলটিএস বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভাষা পরীক্ষার স্কোর অর্জন করুন।
- আবেদনঃ প্রোগ্রামের জন্য অনলাইনে আবেদন করুন। প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট যেমন পাসপোর্টের কপি শিক্ষাগত সার্টিফিকেট সিভি মোটিভেশন লেটার ইত্যাদি সংযুক্ত করুন।
নবান্ন স্কলারশিপের মতো কিছু স্কলারশিপের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায় যেখানে আবেদনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। প্রতিটি স্কলারশিপের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে তাই আপনি যে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে চান সেই স্কলারশিপের ওয়েবসাইটে গিয়ে সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করুন। সব ধরনের আবেদনের জন্য সঠিক ডকুমেন্টেশন এবং সময়মতো আবেদন করা গুরুত্বপূর্ণ। শুভকামনা!
ফুল ফ্রি স্কলারশিপ ২০২৪
২০২৪ সালের জন্য ফুল ফ্রি স্কলারশিপের বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে, যেমনঃ
- সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট অ্যাওয়ার্ড (সিঙ্গাঃ) সিঙ্গাপুরে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নের সুযোগ দেয়। এই স্কলারশিপের মেয়াদ সর্বোচ্চ চার বছর।
- মাস্টার মাইন্ড স্কলারশিপঃ বেলজিয়ামের ফ্ল্যান্ডার্স সরকার প্রতিবছর প্রায় ৩০টি স্কলারশিপ দেয় যেখানে আবাসন চিকিৎসা বীমা টিউশন ফি মওকুফসহ ৮ হাজার ২০০ ইউরো শিক্ষা ভাতা প্রদান করা হয়।
- ফুলব্রাইট স্কলারশিপঃ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়ার সুযোগ দেয়। এই স্কলারশিপে আসা-যাওয়ার বিমান ভাড়া টিউশন ফি থাকা-খাওয়া এবং ব্যক্তিগত খরচের জন্য মাসিক স্টাইপেন্ড স্বাস্থ্য বীমা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
আরো পড়ুনঃ সরকারি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং কলেজের তালিকা
জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে এডিবি স্কলারশিপ–২০২৪ এর মাধ্যমে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে। এই স্কলারশিপগুলো সাধারণত মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে দেওয়া হয়। আপনি যদি এই স্কলারশিপ গুলোর জন্য আগ্রহী হন তাহলে প্রতিটি স্কলারশিপের জন্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদনের নির্দেশনা এবং শেষ তারিখ সম্পর্কে জানুন। সঠিক ডকুমেন্টেশন এবং সময়মতো আবেদন করা গুরুত্বপূর্ণ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url