ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড এর ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানুন

সম্মানিত পাঠক বন্ধুরা আশা করছি সবাই ভালো আছেন আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ডেভিড কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড এর মধ্যে পার্থক্য কি ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম ক্রেডিট কার্ড কি ডেবিট কার্ড কি সেসব বিষয় নিয়েও বিস্তারিত থাকছে আমার এই পোস্টটিতে ডেবিট কার্ডের সুবিধা কি
ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড এর ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানুন
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যায় ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারের নিয়ম ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড এর মধ্যে পার্থক্য কি সেসব বিষয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা আশা করি আমার এই বাংলা পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হবেন আর এরকম নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি নিয়ম ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

ডেবিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম

ডেবিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম নিম্নরূপঃ
  • ডেবিট কার্ড পাওয়ার উপায়ঃ ডেবিট কার্ড পেতে হলে আপনার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা প্রয়োজন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার পর আপনি ডেবিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন
  • ডেবিট কার্ড ব্যবহারের সময় সচেতনতাঃ ডেবিট কার্ড ব্যবহারের সময় নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতন থাকা উচিত। কার্ডের পিন নম্বর গোপন রাখুন এবং অনলাইন লেনদেনের সময় নিরাপদ ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন
  • ডেবিট কার্ড কি ডেবিট কার্ড হল একটি পেমেন্ট কার্ড যা ব্যবহার করার সময় গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি অর্থ কেটে নেয়। এটি পণ্য বা পরিষেবা কেনার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে অথবা এটিএম মেশিনে থেকে টাকা তুলতে পারেন।
  • ডেবিট কার্ড কিভাবে কাজ করে ডেবিট কার্ড আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সাথে লিঙ্ক করা থাকে। আপনি যখন এই কার্ড ব্যবহার করেন তখন আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি টাকা কেটে নেওয়া হয়। যদি অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকে তাহলে লেনদেন সম্পন্ন হবে না।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম নিম্নরূপঃ
  • নিশ্চিন্তে কেনাকাটাঃ ক্রেডিট কার্ড সচল থাকলে অনলাইন ও অফলাইনে বিল পে করা যায়।
  • প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করার সময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিতে হয়।
  • এক্টিভেশনঃ ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার পর প্রথমেই এটি এক্টিভ করতে হবে। এক্টিভ না হলে লেনদেন সম্ভব নয়।
  • ক্রেডিট কার্ডের খরচ ও শর্তঃ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের উপর চার্জ প্রযোজ্য থাকে তাই এর চার্জ ও শর্ত জানা প্রয়োজন।
  • গোপনীয়তা নিশ্চিত করুনঃ ক্রেডিট কার্ডের তথ্য গোপন রাখুন এবং স্ক্যামিং ওয়েবসাইটে তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • পাসওয়ার্ডঃ ক্রেডিট কার্ড এক্টিভ করার সময় ৪ ডিজিটের একটি পিনকোড সেট করতে হবে এবং এই পিনকোড গোপন রাখতে হবে।
আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে আরও কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে জানান।

ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড এর মধ্যে পার্থক্য কি

ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলো হলো।
১ঃ ইএমআই
  • ডেবিট কার্ডঃ ইএমআই (একোয়াটেড মান্থলি ইন্সটলমেন্ট) সুবিধা লাভ করা যায় না।
  • ক্রেডিট কার্ডঃ ইএমআই এর মাধ্যমে মাসিক কিস্তি হিসেবে ঋণ পরিশোধ করা যায়।
২ঃ অর্থের উৎস
  • ডেবিট কার্ডঃ আপনার নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি অর্থ পরিশোধিত হয়।
  • ক্রেডিট কার্ডঃ ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ ঋণ হিসেবে প্রদান করে

৩ঃ ক্রেডিট লিমিট
  • ডেবিট কার্ডঃ আপনার অ্যাকাউন্টে যে পরিমাণ টাকা আছে শুধু সেই পরিমাণ টাকা ব্যবহার করা যায়।
  • ক্রেডিট কার্ডঃ ব্যাংক যে পরিমাণ টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছে শুধু সেই পরিমাণ টাকা ব্যবহার করা যায়।
৪ঃ বিল প্রদান
  • ডেবিট কার্ডঃ ব্যাংকে নিজের জমা টাকা থেকেই বিল পরিশোধ করা হয়।
  • ক্রেডিট কার্ডঃ ব্যাংক বিল পরিশোধ করে যা পরবর্তীতে গ্রাহককে ফেরত দিতে হয়।
৫ঃ সুদ
  • ডেবিট কার্ডঃ ব্যবহারকারীকে কোনো সুদ বা চার্জ প্রদান করতে হয় না।
  • ক্রেডিট কার্ডঃ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবহারকৃত অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে সুদ দিতে হয়।
৬ঃ ফি ও চার্জ
  • ডেবিট কার্ডঃ সাধারণত বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হয়।
  • ক্রেডিট কার্ডঃ বার্ষিক ফি রেজিস্ট্রেশান ফি প্রসেসিং ফি বিলম্ব ফি ইত্যাদি প্রদান করতে হয়।

ডেবিট কার্ড কি

ডেবিট কার্ড হলো একটি পেমেন্ট কার্ড যা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত থাকে। এই কার্ড দিয়ে আপনি সরাসরি আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ প্রদান করতে পারেন যেমন দোকানে কেনাকাটা করার সময় বা এটিএম মেশিন থেকে নগদ টাকা তোলার জন্য। এটি আপনাকে নগদ অর্থ বহন করার ঝুঁকি এবং অসুবিধা থেকে মুক্তি দেয়। ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করা হলে অর্থ সরাসরি আপনার চেকিং বা সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হয় যা একটি সুরক্ষিত এবং সুবিধাজনক পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে। আপনার যদি ডেবিট কার্ড সম্পর্কে আরও কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে জানান।

ক্রেডিট কার্ড কি

ক্রেডিট কার্ড হলো একটি আর্থিক পেমেন্ট কার্ড যা ব্যবহারকারীকে নির্দিষ্ট ক্রেডিট লিমিটের মধ্যে অর্থ ঋণ হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি দেয়। এই কার্ডের মাধ্যমে আপনি পণ্য কিনতে বা পরিষেবা গ্রহণ করতে পারেন এবং পরবর্তীতে ব্যাংককে সেই অর্থ ফেরত দিতে হয়। ক্রেডিট কার্ডের সাথে সাধারণত একটি বিলিং চক্র থাকে যেখানে আপনি প্রতি মাসে বা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবহার করা অর্থের বিল পরিশোধ করতে পারেন। যদি সময়মতো বিল পরিশোধ না করা হয় তাহলে সুদ প্রযোজ্য হতে পারে। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সময় নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষ সচেতন থাকা উচিত যেমন কার্ডের তথ্য গোপন রাখা এবং অনলাইন লেনদেনের সময় নিরাপদ ওয়েবসাইট ব্যবহার করা। আপনার যদি ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে আরও কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে জানান।

ডেবিট কার্ডের বাৎসরিক চার্জ কত

বাংলাদেশে ডেবিট কার্ডের বাৎসরিক চার্জ ব্যাংক অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাস্টার কার্ড ডেবিট কার্ডের জন্য প্রথম বছরের জন্য ৯২০ টাকা এবং প্রতি বছরান্তে একই পরিমাণ চার্জ প্রযোজ্য অন্যদিকে SBI ব্যাংকের ক্লাসিক সিলভার গ্লোবাল এবং কন্টাক্টলেস ডেবিট কার্ডের জন্য চার্জ বেড়ে ২০০ টাকা + GST হয়েছে তবে এই চার্জগুলি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হতে পারে এবং বিভিন্ন ব্যাংকের নীতি অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। আপনার নিজের ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে সর্বশেষ চার্জের তথ্য জানা সবচেয়ে ভালো।

ডেবিট কার্ডের সুবিধা

ডেবিট কার্ডের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে যেমন।
  • কোনো সুদ নেইঃ ডেবিট কার্ডে ক্রেডিট কার্ডের মতো কোনো বাৎসরিক বা মাসিক সুদ দিতে হয় না।
  • দ্রুত অনুমতিঃ ডেবিট কার্ড পাওয়ার জন্য দ্রুত এবং সহজেই অনুমতি পাওয়া যায় কোনো ক্রেডিট স্কোরের প্রয়োজন হয় না।
  • নিরাপদ লেনদেনঃ ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে আপনি নিরাপদে লেনদেন করতে পারেন কারণ এটি সরাসরি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে যুক্ত।
  • সহজ অ্যাক্সেসঃ ডেবিট কার্ড দিয়ে আপনি যেকোনো সময় এটিএম মেশিন থেকে টাকা তুলতে পারেন এবং অনলাইন বা দোকানে পেমেন্ট করতে পারেন।
  • ব্যালেন্স নিয়ন্ত্রণঃ ডেবিট কার্ডে আপনি শুধুমাত্র আপনার অ্যাকাউন্টে যত টাকা আছে ততটুকুই খরচ করতে পারেন যা অতিরিক্ত খরচ এড়াতে সাহায্য করে।
এই সুবিধাগুলি ডেবিট কার্ডকে অনেক ব্যবহারকারীর জন্য আকর্ষণীয় এবং সুবিধাজনক করে তোলে। আপনার যদি আরও কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে জানান।

ডেবিট কার্ড দিয়ে টাকা তোলার নিয়ম

ডেবিট কার্ড দিয়ে টাকা তোলার নিয়ম নিম্নরূপ।
  • এটিএম বুথে যানঃ প্রথমে আপনাকে একটি এটিএম বুথে যেতে হবে।
  • পিন নম্বর প্রবেশ করানঃ আপনার ডেবিট কার্ডের পিন নম্বরটি সঠিকভাবে প্রবেশ করান।
  • টাকা গ্রহণ করুনঃ টাকা বের হওয়ার পর সেগুলি গ্রহণ করুন এবং রসিদ প্রিন্ট করার অপশন থাকলে তা নিন।
  • ভাষা নির্বাচন করুনঃ মেশিনের পর্দায় প্রদর্শিত ভাষাগুলির মধ্যে থেকে আপনার পছন্দের ভাষা নির্বাচন করুন।
  • টাকা তোলার অপশন নির্বাচন করুনঃ পিন নম্বর প্রবেশের পর টাকা তোলার জন্য প্রযোজ্য অপশনটি নির্বাচন করুন।
  • কার্ড প্রবেশ করানঃ এটিএম মেশিনে আপনার ডেবিট কার্ডটি সঠিকভাবে প্রবেশ করান। কার্ডের চিপ বা ম্যাগনেটিক স্ট্রিপটি সাধারণত মেশিনের দিকে থাকবে।
  • পরিমাণ নির্বাচন করুনঃ আপনি যে পরিমাণ টাকা তুলতে চান সেটি নির্বাচন করুন। কিছু এটিএম মেশিনে প্রাক-নির্ধারিত পরিমাণ থাকে অথবা আপনি নিজের পছন্দের পরিমাণ লিখে দিতে পারেন।
এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত সব এটিএম মেশিনে প্রায় একই রকম হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম মেশিনের ইন্টারফেস এবং অপশনগুলি কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। আপনার যদি আরও কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে জানান।

লেখক এর মন্তব্য ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড এর ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানুন

আজকে আমি যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি আশা করছি পুরোপুরি পড়ে আপনি অনেক কিছু জানতে পেরেছেন আমরা অনেকেই ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে থাকে কিন্তু অনেকেই জানিনা ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারের নিয়ম ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড পার্থক্য কি পার্থক্য কি ডেবিট কার্ড দিয়ে টাকা তোলার নিয়ম সম্পর্কেও অনেকে জানিনা তাই আমরা ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে ভয় পায় তাই আপনাদের জন্য আমার এই পোস্টটিতে বিস্তারিত রয়েছে যা কিনা আপনার মনের সংশয় দূর করতে সাহায্য করবে আর এরকম নতুন নতুন টিপস পেতে আমার এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন অন্যদের মাঝে শেয়ার করবেন লাইক কমেন্ট করে যাবেন আপনার কমেন্ট আমার লেখার আগ্রহ আরও বাড়িয়ে তুলবে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url