ডিপ্লোমা ইন নার্সিং এর কাজ কি - বিএসসি নার্সিং এর কাজ কি সম্পর্কে জানুন

সম্মানিত পাঠক বন্ধুরা আজকে যে বিষয় নিয়ে আমার এই পোস্টটিতে তুলে ধরেছি বিএসসি নার্সিং ও ডিপ্লোমা নার্সিং এর পার্থক্য ডিপ্লোমা ইন ইন নার্সিং এর কাজ কি বিএসসি নার্সিং এর কাজ কি সেসব বিষয় নিয়ে জানতে চান তাহলে আপনার জন্য আজকের এই পোস্টটি আশা করি পুরোটা পড়বেন এবং অনেক কিছু জানতে পারবেন আমার এই পোস্টটিতে।
ডিপ্লোমা ইন নার্সিং এর কাজ কি
বিএসসি নার্সিং ও ডিপ্লোমা নার্সিং এর মধ্যে পার্থক্য কি সেসব বিষয় জানার জন্য আমার এই বাংলা আর্টিকেলটি পড়বেন তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক বিএসসি নার্সিং ও ডিপ্লোমা নার্সিং এর পার্থক্য কি বিএসসি নার্সিং এর কাজ কি আর এরকম নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন।

ডিপ্লোমা নার্সিং কি

ডিপ্লোমা নার্সিং হলো একটি প্রবেশ-স্তরের তৃতীয় শিক্ষা নার্সিং শংসাপত্র যা সাধারণত হাসপাতাল-ভিত্তিক নার্সিং স্কুল দ্বারা প্রদান করা হয়। এই ডিপ্লোমা প্রোগ্রামের জন্য সাধারণত ২-৩ বছরের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন এবং এটি শেষ করার পর শিক্ষার্থীরা নিবন্ধিত নার্স হিসাবে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার যোগ্য হন। বাংলাদেশে নার্সিং পড়ার জন্য নূন্যতম এইচএসসি পাশ হতে হবে এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল (BNMC) কর্তৃক নির্ধারিত যোগ্যতা অনুসারে নার্সিং কলেজে ভর্তির জন্য একটি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এই প্রোগ্রাম সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীরা সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কেরিয়ার গড়ার সুযোগ পান।

ডিপ্লোমা ইন নার্সিং এর কাজ কি

ডিপ্লোমা ইন নার্সিং প্রাপ্ত ব্যক্তিরা স্বাস্থ্যসেবা খাতে নিম্নলিখিত ধরনের কাজ করে থাকেন।
  • গবেষণাঃ নার্সিং গবেষণা এবং স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে অবদান রাখা।
  • জরুরি সেবাঃ জরুরি বিভাগে কাজ করা এবং জরুরি চিকিৎসা প্রদান করা।
  • চিকিৎসকের সহায়তাঃ চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুসারে রোগীর চিকিৎসা সেবা প্রদান করা
  • স্বাস্থ্য শিক্ষাঃ রোগী এবং তাদের পরিবারকে স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক যত্ন সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া।
  • প্রশাসনিক কাজঃ হাসপাতালের প্রশাসনিক কাজে অংশ নেওয়া যেমন রোগীর রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ এবং স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা।
  • রোগীর যত্নঃ রোগীদের সার্বিক যত্ন নেওয়া যেমন ঔষধ প্রদান স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা এবং তাদের স্বাস্থ্যের অগ্রগতি বা অবনতি সম্পর্কে ডাক্তারকে নিয়মিত জানানো।
ডিপ্লোমা ইন নার্সিং প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিটে কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন যেমন অপারেশন থিয়েটার (OT) ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (ICU) কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট (CCU) হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (HDU) নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (NICU) এবং জরুরি ইউনিটে। তারা হাসপাতালে এবং হাসপাতালের বাইরে কাজ করে সেসব রোগীদের জন্য যারা শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন। নার্সের প্রধান কাজ হচ্ছে অসুস্থ রোগীদের জন্য মেডিকেল ও নার্সিং কেয়ার সরবরাহ করা।

বিএসসি নার্সিং এর কাজ কি

বিএসসি নার্সিং হলো নার্সিং শিক্ষার একটি উচ্চতর ডিগ্রি যা সাধারণত চার বছরের কোর্স। এই ডিগ্রি প্রোগ্রাম সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থীরা নার্সিং পেশায় বিভিন্ন ধরনের কাজে নিযুক্ত হতে পারেন। বিএসসি নার্সিং ডিগ্রিধারীদের কাজের ক্ষেত্রগুলি হলো।
  • স্বাস্থ্য শিক্ষাঃ রোগী এবং তাদের পরিবারকে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত শিক্ষা প্রদান।
  • গবেষণাঃ নার্সিং পেশায় গবেষণা করা এবং নতুন জ্ঞান এবং প্রযুক্তি অনুসন্ধান করা।
  • পরিচর্যা পরিকল্পনাঃ রোগীর চিকিৎসা ও পরিচর্যার জন্য পরিকল্পনা তৈরি এবং তা বাস্তবায়ন।
  • প্রশাসনিক কাজঃ হাসপাতালের প্রশাসনিক কাজে অংশগ্রহণ এবং নার্সিং টিমের নেতৃত্ব দেওয়া।
  • রোগীর সেবাঃ রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ঔষধ প্রদান এবং তাদের স্বাস্থ্যের অগ্রগতি বা অবনতি সম্পর্কে ডাক্তারকে জানানো
বিএসসি নার্সিং ডিগ্রি শিক্ষার্থীদের নার্সিং পেশায় উচ্চতর পদে কাজ করার সুযোগ দেয় এবং তাদের কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত করে। এই ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থীরা সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারেন

বিএসসি নার্সিং ও ডিপ্লোমা নার্সিং এর পার্থক্য

বিএসসি নার্সিং এবং ডিপ্লোমা নার্সিং এর মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলি হলো।
  • শিক্ষাগত সময়কাল বিএসসি নার্সিংঃ সাধারণত চার বছরের কোর্স।
  • ডিপ্লোমা নার্সিংঃ প্রোগ্রাম এবং দেশের উপর নির্ভর করে সাধারণত ২ থেকে ৩ বছরের কোর্স।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি নার্সিংঃ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে যা উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা।
  • ডিপ্লোমা নার্সিংঃ একটি ডিপ্লোমা বা শংসাপত্র পান যা সাধারণত স্নাতক ডিগ্রির তুলনায় নিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা।
  • ডিপ্লোমা নার্সিংঃ মৌলিক নার্সিং দক্ষতা রোগীর যত্নের কৌশল ফার্মাকোলজি এবং ক্লিনিকাল ঘূর্ণনের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং নার্সিং কেয়ারের ব্যবহারিক দিকগুলিতে আরও ফোকাস করে।
  • বিএসসি নার্সিংঃ অ্যানাটমি ফিজিওলজি, মাইক্রোবায়োলজি ফার্মাকোলজি সাইকোলজি কমিউনিটি হেলথ নার্সিং মেডিক্যাল-সার্জিক্যাল নার্সিং পেডিয়াট্রিক নার্সিং প্রসূতি নার্সিং ইত্যাদি সহ বিস্তৃত বিষয়গুলিকে কভার করে।
  • বিএসসি নার্সিংঃ অনেক দেশে নার্সিং লাইসেন্সের জন্য একটি স্নাতক ডিগ্রি আদর্শ প্রয়োজনীয়তা হয়ে উঠছে এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষার জন্য বিশেষীকরণ নেতৃত্বের ভূমিকা এবং সুযোগ সহ অগ্রগতির জন্য বৃহত্তর কর্মজীবনের সুযোগ প্রদান করে।
  • ডিপ্লোমা নার্সিংঃ কিছু অঞ্চলে ডিপ্লোমা নার্সিং প্রোগ্রামগুলি নার্সিং লাইসেন্সের জন্য স্বীকৃত এবং গৃহীত হয় তবে কর্মজীবনের অগ্রগতির সুযোগগুলি স্নাতক ডিগ্রিধারীদের তুলনায় কিছুটা সীমিত হতে পারে। তবে তারা আরও শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে এবং ব্রিজ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নার্সিং-এ বিএসসি পেতে পারে।
এই পার্থক্যগুলি বুঝে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যারিয়ার লক্ষ্য এবং প্রত্যাশা অনুসারে সঠিক কোর্স নির্বাচন করতে পারেন

ছেলেদের নার্সিং পড়ার যোগ্যতা

ছেলেদের নার্সিং পড়ার জন্য যোগ্যতা নিম্নরূপ
  • বৈবাহিক অবস্থাঃ প্রার্থীকে অবিবাহিত হতে হবে
  • ভর্তি পরীক্ষাঃ প্রার্থীকে ১০০ নাম্বারের MCQ পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে এবং ন্যূনতম পাস নাম্বার ৩০ পেতে হবে
  • কোটাঃ সরকারি নার্সিং কলেজে ছেলেদের জন্য ১০% এবং বেসরকারি কলেজে ২০% পর্যন্ত ভর্তির আসন সংরক্ষিত থাকবে
  • শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ নূন্যতম এইচএসসি পাশ হতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের দুটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে তবে কোন পরীক্ষায় জিপিএ ৩.০০ এর কম হবে না এবং উভয় পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে
এই যোগ্যতা সম্পন্ন হলে ছেলেরা বিএসসি নার্সিং এবং ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফেরি কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। তবে ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফেরি কোর্সে ছেলেরা ভর্তি হতে পারবেন না

নার্সিং এ ভর্তি হতে কি কি লাগে

নার্সিং কোর্সে ভর্তি হতে নিম্নলিখিত যোগ্যতা ও শর্তসমূহ প্রযোজ্য।
  • জাতীয়তাঃ প্রার্থীকে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষাঃ ভর্তি পরীক্ষায় নির্বাচিত প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে
  • বৈবাহিক অবস্থা: প্রার্থীকে অবিবাহিত হতে হবে (ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সের জন্য প্রযোজ্য নয়)।
  • ভর্তি পরীক্ষাঃ প্রার্থীকে ১০০ নাম্বারের MCQ পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে এবং ন্যূনতম পাস নাম্বার ৩০ পেতে হবে
  • কোটাঃ সরকারি নার্সিং কলেজে মহিলা - ৯০% এবং পুরুষ - ১০% তবে বেসরকারি কলেজে পুরুষ প্রার্থী ২০% পর্যন্ত ভর্তি হতে পারবেন
  • ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারিঃ যে কোনো বিভাগ হতে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান দুটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৬.০০ থাকতে হবে তবে কোনো একটি পরীক্ষায় জিপিএ ২.৫০ এর কম থাকা যাবে না
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি ইন নার্সিংঃ বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের দুই পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে তবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.০০ এর কম হবে না এবং উভয় পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে এই যোগ্যতা ও শর্তসমূহ পূরণ করলে প্রার্থী নার্সিং কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন।

নার্সিং পেশার গুরুত্ব

নার্সিং পেশা স্বাস্থ্যসেবা খাতে অপরিহার্য একটি ভূমিকা পালন করে। এই পেশা নিম্নলিখিত কারণে গুরুত্বপূর্ণ।
  • সেবামূলক পেশাঃ নার্সরা রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন এবং তাদের সুস্থতার জন্য কাজ করেন
  • মানবসেবাঃ নার্সিং পেশা মানবসেবার সাথে সরাসরি জড়িত যা সমাজের প্রতি একটি মহৎ অবদান রাখে
  • স্বাস্থ্য উন্নয়নঃ নার্সরা স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য উন্নয়নে অবদান রাখেন
  • পেশাগত উন্নয়নঃ নার্সিং পেশা বিশ্বব্যাপী পেশাগত উন্নয়নের সুযোগ প্রদান করে যেমন উচ্চশিক্ষা এবং বিদেশে কর্মসংস্থান
  • সংকটের সময়ে অবদানঃ মহামারী বা অন্যান্য সংকটের সময়ে নার্সরা যোদ্ধার মতো কাজ করেন এবং জীবন রক্ষার জন্য যুদ্ধ করেন
এই কারণগুলো নার্সিং পেশাকে সমাজের জন্য একটি অপরিহার্য এবং সম্মানিত পেশা হিসেবে গড়ে তুলেছে। নার্সরা তাদের দক্ষতা সহানুভূতি এবং সেবার মাধ্যমে রোগীদের জীবনে আশা এবং আনন্দ বয়ে আনেন।

বিএসসি নার্সিং এর কাজ কি

বিএসসি নার্সিং ডিগ্রি অর্জনকারীরা স্বাস্থ্যসেবা খাতে নিম্নলিখিত ধরনের কাজ করে থাকেন:
  • গবেষণাঃ নার্সিং গবেষণা এবং স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে অবদান রাখা।
  • জরুরি সেবাঃ জরুরি বিভাগে কাজ করা এবং জরুরি চিকিৎসা প্রদান করা।
  • চিকিৎসকের সহায়তাঃ চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুসারে রোগীর চিকিৎসা সেবা প্রদান করা
  • স্বাস্থ্য শিক্ষাঃ রোগী এবং তাদের পরিবারকে স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক যত্ন সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া।
  • প্রশাসনিক কাজঃ হাসপাতালের প্রশাসনিক কাজে অংশ নেওয়া যেমন রোগীর রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ এবং স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা।
  • রোগীর যত্নঃ রোগীদের সার্বিক যত্ন নেওয়া যেমন ঔষধ প্রদান স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা এবং তাদের স্বাস্থ্যের অগ্রগতি বা অবনতি সম্পর্কে ডাক্তারকে নিয়মিত জানানো
এই কাজগুলো ছাড়াও বিএসসি নার্সিং ডিগ্রিধারীরা বিভিন্ন বিশেষায়িত ক্ষেত্রে কাজ করতে পারেন যেমন মাতৃস্বাস্থ্য শিশু স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য জনস্বাস্থ্য এবং অন্যান্য। এছাড়াও তারা শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান গবেষণা সংস্থা এবং স্বাস্থ্য নীতি নির্ধারণে কাজ করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url