টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে বা বেড়ে গেলে কি হয় - মেয়েদের টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে কি কি সমস্যা হয়

হ্যালো বন্ধুরা আপনি কি টেস্টোস্টেরন হরমোন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনার জন্য আজকে আমার এই পোস্টটি টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে বা বেড়ে গেলে কি হয় টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঔষধ কি কি খাবার খেলে টেস্ট হরমোন বৃদ্ধি পায় সেসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আমার এই পোস্টটিতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মেয়েদের টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে সেসব বিষয় নিয়েও আলোচনা রয়েছে এই পোস্টটিতে।
টেস্টোস্টেরন  হরমোন কমে বা বেড়ে গেলে কি হয়
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে বা বেড়ে গেলে কি হয় মেয়েদের টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে কি কি সমস্যা হয় সেসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা আশা করি শেষ পর্যন্ত পড়বেন অনেক না জানা কিছু জানতে পারবেন আর এরকম আরো নতুন নতুন তথ্য জানতে আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন।

টেস্টোস্টেরন কম হওয়ার লক্ষণ কি

আসলে টেস্টোস্টেরন হরমোন পুরুষের যৌনক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে দেখা গিয়েছে যে এই হরমোনের পরিমাণ শরীরে কমলে যৌন ইচ্ছে কমে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এছাড়াও হাড় ক্ষয়ে যাওয়া চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। শুধু যৌনক্ষমতা নয় পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাবে অবসাদ চুল পড়ে যাওয়া-সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। অন্যান্য হরমোন সম্পর্কে জানা না থাকলেও পুরুষালী হরমোন ‘টেস্টোস্টেরন’য়ের নাম সম্ভবত সবাই জানেন। 
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই হরমোন তৈরি হয় অণ্ডকোষে এবং এটাই পুরুষের যৌনক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে। একজন পুরুষের শরীরে এই হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া বা তা তৈরি হওয়া একেবারেই বন্ধ হয়ে যাওয়াটা শারীরিক সমস্যা। এর ফলাফল শুধু যৌনক্ষমতা কমে যাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। সঙ্গে আছে অবসাদ চুল পড়ে যাওয়া পেশির ঘনত্ব কমে যাওয়া বদমেজাজ ইত্যাদি। পাশাপাশি পুরুষদের যৌনতা ও শারীরিক গড়নেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এই হরমোনের অভাব।
  • আদর্শ মাত্রাঃযুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’য়ের তথ্য মতে টেস্টোস্টেরনের স্বাভাবিক মাত্রা হল প্রতি ডেসিলিটারে ৩০০ থেকে ১০০০ ন্যানোগ্রাম। প্রতি ডেসিলিটারে এই হরমোনের মাত্রা ৩০০ ন্যানোগ্রামের নিচে নেমে আসলেই তাকে ধরা হবে মাত্রা কমে গেছে। তরুণ বয়স পর্যন্ত এই হরমোনের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে আর মধ্যবয়স থেকে ক্রমশ কমতে থাকে।
সনাক্ত করার পদ্ধতি মনে রাখতে হবে পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন’য়ের মাত্রার তারতম্য হয় প্রতিদিন। তাই এই হরমোনের মাত্রা কমেছে কিনা তা জানতে হলে একাধিক রক্ত পরীক্ষা ও কয়েকটি উপসর্গের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
  • অণ্ডকোষ ছোট হয়ে যাওয়াঃ স্বাভাবিকের তুলনায় অণ্ডকোষ যদি ছোট মনে হয় তবে হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করানো উচিত। কারণ টেস্টোস্টেরন’য়ের অভাবে অণ্ডকোষ এবং পুরুষাঙ্গ দুটোর আকার ছোট হয়ে যেতে পারে।
  • অবসাদঃ সারাদিন নানান কাজে ব্যস্ত থাকার পর অবসাদ দেখা দেবে সেটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে যেসব পুরুষের টেস্টোস্টেরন য়ের অভাব রয়েছে তাদের কর্মক্ষমতা অনেকাংশে কমে যায়। ফলে দিন শেষে তারা অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে যান।
  • যৌনক্ষমতায় ভাটাঃ পুরুষের যৌনসসঙ্গমের ক্ষমতা এবং শুক্রানু উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে টেস্টোস্টেরন। তাই এর মাত্রা স্বাভাবিকের নিচে নেমে এলে যৌনক্ষমতা মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি এই হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে সঙ্গমের আগ্রহও কমে যেতে পারে।
  • মন ও মেজাজঃ টেস্টোস্টের য়ের অভাবের সঙ্গে আবেগতাড়িত বিভিন্ন সমস্যা জড়িয়ে আছে যেমন- মন খারাপ থাকা মানসিক চাপ খিটখিটে মেজাজ মানসিক অস্বস্তি ইত্যাদি। এর কারণ হল শারীরিক বিভিন্ন দিকের পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যাবলীতেও প্রভাব ফেলে এই হরমোন। তাই এর অভাবে একজন পুরুষের মানসিক অবস্থা অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে যায়।
  • লিঙ্গের দৃঢ়তা ধরে রাখায় সমস্যাঃ ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হল পুরুষ জননাঙ্গের দৃঢ়তা অর্জন করা কিংবা তা ধরে রাখার অক্ষমতা। নাইট্রিক অক্সাইড সরবরাহের মাধ্যমে টেস্টোস্টেরন হরমোনই মূলত লিঙ্গ দৃঢ় হওয়ার ঘটনাটি ঘটায়। ফলে শরীরে এই হরমোনের অভাব থাকলে লিঙ্গের দৃঢ়তা ধরে রাখা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি একজন পুরুষের আত্মবিশ্বাসের উপরেও এই হরমোনের বড় ধরনের প্রভাব বিদ্যমান।

টেস্টোস্টেরন হরমোনের কাজ কি

টেস্টোস্টেরন হলো পুরুষদের প্রাথমিক যৌন হরমোন এবং অ্যানাবলিক স্টেরয়েড। এটি পুরুষ প্রজনন টিস্যু যেমন টেস্টিস এবং প্রোস্টেটের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ‍ভূমিকা পালন করে। পেশি ও হাড়ের ভর বৃদ্ধি এবং শরীরের চুল বৃদ্ধির মতো গৌণ বৈশিষ্টগুলোকেও উন্নীত করে এই হরমোন। তাছাড়া পুরষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে মেজাজ আচরণ এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধের সাথে টেস্টোস্টেরন হরমোন জড়িত। এটি পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করে। আসুন জানি এটি ঠিক কি ধরণের কাজগুলো করে থাকে।
  • শুক্রানু উৎপাদনে সহায্য করে।
  • লিঙ্গ এবং অণ্ডকোষের বিকাশ ঘটায়।
  • বয়ঃসন্ধির সময় কণ্ঠের গভীরতা আনে।
  • হাড় বৃদ্ধি ও শক্ত করতে সহায়তা করে।
  • যৌন আকাঙ্খা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
  • পেশির আকার এবং শক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
  • বয়ঃসন্ধিকাল থেকে শুরু করে শরীরে বিভিন্ন অংশের চুল এবং পরবর্তী জীবনে টাক পড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।

টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায

নিয়মিতভাবে পর্যাপ্ত ঘুম টেস্টোস্টেরণ হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। পরিমিত পরিমান স্বাস্থ্যকর ঘুম এই হরমোনের মাত্রা আপনার অজান্তেই বাড়িয়ে দিবে।
  • স্বাভাবিক জীবণযাপন করার চেষ্টা করুন খুব বেশি স্ট্রেস নিবেন না। এটি স্বাস্থ্যের জন্য যেমন খারাপ তেমনি টেস্টোস্টেরনের বৃদ্ধিতেও বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
  • জিংকের টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধির জোরালো প্রমাণ রয়েছে। একসঙ্গে জিংক এবং ভিটামিন ডি অত্যন্ত কার্যকরভাবে এই হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • অ্যালকোহল বিভিন্ন রাসায়নিক এবং ঔষধের সংস্পর্শ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এটি ন্যাচারালি আপনার টেস্টোস্টেরনের মাত্রা এবং স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন কারণ সব ধরনের ব্যায়াম আপনার টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এই ক্ষেত্রে ভারউত্তোলন বা হাই-ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং এর মতো ব্যায়ামগুলো বেশি কার্যকর।
  • অতিরিক্ত খাবেন না একইভাবে খুব কম খাওয়া বা খুব সীমিত আকারে ক্যালোরি গ্রহণ করাও বেশ ক্ষতিকর হতে পারে। একটি সুষম খাদ্য তালিকা অনুসরণ করুন যেখানে পরিমিত পরিমান শর্করা চর্বি এবং প্রোটিন থাকবে।
  • ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তি বা যাদের রক্তে ভিটামিন ডি কম থাকে। এক্ষেত্রে সকালের রোদ বেশ উপকারি অথবা আপনি সাপ্লিমেন্ট আকারে ভিটামিন ডি খেতে পারেন।
  • কিছু ভেষজ যেমন অশ্বগন্ধা প্রাকৃতিকভাবে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়াতে সক্ষম। একটি গবেষণায় দেখা যায় বন্ধ্যা পুরুষদের ক্ষেত্রে এই ভেষজটি বিস্তর প্রভাব বিস্তার করে। গবেষণায় এটি টেস্টোস্টেরনের মাত্রা 17% এবং শুক্রানুর সংখ্যা 167% বৃদ্ধি করার প্রমাণ পাওয়া যায়।

টেস্টোস্টেরন বাড়ায় যেসব খাবার

এই হরমোনের ঘাটতি হলে পুরুষের শরীরের নানান রকম সমস্যা হতে পারে।
বয়স ত্রিশ পেরোনোর পর পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ কমতে শুরু করে। ফলে স্মৃতিশক্তি হ্রাসের পাশাপাশি কামবাসনা কমে যাওয়া লিঙ্গোত্থানে সমস্যা খারাপ মেজাজসহ মনোযোগের অভাব দেখা দেয়। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত কিছু খাবার খাওয়ার অভ্যাস করলেই উপকৃত হওয়া যায়।
ঝিনুকঃ টেস্টোস্টেরন তৈরিতে জিংক গুরুত্বপূর্ণ। ঝিনুকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ খনিজ উপাদান। যা টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে।

টেস্টোস্টেরন  হরমোন কমে বা বেড়ে গেলে কি হয়

কলাঃ এই ফলের ব্রোমেলেইন এনজাইম টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। আর দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি সরবরাহের উৎস হিসেবে কাজ করে।
টেস্টোস্টেরন  হরমোন কমে বা বেড়ে গেলে কি হয়
ডিমঃ ডিমে আছে স্যাচারেইটেড ফ্যাট ওমেগা থ্রিএস ভিটামিন ডি কলেস্টেরল এবং প্রোটিন। টেস্টোস্টেরন হরমোন তৈরির জন্য এই উপাদানগুলো জরুরি।
টেস্টোস্টেরন  হরমোন কমে বা বেড়ে গেলে কি হয়
রসুনঃ রসুনের আলিসিন যৌগ মানসিক চাপের হরমোন করটিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে টেস্টোস্টেরন ভালোমতো কাজ করে। ভালো ফল পেতে রসুন কাঁচা খাওয়ার অভ্যেস করুন।
টেস্টোস্টেরন  হরমোন কমে বা বেড়ে গেলে কি হয়
কাঠবাদামঃ নারী এবং পুরুষ উভয়ের ‘সেক্স ড্রাইভ’য়ের জন্য প্রতিদিন এক মুঠ কাঠবাদাম যথেষ্ট। এই বাদামে রয়েছে জিঙ্ক যা টেস্টোস্টেরন হরমোন বাড়ায় আর কামবাসনা বৃদ্ধি করে।
টেস্টোস্টেরন  হরমোন কমে বা বেড়ে গেলে কি হয়
মধুঃ মধুতে আছে প্রাকৃতিক নিরাময়কারী উপাদান বোরোন। এই খনিজ উপাদান টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বাড়াতে এবং নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা ঠিক রাখে। যা ধমনী সম্প্রসারণ করে লিঙ্গোত্থানে শক্তি সঞ্চার করে
টেস্টোস্টেরন  হরমোন কমে বা বেড়ে গেলে কি হয়

বাঁধাকপিঃ
এই সবজিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। আরও আছে ইনডোল থ্রি-কার্বিনল। এই উপাদান স্ত্রী হরমোন ওয়েস্ট্রজেনের পরিমাণ কমিয়ে টেস্টোস্টেরন বেশি কার্যকর করে তোলে।
ঝিনুক পছন্দ না তাহলে বিকল্প হতে পারে চিজ বা পনির। বিশেষ করে সুইস এবং রিকোত্তা চিজ।

মেয়েদের টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে কি হয়

টেস্টোস্টেরন পুরুষদের সেক্স হরমোন। তবে মহিলাদের শরীরেও টেস্টোস্টেরন নিঃসরিত হয় কিন্তু খুব কম পরিমাণে। মহিলাদের সেক্স হরমোন এস্ট্রোজেন। এস্ট্রোজেনের নিঃসরণ কমে গেলে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে পুরুষদের মতো হাবভাব যেমন ভারী আপার লিপ গালে থুতনিতে রোম হাতে-পায়ে ঘন লোম দেখা দিতে শুরু করে।
টেস্টোস্টেরন  হরমোন কমে বা বেড়ে গেলে কি হয়
কিছু মহিলার কণ্ঠস্বরও ভারী হয়ে যায় এই কারণে। ‘টেস্টোস্টেরন’য়ের অভাবের সঙ্গে আবেগতাড়িত বিভিন্ন সমস্যা জড়িয়ে আছে যেমন- মন খারাপ থাকা মানসিক চাপ খিটখিটে মেজাজ মানসিক অস্বস্তি ইত্যাদি। এর কারণ হল শারীরিক বিভিন্ন দিকের পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যাবলীতেও প্রভাব ফেলে এই হরমোন।

টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ট্যাবলেট

এই টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ট্যাবলেট পুরুষের যৌ*ন উপাদান বৃদ্ধির সাথে শরীরের বিভিন্ন অংশের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে সহায়তা করে। মোটকথা এই হরমোন শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখন আপনি হয়তো এই হরমোন সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন। তবে এই হরমোন বৃদ্ধির জন্য যে ট্যাবলেট গুলো খেতে হয় তা আমরা এখানে বিস্তারিত উল্লেখ করেছি এবং আলোচনা করেছি। এছাড়াও এই হরমোন বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশে কি কি ট্যাবলেট পাওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছি। যেমন টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির হোমিও ঔষধ,এলোপ্যাথিক ঔষধ ও হারবাল ঔষধ আরো ইত্যাদি। পাশাপাশি এই হরমোন গুলোর দাম নিয়ে আলোচনা করেছি।

টেস্টোস্টেরন হরমোন এর স্বাভাবিক মাত্রা কত

ওষুধ সেবনের মাধ্যমে আমরা চাইলে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করতে পারি। কিন্তু এর একটি স্বাভাবিক মাত্রা রয়েছে অতিরিক্ত মাত্রায় এই হরমোন বৃদ্ধি পেলে উপকারের তুলনায় অপকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আপনি কি জানেন টেস্টোস্টেরন হরমোন এর স্বাভাবিক মাত্রা কত যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’য়ের তথ্য মতে‘টেস্টোস্টেরনের স্বাভাবিক মাত্রা হল প্রতি ডেসিলিটারে ৩০০ থেকে ১০০০ ন্যানোগ্রাম।

টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ট্যাবলেট সমূহের নাম

এই হরমোন প্রধানত পুরুষের শুক্রাশয়ের লিরিক কোষ থেকে উৎপন্ন হয়। এবং টেস্টোস্টেরন প্রজনন অঙ্গ যেমন শুক্রাশয় বর্ধন কালে পাশাপাশি মানুষের শরীরের মাংসপেশি চুল গজাতে এবং শরীরের লোম বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তবে এইসব হরমোন বৃদ্ধি করতে অনেকেই কৃত্রিমভাবে ট্যাবলেট গ্রহণ করে থাকেন। তাই যারা বিভিন্ন দোকান থেকে এ হরমোন বৃদ্ধির জন্য ট্যাবলেট সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন তারা আমাদের এই পোস্ট থেকে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ট্যাবলেট গুলোর নাম জেনে নিন। ট্যাবলেট সমূহের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
  • Testo Max
  • Testes Siccati 3x
  • Testogen
  • Prime male
  • Nugenix
  • TestRx
  • Test Works
এ প্রত্যেকটি হরমোন বৃদ্ধির ট্যাবলেট। যা প্রত্যেকটি ট্যাবলেট আপনার শরীরের অনেকাংশে উপকার করে থাকে। শরীরের যৈান ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ দুর্বলতা কাটাতে এই ওষুধগুলো অনেক বেশি উপকারী। এছাড়া বিভিন্ন রোগ থেকে এই ওষুধগুলো প্রতিরোধ করে।

টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ট্যাবলেট এর দাম কত

শরীরের জন্য এই টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির বিভিন্ন ট্যাবলেট বা বিভিন্ন ঔষধ আপনার নিকটস্থ যে কোন ফার্মেসি থেকে পেয়ে যাবেন। তবে অবশ্যই প্রত্যেকেরই এই ওষুধ বা ট্যাবলেট সম্পর্কে দাম জেনে রাখা উচিত। তবে এগুলো ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট আকারে বড় বোতল হিসেবে বেশি পাওয়া যায়।এছাড়াও এই ট্যাবলেটের ক্যাপসুলের কার্যকারিতার ভিন্ন অনুযায়ী দামের অনেক পার্থক্য হয়ে থাকে। যেমন কিছু ট্যাবলেট পুরো বোতল ৪০০-৫০০ টাকায় পাওয়া যায় সর্বনিম্ন। আর সর্বোচ্চ এই হরমোন বৃদ্ধির ট্যাবলেট গুলোর মুলো ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা। আবার কিছু ট্যাবলেট বা পুরো বোতল রয়েছে যেগুলোর মূল্য ৯-১০ হাজার টাকা। যেমন Testo Maxx এর দাম ৪৪০০ টাকা। এছাড়াও Testes Siccati 3x, ৪০০-৫০০ টাকায় পাওয়া যায়। আবার এর অবশিষ্ট অনুযায়ী ৮০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে বাজারে পাওয়া যায়।

টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির হোমিও ঔষধ

আপনার শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির জন্য হোমিও ওষুধ অনেকটা কার্যকরী। জানা গিয়েছে এদের কোন পার্শ প্রতিক্রিয়া নেই। আপনি নির্দ্বিধায় যে কোন হোমিও ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে হোমিও ঔষধ গুলো সেবন করতে পারেন। ডাক্তারের কাছ থেকে ভালোভাবে পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ওষুধ গুলো সেবন করলে আপনার শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক আছে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। ওষুধগুলোর নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
  • Baryta card 200
  • Selenium 200
  • Arg nit 200
  • Acid phos-200
উপরে উল্লেখিত প্রত্যেকটি ওষুধের আলাদা আলাদা কার্যকারিতা রয়েছে। তবে এই ওষুধগুলো গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিবেন।

টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির এলোপ্যাথিক ঔষধ

সাধারণত পুরুষদের মাঝে টেস্টোস্টেরন বিপাক হার নারীদের তুলনায় ২০ গুণ বেশি। এখন আপনার শরীরে যদি এই হরমোনের মাত্রা কমে যায়। তাহলে কৃত্রিম উপায়ে আপনি বিভিন্ন ঔষধ গ্রহণ করে আপনার হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারবেন। বিভিন্ন ওষুধের প্রকারভেদের মধ্যে এলোপ্যাথিক ওষুধ গ্রহণ করে আপনি আপনার শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময়সহ এই টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারবেন। অতএব টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির এলোপ্যাথিক ঔষধ গুলো নাম নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
  • Testes Siccati 3x
  • Testogen
  • Prime male
  • Nugenix
  • TestRx
উপরিউক্ত ওষুধগুলো সেবনের পূর্বে অবশ্যই ভালো ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিবেন। এতে এই ওষুধগুলোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন।

টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির হারবাল ঔষধ

হারবাল ওষুধ অনেক টাকা করি। আপনি খেলেই আপনার শরীরে অনেকটা প্রকার আসবে। তবে এই ওষুধগুলো নিয়মিত সেবন করতে হবে না হলে এই ওষুধের কিছু পার্শ্ব থেকে আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে। নিচে কয়েকটি টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ওষুধ গুলোর নাম উল্লেখ করা হলোঃ
  • Naturyzm testo-6 2100mg
  • Tribulus Terrestris Extract
  • Safed musli
  • Kaunj
  • Panax ginseng 60
এই ওষুধ গুলো খুবই সেনসিটিভ তাই এসব গ্রহণ করার পূর্বে ভালো ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। এবং গ্রহণ করার সকল নিয়ম কানুন ভালোভাবে জেনে নিন।

হরমোন বৃদ্ধির ওষুধের নাম সমূহ

যদি কোন পুরুষের পূর্বে এই টেস্টোস্টেরন হরমোন স্বাভাবিকের থেকে খুব থাকে তাহলে সে ব্যক্তি অনেকটা অসুস্থ হয়ে পড়বে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়বে। এবং সে প্রায় ক্ষেত্রেই নিজেকে অনেকটা দুর্বল অনুভব করবে। তাই প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত যদি এই টেস্টোস্টেরন হরমোন আপনার শরীরে আর একটা কম দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই এই হরমোন বৃদ্ধি করা উচিত। তবে এই টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির জন্য অনেকগুলো ওষুধ আপনি বাজারে পেয়ে যাবেন। এর মধ্য থেকে পরিচিত কয়েকটি ওষুধের নাম সমূহ উল্লেখ করা হলোঃ
  • Testosterone Undecanoate 40Mg Capsule
  • Andriol 40Mg Capsule
  • Androfil 40Mg Capsule
  • Nuvir 40Mg Capsule
উপরে উল্লেখিত প্রত্যেকটি ওষুধের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির জন্য অনেক কার্যকরী। তাই যেকোনো ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে আপনি উপরে উল্লেখিত ঔষধ গুলি নিয়মিত খেতে পারেন।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির জন্য আপনি যে ঔষধ বা ট্যাবলেট গুলো প্রতিনিয়ত গ্রহণ করবেন সেই প্রত্যেক ওষুধের কিছু না কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে। যদিও এসবের পাশে প্রতিক্রিয়া খুব কম লক্ষণীয়। তাও যাদের ক্ষেত্রে এসব ওষুধ সেবনের পরে শরীরে অস্বাভাবিক লক্ষ্য দেখা দেয় তাদের অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো লক্ষণীয় হয় তা হচ্ছেঃ
  • গরম ঝলসানি
  • সাথে ওজন বৃদ্ধি
  • প্রস্টে‌ট বেড়ে যাওয়া
  • লাল রক্ত ​​কোষ বৃদ্ধি।
  • ইনজেকশনের জায়গায় ব্যথা
  • আপনার শরীরে ব্রণ হতে পারে।

ইতিকথা টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে বা বেড়ে গেলে কি হয় - মেয়েদের টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে কি কি সমস্যা হয়

আজকে আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আমার এই পোস্টটিতে আলোচনা তুলে ধরেছি
আশা করি টেস্টোস্টেরন হরমোন সম্পর্কে যা কিছু অজানা ছিল আমার এই পোস্টটি পড়ার পরে আপনি অনেক না জানা তথ্য পেয়েছেন এবং টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে শরীরের কি কি রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে সেসব বিষয় নিয়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন এবং এই পোস্টটিতে বলা অনুযায়ী আপনি নিয়মিত যদি স্টেপগুলো ফলো করেন তাহলে আশা করা যায় আপনার শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোনের সমস্যা দূর হবে এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url