মুখের বলিরেখা দূর করার উপায় - বয়সের ছাপ দূর করার প্রাকৃতিক উপায় জানুন

সম্মানিত পাঠক বন্ধুরা অনেকেই আমরা মুখের বলিরেখা দূর করা উপায় সম্পর্কে জানতে চাই মুখের বলিরেখা নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ভুগে অল্প বয়সেই মুখে ঝাপ পড়ে যাওয়া সেসব বিষয় নিয়ে মুখ লুকানোর চেষ্টা করি সবাই সবার সৌন্দর চোখে ধরে রাখতে চাই মুখের বলিরেখা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আমারে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
মুখের বলিরেখা দূর করার উপায়
বয়সের ছাপ কিভাবে দূর করবেন তার প্রাকৃতিক উপায়ে আমার এই পোস্টটিতে তুলে ধরা হয়েছে বয়সের ছাপ কমাতে কি কি খাবার খাবেন সে সব বিষয় নিয়েও কিছু আলোচনা রয়েছে তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক বলিরেখা।

বলিরেখা দূর করার উপায়

বলিরেখা দূর করার উপায় বলার আগে কিছু কথা বলা দরকার। বলিরেখা কি কোন দুশ্চিন্তায় বা সমস্যায় আমাদের কপালে ভাঁজ পড়ে যায়। সমস্যা শেষ হয়ে যাবার সাথে সাথে সেই ভাঁজও অনেকটাই মিলিয়ে যায় বৈকি। কিন্তু বয়সের সাথে সাথে আমাদের ত্বকে যে ভাঁজ পড়ে যেটাকে সাধারনত আমরা বলিরেখা বা রিঙ্কলস বলি সেটা কিন্তু সহসা যেতে চায় না এমনকি যায়ও না। আমরা বয়স বেড়ে যাওয়া ত্বক কুঞ্চিত হওয়া এসব হয়তো পুরোপুরি ঠেকাতে পারবো না কিন্তু আমরা চাইলে টোটাল প্রক্রিয়াটিকে কিছুটা ধীর করে নিয়ে আসতে পারি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের ত্বকের ভেতরে কোলাজেন নামক প্রটিন উৎপাদন কমে যায় এবং ত্বকের দৃঢ়তাও ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। 
এতে করে আমাদের ত্বক পাতলা ধরনের হয়ে যেতে শুরু করে এবং ত্বক ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে। ত্বকের বিভিন্ন ধরনের রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ক্ষমতা আস্তে আস্তে কমে যেতে থাকে। বিভিন্ন টক্সিন পানিশূণ্যতাপরিবেশগত দূষণের কারণে আমাদের ত্বকে বলিরেখা বা ভাঁজ পড়ার সমস্যাাটাকে আরো বাড়িয়ে তোলে বা বলা যায় এই সমস্ত কারনেই হয়। তাই আপনার বয়সের ছাপ দূর করার উপায় জানা থাকলে সমস্যা প্রকট হয়ে উঠবে না। যদিও বলিরেখা বা রিঙ্কলস হওয়া একদমই স্বাভাবিক। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটা হতেই থাকবে। কিন্তু আমরা এই প্রসেসটাকে তুলনামুলক ধীরগতির করে আনতে পারি। তবে চলুন জেনে আসি চমৎকার কিছু উপায় যা আমাদের ত্বকের বলিরেখা বা রিঙ্কলস দূর করতে সাহায্য করবে অনকটাই।

বয়সের ছাপ দূর করার প্রাকৃতিক উপায়

কফি এবং কলা এই দুই উপাদান কিন্তু ত্বকের জন্য খুব উপকারি। ঝকঝকে ত্বক পেতে কফি এবং কলার তৈরি ফেসপ্যাকের জুড়ি মেলা ভাড়। কফি ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। আর কলা ত্বক করে উজ্জ্বল এবং মসৃণ। এই মিশ্রণের ফেসপ্যাক মুখমন্ডলের মধ্যে জমে থাকা মৃতকোষগুলোকে দূরে সরিয়ে ত্বককে আরও মসৃণ ও উজ্জ্বল করে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন কফি ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। আর কলা ত্বক করে উজ্জ্বল এবং মসৃণ। আর এই দুই উপাদান যখন মিলে যায় তখন ম্যাজিক তৈরি হয়। সব ধরনের স্কিনের জন্যই কলা-কফির ফেসপ্যাক ব্যবহার করা যায়। ঘরোয়া উপায়েই বানিয়ে নিতে পারেন কলা-কফির ফেসপ্যাক। ত্বকের যেকোনও সমস্যার সমাধান ঘটবে এই ফেসপ্যাকের গুণে এমনটাই আশ্বাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন ফেসপ্যাক তৈরির নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।
হালকা গরম পানিতে এক চামচ কফি মিশিয়ে নিন। রাতে শোয়ার আগে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে উষ্ণ পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের বলিরেখা কমবে। শুষ্ক ত্বকে দারুণ কাজ করে কলা। একটা কলাকে চটকে নিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে নিন। তার মধ্যে কফি মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। কিছুক্ষণ মুখে লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ত্বক ঝকঝকে হয়ে উঠবে। হাঁটু, কনুই, বগলে যদি কালো ছাপ পড়ে তাহলে কলার খোসায় মধু লেবুর রস মিশিয়ে ঘষে নিন। দেখবেন দ্রুত কালো ছোপ দূরে হবে। দিন দিন ঠোঁটের রং কালো হয়ে যাচ্ছে কোনও চিন্তা নেই। কলার ছোট টুকরো করে নিন। তার মধ্যে অল্প কফি মিশিয়ে নিয়মিত ঠোঁটে লাগালেই কালো ছোপ দূর হবে। চোখের তলায় কালো ছোপ দেখা দিলে কফির সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিয়ে চোখের নিচে লাগিয়ে রাখুন।
শুকিয়ে গেলে ভাল করে ধুয়ে নিন। কলার খোসার মধ্যে কিছু পরিমাণ কফি এবং মধু ঢেলে দিন। সেই খোসাটা নিয়ে স্ক্রাবারের মতো করে মুখে ঘষতে থাকুন কয়েক মিনিট। এতে ত্বক ঝকঝকে হবে এবং বলিরেখা পড়বে না। শুধু ত্বকের যত্ন নয় চুলের যত্নেও কফি আর কলা দারুণ কাজ করে। উষ্ণ পানিতে কফি মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে।নিজেকে সুন্দর দেখানো কে না চায়।কিন্তু বয়স ধরে রাখা দায়। বয়সের কারণে নারী ও পুরুষদের মুখে বিভিন্ন ধরনের বলিরেখা দেখা দেয়। বলিরেখার ফলে মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে লাবণ্য কমে যায় যা অনেকের জন্য বিব্রতকর। কারণ বিশেষ করে নারী একটু বয়স লুকাতে পছন্দ করেন। যারা মুখের বলিরেখায় নিয়ে দুচিন্তায় আছেন তাদের জন্য রয়েছে সহজ সমাধান।

বয়সের ছাপ কমানোর খাবার

জেনে নেই কি খাবার বয়সের বলিরেখা কমায় ও রোগ-প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
  • হলুদঃ সুস্থ ও সুন্দর ত্বক ধরে রাখতে হলুদ বিশেষ ভূমিকা পালন করে।হলুদে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা স্বাস্থ্যকর ত্বক তৈরিতে হলুদ সাহায্য করে।
  • হলুদঃ সুস্থ ও সুন্দর ত্বক ধরে রাখতে হলুদ বিশেষ ভূমিকা পালন করে।হলুদে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা স্বাস্থ্যকর ত্বক তৈরিতে হলুদ সাহায্য করে।
  • ডালিমঃ ডালিমে খুব উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন এবং পলিফেনল রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ট্যানিন ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্থোসায়ানিন যা বয়সের ছাপ ও বলিরেখা দূর করে।
  • মাছঃ বলিরেখা কমাতে মাছ খাওয়া যেতে পারে।বলিরেখা ব্রণ কমাতে ও রোগ-প্রতিরোধ স্যামন সারদিন মাছ খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। এগুলো ত্বক পুনর্গঠন ও ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
  • দইঃ বলিরেখা ব্রণ কমাতে ও রোগ-প্রতিরোধ করতে দইয়ের জুড়ি নেই।দইয়ের মধ্যে রয়েছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান।যা রোগ-প্রতিরোধ পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করে। প্রদাহরোধ করে বলিরেখা ও ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
  • অলিভওয়েলঃ অলিভওয়েলের মধ্যে ওমেগা তিন ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে আরো ভিটামিন ও পুষ্টি। আর এক্সট্রা ভারজিন অলিভ ওয়েলে (একধরনের অলিভওয়েল) রয়েছে ওলিক অ্যাসিড। এটি ত্বক আর্দ্র রাখে এবং বলিরেখা কমায়।
  • অলিভওয়েলঃ অলিভওয়েলের মধ্যে ওমেগা তিন ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে আরো ভিটামিন ও পুষ্টি। আর এক্সট্রা ভারজিন অলিভ ওয়েলে (একধরনের অলিভওয়েল) রয়েছে ওলিক অ্যাসিড। এটি ত্বক আর্দ্র রাখে এবং বলিরেখা কমায়।
  • তরমুজঃ আপনারা ইতিমধ্যেই এটি আশা করেছিলেন – সরাসরি রেফ্রিজারেটর থেকে বের করা ঠান্ডা ও রিফ্রেশিং এই ফলের চেয়ে ভাল ফল আর কী হবে। এই ফলটি যেমন রিফ্রেশমেন্ট দেয় তেমনি এটি ফাইবার এবং পানিতে সমৃদ্ধ। এতে ৯২% পানি রয়েছে। কথায় আছে যখন কেউ তরমুজের স্বাদ নেয় তখন তারা জানে ফেরেশতারা কী খায়। এই লাল রসালো ফলে শুধু পানি নয় ভিটামিন C B6 B1 এবং লাইকোপেন (ক্যারোটিনয়েড) এর গুণাগুণ রয়েছে যা ত্বকের গঠন এবং স্বাস্থ্যর সামগ্রিক উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • টমেটোঃ উজ্জ্বল লাল রসালো টমেটো শুধু স্বাদেই নয় ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে থাকা সেলেনিয়াম একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ভিটামিন ই এবং সি এর সাথে একসাথে কাজ করে। সেলেনিয়াম ইমিউন সিস্টেম ক্যান্সার এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। টমেটোতে উচ্চ মাত্রার লাইকোপিনও থাকে যা আরেকটি যৌগ যা ত্বকের সূর্যের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। রান্না করা টমেটোতে লাইকোপেন আরো বেশি মাত্রায় থাকে।

চেহারায় লাবণ্য ধরে রাখার উপায়

চেহারায় লাবণ্য ধরে রাখার জন্য কিছু প্রাকৃতিক ও সহজলভ্য উপায় হলো
  • নারিকেলের দুধঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ নারিকেলের দুধ ত্বকের রিংকেল দূর করে
  • কলাঃ পাকা কলা গোলাপ জল মধু ও টক দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান
  • টক দইঃ ভিটামিন মিনারেল ও এনজাইম সমৃদ্ধ টক দই ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে
  • ডিমের সাদা অংশঃ এতে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড ও প্রোটিন ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান করে
  • গোলাপ জলঃ গোলাপ জলের সাথে লেবুর রস ও গ্লিসারিন মিশিয়ে রাতে মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন
  • মধুঃ প্রতিদিন দুই থেকে তিন চামচ মধু মুখে গলায় এবং ঘাড়ে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
এছাড়াও প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা পর্যাপ্ত ঘুম সুষম খাবার গ্রহণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা চেহারায় লাবণ্য ধরে রাখার জন্য জরুরি।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির খাবার

  • মিষ্টি কুমড়াঃ কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই রয়েছে—সবই আপনার ত্বকের জন্য ভালো
  • হলুদঃ হলুদের থাকা কারকিউমিন আপনার শুধু ত্বক উজ্জ্বলই করবেই না আমাদের সারাদিনের কাজের ক্লান্তি দূর করবে। এটি হাঁটুর ব্যাথা দূর করা থেকে শুরু করে চেহারার ভাঁজ পরাও দূর করে।
  • পেঁপেঃ পেঁপে একটি সুস্বাদু গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল এবং ভিটামিন সি বিটা ক্যারোটিন এবংঅ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ।পেঁপে প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েন্ট হিসাবে কাজ করে যা সুন্দর ত্বক মেইনটেইন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
  • গাজরঃ গাজরে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন এ এবং সি যা ত্বকের প্রাকৃতিক কোলাজেন রক্ষা করতে সাহায্য করে। গাজরে ক্যারোটিনয়েড এবং অন্যান্য অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরিও গুন রয়েছে ত্বকের ফোলাভাব সূর্যের ক্ষতি এবং বার্ধক্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এর জুড়ি নেই।
  • কমলাঃ খুব সহজে হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন এই ফল। প্রায় স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ভিটামিন সি দিয়ে তৈরি করা হয়। আপনার দেহের ন্যাচারাল কোলাজেন প্রডাকশনে এবং কালচে ভাব দুর করতে এই ফলের জুড়ি নেই। এছাড়াও এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লাম্যাটরি গুনাগুন ব্রণ নিয়ন্ত্রণ করতে ফ্রি র‍্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং আপনাকে সামগ্রিকভাবে উজ্জ্বল ত্বক দিতে সাহায্য করে।
  • আনারসঃ এই টক মিষ্টি ফলটি ভিটামিন সি এবং ব্রোমেলাইনের মতো শক্তিশালী উপাদানে ভরপুর আপনার উজ্জ্বলতার জন্য যা প্রয়োজন। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি কোলাজেন উত্পাদন করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ক্ষত নিরাময় প্রক্রিয়াগুলিকে দ্রুত করবে। লাল নাক দাগযুক্ত গাল এবং বিরক্তিকর লাল ব্রনগুলোকে বাই বলুন ১ কাপ আনারস আপনার খাদ্যতালিকায় যুক্ত করে।
  • আমঃ সব ফলের রাজা সবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু আমাদের প্রিয় আম। ভিটামিন সি এ বি6 কে ই পটাসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং কপার ছাড়াও এগুলিতে পলিফেনল নামক একটি প্রাকৃতিক রাসায়নিক রয়েছে। যদিও আমের খোসা ও বীজ এর ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। গবেষণা অনুসারে পলিফেনল ক্যান্সার কমাতে সাহায্য করে যার মধ্যে রয়েছে সার্ভিকাল কোলন ত্বক এবং স্তন ক্যান্সার। তাই এই আমের মৌসুমে এর স্বাদের পাশাপাশি এর স্বাস্থ্য গুনাগুন গুলোও উপভোগ করুন।

বলিরেখা দূর করে সবুজ রঙের খাবার

  • পুদিনাঃ পুদিনা আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করে চেহারায় সতেজ ভাব আনে এছাড়াও ত্বক টানটান রাখতে এবং ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
  • পেয়ারাঃ এই সুস্বাদু পেয়ারা আপনার গায়ের রং উন্নত করে UV রশ্নি থেকে সুরক্ষা দেয় এছাড়া এর অ্যান্টি-এজিং গুন রয়েছে ও এটি ব্রণ এবং কালো দাগের চিকিৎসা করে।
এছাড়াও ত্বক ভালো রাখতে প্রতিদিন রাত ১২ টায় ঘুম এবং পরিমানমত পানি পান করতে হবে নইলেস্ট্রেস এবং অপর্যাপ্ত ঘুমের কারনে ত্বকের কোলাজন প্রোডাকশন কমে গিয়ে ত্বক নষ্ট হয়ে যাবে।
কপালের বলিরেখা দূর করার উপায়কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল আঙ্গুলে নিয়ে কপালে বলিরেখার উপর ম্যাসাজ করুন। এটি সারারাত রেখে দিন। সকালে ফেইসওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ক্যাস্টর অয়েলে রিসিনোলিক অ্যাসিড (Ricinoleic acid) রয়েছে যাতে স্কিন কন্ডিশনিং-করে থাকে এবং ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। কপালের যে ভাজ দেখা যায় তাই-ই মূলত কপালের রিংকেল বা বলিরেখা। ত্বকের বয়স হয়েছে তার প্রকাশ এটি। এছাড়াও আরো কিছু কারণ রয়েছে কপালে বলিরেখা পড়ার। মূলত চারটি কারণে কপালে বলিরেখা পরতে দেখা যায়
  • বয়স এবং
  • ফ্রি র‍্যাডিকেলস
  • ফেসিয়াল মুভমেন্ট
  • অতিরিক্ত সূর্যের আলোতে ঘোরাঘুরি
সূর্যের তাপ সবচেয়ে বেশি কপালে পড়ে থাকে। যার কারণে সবার আগে কপালে বলিরেখার ছাপ দেখা দেয়। আর বর্তমান সময়ের ভেজাল পল্যুশন স্ট্রেস বিভিন্ন কারণতো রয়েছেই। কপালের রিংকেল দেখা যাওয়ার কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। ২০ বছরের বয়সেও বলিরেখা পড়তে পারে আবার ৫০ বছর বয়সেও ত্বক রিংকেলমুক্ত থাকতে পারে। এটি মূলত আপনার লাইফস্টাইল খাওয়া দাওয়া স্কিন কেয়ারের উপর নির্ভর করে। রিংকেল যখনই দেখা দিক আর যে কারণে দেখা দিক না কেন বলিরেখা কারো জন্য আনন্দায়ক নয়। এই বলিরেখা দূর করার জন্য অনেকে ছুটে থাকেন পার্লার বা বিউটি সেলুনে। তবে আর নয় বিউটি সেলুন এইবার ঘরোয়া উপায়ে দূর করে দিতে পারবেন কপালের ভাঁজ। কিভাবে তবে এবার চলুন জেনে নিন উপায়গুলো।

ত্বকের যত্নে নারিকেল তেল

নারকেল তেল প্রায় সব বাসাতে থাকে। কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল নিয়ে কপালে বলিরেখার জায়গায় আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন। স্কিনে তেল মিশে যাওয়া আগ পর্যন্ত ম্যাসাজ করতে থাকুন। এটি প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে করুন। নারকেল তেলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের র‍্যাডিকেল দূর করতে সাহায্য করে। ফ্রি র‍্যাডিকেল ত্বকের বলিরেখা তৈরিতে ভূমিকা রাখে। নিয়মিত ম্যাসাজ ত্বকের বলিরেখা দূর হয়ে যায়। ক্যাস্টর অয়েলচুলের যত্নে অনেকে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করে থাকেন। এইবার কপালের বলিরেখা দূর করবে এই ক্যাস্টর অয়েল। কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল আঙ্গুলে নিয়ে কপালে বলিরেখার উপর ম্যাসাজ করুন।
এটি সারারাত রেখে দিন। সকালে ফেইসওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ক্যাস্টর অয়েলে রিসিনোলিক অ্যাসিড (Ricinoleic acid) রয়েছে যাতে স্কিন কন্ডিশনিং-করে থাকে এবং ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং লেবুর রস ত্বকের দাগ দূর করার সাথে সাথে কপালের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করবে। একটি তুলোর বল লেবুর রসে ভিজিয়ে নিন। এইবার তুলোটি কপালে বলিরেখার উপর ম্যাসাজ করতে থাকুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সেনসিটিভ ত্বকের অধিকারীরা লেবুর রস সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করবেন না। সমপরিমাণ
  • অ্যালোভেরা জেলঃ দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং একটি ডিমের সাদা অংশ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাকটি কপালে বলিরেখায় ব্যবহার করুন। আপনি চাইলে এই প্যাকটি সম্পূর্ণ মুখে ব্যবহার করতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন। অ্যালোভেরা জেল এবং ডিমের সাদা অংশ ভিটামিন ই-এর অন্যতম উৎস। তারুণ্য দীপ্ত ত্বকের জন্য ভিটামিন ই অনেক বেশি প্রয়োজন। অ্যালোভেরা জেলের ম্যালিক অ্যাসিড (malic acid) ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখে।

মুখের ত্বক টানটান করার উপায়

সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্নির ক্ষয়ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষার জন্য থেকে সানস্ক্রিন ব্যবহার অনেক জরুরি তা তো আমরা জানি। কিন্তু আমরা অনেকেই হয়তো এটা জানি না যে সানস্ক্রিন ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়ার সমস্যা সমাধানেও দূর্দান্ত কাজ করে এবং ত্বকের রিঙ্কলস এর সমস্যাও ক্রমশ কমিয়ে আনে। এমনকি নিয়মিত ভাবে এসপিএফ(SPF) যুক্ত সানস্ক্রিন ইউজ করতে থাকলে ত্বকের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনাও কমে আসে অনেকটাই। অবশ্যই মিনিমাম এসপিএফ ৩০ এর ওপরে থাকা রেটিংযুক্ত সানস্ক্রিন চুজ করার ট্রাই করতে হবে। প্রতিদিনকার ময়েশ্চারাইজিং সানস্ক্রিন ত্বকের রিঙ্কলস বা বলিরেখার সমস্যা একেবারে তো দূর করতে পারবে না কিন্তু ত্বকে এসবের ছাপ পড়ে যাওয়ার ব্যাপারটা করে তুলবে আশ্চর্যরকম ধীরগতির। এতদিন যদি সানস্ক্রিন ইউজ না করে থাকেন তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্কিন কেয়ার রুটিনে সানস্ক্রিন এড করে ফেলতে পারলে ততোই ভালো ত্বকের জন্য। মুখের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করবে। এরপর কথা বলব নাকের পাশে বলিরেখা দূর করার উপায় সম্পর্কে।
  • শরীরে চিনি গ্রহনের পরিমান কমিয়ে ফেলতে হবেঃ চিনি বা চিনিসমৃদ্ধ খাবার আমাদের শরীরে যতটা না উপকারীতা দেয় তারচেয়ে অনেকটাই ক্ষতি করে। সাধারনত আমরা বেশির ভাগ মানুষই হয়তো এতটুকুই জানতাম যে চিনি জাতীয় খাবার ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় বা ওবিসিটি বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন মেডিক্যাল রিসার্চের কারণে আমরা এখন চিনি বা চিনিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহনের কারনে শরীরে হওয়া আরো নানাবিধ ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারছি। হয়তো ভবিষ্যতে আমরা আরো বিশদ জানতে পারবো। চিনি শরীরে প্রবেশ করে গ্লাইকেশন নামক একটি প্রক্রিয়া শুরু করে এবং মাত্রাতিরিক্ত পর্যায় যেয়ে শরীরে AGEs এর প্রকোপ ঘটায়। এটার মানে হলো শরীরে থাকা প্রটিন আর ফ্যাট এর সাথে চিনি যখন রক্তের মধ্যে প্রবেশ করে তখন এই সমস্যাটা তৈরী হয়।
  • এমনকি উচ্চতাপে তৈরীকৃত খাদ্যবস্তু প্রস্তুতিকরণের পদ্ধতি থেকেও এই ব্যাপারটি ঘটে থাকে গ্রিলিং ফ্রাইং টোস্টিং জাতীয় প্রসেসের মাধ্যমে তৈরী খাদ্য অতিরিক্ত পরিমানে গ্রহনেও এই সমস্যাটা হয়। AGEs ত্বকের কোলাজেন কমিয়ে ফেলে এবং কোলাজেন তৈরীর প্রক্রিয়াও ধীর করে ফেলে এবং এতে করে ত্বক বয়স্ক দেখায়,ত্বকে বলিরেখা প্রকট হতে শুরু করে। সুতরাং খাবার তৈরীর এই পদ্ধতিগুলোর কম প্রয়োগ করতে হবে। যতটা কম পরিমানে সম্ভব চিনি এবং চিনিজাতীয় খাবার গ্রহন করতে হবে যেন ত্বকে বলিরেখার সমস্যা কম হয়। মিস্টি মোহময়ী বলিরেখাবিহীন ত্বক সুস্থ সবল দেহ আর ইয়ংগার লুকিং ধরে রাখতে চাইলে মিস্টি ও মিস্টিজাতীয় খাবারগুলো বাদ দিতেই হবে।
  • শরীরে নিতে হবে পর্যাপ্ত বিটা ক্যারোটিনঃ আমরা যখন এন্টিএজিং ক্রীম কিনি তখন সেটা ভালো করে পড়লে দেখবো যে এটার প্রধান একটি উপাদানই হলো বিটা ক্যারোটিন। এটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্নির কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে। কিন্তু বিটা ক্যারোটিন যে বাইরে থেকেই নিতে হবে এমনটা জরুরি নয়। প্রতিদিনকার খাবারের সাথে ৩০ মিলিগ্রাম পরিমান বিটা ক্যারোটিন গ্রহন আমাদের শরীরে বিটা ক্যারোটিনের চাহিদা পূরণ করবে। তাই ত্বককে রিঙ্কলস এর আক্রমন থেকে বাচাঁতে এই বিটা ক্যারোটিন গ্রহনের প্রতি রাখতে হবে বিশেষ খেয়াল।
  • ঘুমানোর পজিশন পরিবর্তনঃ আমরা ঘুমাতে গেলে যে যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি সেভাবেই হয়তো দীর্ঘসময় ধরে ঘুমাই। কিন্তু এতে করে আমাদের ত্বকের নিদ্রিস্ট কিছু অংশের সাথে বালিশের একটা ঘর্ষণ হয় প্রতিনিয়ত। এতে করে সেখানে কমপ্রেসন হয় এবং সেই জায়গাগুলোতে ত্বকের অন্যান্য অংশের তুলনায় বলিরেখার প্রকোপ দেখা দেয় দ্রুত। তাই স্লিপ পজিশন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।চেস্টা করা উচিত পিঠের ওপর ভর রেখে ঘুমানোর জন্য।
  • এন্টিঅক্সিডেন্টস বাড়িয়ে তুলুনঃ আমাদের শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলোর তুলনায় অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এর ধকল অনেকটাই বেশি পরিমানে দৃশ্যমান হয় আমাদের ত্বকের ওপরে। শুধুমাত্র আমাদের প্রতিদিনকার ডেইলি রুটিনের কারণেও আমাদের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।এন্টিঅক্সিডেন্টস আমাদের কোষের ক্ষয় রোধ করে।এ কটা সানস্ক্রিন বা রিঙ্কল রিমুভিং ক্রীম ছাড়াও আমরা খাদ্যগ্রহনের মাধ্যমেও ত্বকে এন্টিঅক্সিডেন্টের যোগান দিতে পারি। এতে করে ত্বক ভেতর থেকে বয়সের ছাপ দূর করতে নিজেকে গড়ে তোলে। এন্টিঅক্সিডেন্টস সমৃদ্ধ খাবার যেমন ব্রকলি গাজর পালং শাক মিস্টি আলু মিস্টিকুমড়া আঙ্গুর পাতাকপি ইত্যাদি রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়। এগুলো ত্বক ইয়ংগার রাখতে বিশেষ করে বলিরেখার সমস্যা কমিয়ে আনতে অনেক ভালো কাজ করে।

মুখ ধোয়ার সঠিক পদ্ধতি

অনেক সময়ই আলস্যের কারনে হোক বা সময় সল্পতার কারনে হোক আমরা মেকাপ না তুলেই হয়তো ঘুমিয়ে পড়ছি বা দীর্ঘসময় ঐ মেকাপ নিয়েই থাকছি। মেকাপ প্রডাক্টসগুলোর ক্ষতিকর কেমিক্যাল এতে করে আমাদের ত্বকে এবজর্ব হয় এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। তাই যত দ্রুত সম্ভব মেকাপ তুলে ফেলার চেস্টা করতে হবে। আর রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিস্কার করে নেয়ার অভ্যাস করতে হবে এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো এক ধরনের ইনভেস্টমেন্ট। দীর্ঘদিন নিজেকে ইয়ংগার দেখতে চাইলে আর বলিরেখার প্রকোপ কমানো অবস্থায় নিজেকে দেখতে চাইলে নিয়মিত ভাবে মুখ পরিস্কারের কোন বিকল্প নেই। গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।

পুদিনা পাতার চা এর উপকারিতা

ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে কত ধরনের হার্বাল পানীয়ই তো আমরা পান করে থাকি। কিন্তু এগুলোর মধ্যেও একেকটার গুনাবলি একেক রকম। রিসেন্টলি একটা গবেষণায় পুদিনা পাতার চায়ের চমৎকার গুনাবলির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কিছু বিজ্ঞানীরা বার্লি টি এবং পুদিনা পাতার চায়ের ওপর একটি গবেষণায় এটা পেয়েছেন যে পুদিনা পাতার চা ত্বকের বলিরেখা কমিয়ে তুলতে অনেক ভালো কাজ করেছে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে মেন্থল মেন্থন ও লিমোনিন এবং এগুলো ত্বক সুন্দর সতেজ ও লাবন্যময় রাখে এবং বলিরেখা কমাতেও বিশেষ পারদর্শী। তাই ফুড হ্যাবিটে অবশ্যই এই চমৎকার পানীয়টি যুক্ত করা উচিত। যদিও আমরা সবাইই চাই তরুন থাকতে কিন্তু আমরা কোনভাবেই আমাদের বয়স বাড়ার প্রসেস ঠেকাতে পারব না।
আমরা যেটা পারবো তা হলো সঠিক কিছু জীবনাচরণ সুষম খাদ্য গ্রহন এবং আরো কিছু নিয়ম কানুন মানার মাধ্যমে ত্বককে তুলনামুলক লাবন্যময় ও ইয়ংগার রাখতে। যত যাই হোক রিঙ্কলস আমাদের সৌন্দর্য অনেকটাই হ্রাস করে। তাই রিঙ্কলস দূর করতে উপরোক্ত ব্যাপারগুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। সমস্যা যদি অনেক বেশি মনে হয় তাহলে ডার্মাটোলজিস্ট এর পরামর্শ গ্রহন করতে হবে। চোখের নিচের কালোদাগ দূর করার উপায় জানতে বয়সের সাথে ত্বকে পড়ে ভাঁজ ঝুলে যায় চামড়া। তবে সঠিক যত্নের অভাবেও ত্বকে আগেভাগে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে পারে। আর এই সমস্যা থেকেউত্তরণের জন্য রয়েছে প্রাকৃতিক উপায়।

এক রাতে ঝুলে যাওয়া ত্বক টানটান

জার্নাল অব কিউটেইনিয়াস প্যাথলজিতে প্রকাশিত জার্মানির হিলিওস মেডিকেল সেন্টার হিল্ডেসহাইময়ের করা গবেষণার বরাত দিয়ে হেল্থশটস ডটকময়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়- ইলাস্টিন একটি প্রোটিন যা ত্বকে স্থিতিস্থাপকতা দান করে। বয়সের সাথে ত্বকের ইলাস্টিন য়ের পরিমাণ কমে। ফলে কোমলতা ও নমনীয়তা হ্রাস পায়। কোলাজেনের হ্রাস ফলে ত্বকের নিচের চর্বিও কমে আর শারীরবৃত্তিয় পরিবর্তনের ফলে ত্বক সংকুচিত হয়। যে কারণে ত্বকে দেখা দেয় ভাঁজ ও ঝুলে পড়ার সমস্যা। প্রকৃতিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ত্বক টান টান করতে সহায়তা করে।
  • তেলঃ আর্গন তেল ত্বকের আর্দ্রতা ও স্থিতিস্থাপকতা বাড়িয়ে তারুণ্যভাব ধরে রাখতে সহায়তা করে।
  • কাঠবাদামের তেল ত্বক কোমল রাখে ও অতিবেগুনি রশ্মির কারণে হওয়া ক্ষয় থেকে বাঁচায়।
  • অ্যাভাকাডো তেল ত্বকের কোলাজেন বাড়াতে সুপরিচিত।
  • ব্যবহার পদ্ধতিঃ তেল ব্যবহারের আগে ত্বক ভালো মতো পরিষ্কার করে নিতে হবে। পর্যাপ্ত তেল হাতে নিয়ে ত্বকে আলতোভাবে মালিশ করে নিতে হবে। সারা রাত তেল মাখা অবস্থায় ঘুমিয়ে সকালে উঠে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • কলাঃ ২০১২ সালে জার্নাল অব ক্লিনিকাল অ্যান্ড অ্যাস্থেটিক ডার্মাটোলজিতে প্রকাশিত ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ সারি গিল্ডফোর্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার করা গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় কলা পটাসিয়াম ভিটামিন ও প্রাকৃতিক তেল সমৃদ্ধ। এটা বলিরেখা কমিয়ে ত্বক টান টান করতে সহায়তা করে।
  • ব্যবহার পদ্ধতিঃ একটা কলার এক চতুর্থাংশ পেস্ট করে পরিষ্কার ত্বকে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর আলতোভাবে ত্বক মুছে নিতে হবে।
  • শসাঃ ফিটোটেরাপিয়া সাময়িকীতে প্রকাশিত কলকাতার যাদপুর ইউনিভার্সিটির করা গবেষণা অনুযায়ী- শসাতে আছে ইলাস্টিন হায়ালুরনিক অ্যাসিড এবং ত্বক আর্দ্র ও মসৃণ রাখার ক্ষমতা।
  • ব্যবহার পদ্ধতিঃ শসার খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ড করে এর রস আলাদা করে নিতে হবে। তুলার বলের সাহায্যে রস নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • অ্যালো ভেরাঃ এর নির্যাসে আছে ত্বকের স্থতিস্থাপকতা বাড়িয়ে টানটান করার ক্ষমতা। এছাড়া কোলাজেন ও হায়ালুরনিক অ্যাসিড উৎপাদনে সহায়তা করে।
  • ব্যবহার পদ্ধতিঃ অ্যালো ভেরার পাতা থেকে জেল আলাদা করে নিতে হবে। সেটা ত্বকে ব্যবহারের পর ১০ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • কলাঃ ২০১২ সালে জার্নাল অব ক্লিনিকাল অ্যান্ড অ্যাস্থেটিক ডার্মাটোলজিতে প্রকাশিত ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ সারি গিল্ডফোর্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার করা গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় কলা পটাসিয়াম ভিটামিন ও প্রাকৃতিক তেল সমৃদ্ধ। এটা বলিরেখা কমিয়ে ত্বক টান টান করতে সহায়তা করে।
  • ব্যবহার পদ্ধতিঃ একটা কলার এক চতুর্থাংশ পেস্ট করে পরিষ্কার ত্বকে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর আলতোভাবে ত্বক মুছে নিতে হবে।
  • শসাঃ ফিটোটেরাপিয়া সাময়িকীতে প্রকাশিত কলকাতার যাদপুর ইউনিভার্সিটির করা গবেষণা অনুযায়ী- শসাতে আছে ইলাস্টিন হায়ালুরনিক অ্যাসিড এবং ত্বক আর্দ্র ও মসৃণ রাখার ক্ষমতা।
  • ব্যবহার পদ্ধতিঃ শসার খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ড করে এর রস আলাদা করে নিতে হবে। তুলার বলের সাহায্যে রস নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • অ্যালো ভেরাঃ এর নির্যাসে আছে ত্বকের স্থতিস্থাপকতা বাড়িয়ে টানটান করার ক্ষমতা। এছাড়া কোলাজেন ও হায়ালুরনিক অ্যাসিড উৎপাদনে সহায়তা করে।
  • ব্যবহার পদ্ধতিঃ অ্যালো ভেরার পাতা থেকে জেল আলাদা করে নিতে হবে। সেটা ত্বকে ব্যবহারের পর ১০ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • ক্যাফেইনঃ কফিতে থাকা ক্যাফেইন ত্বককে বয়সভিত্তিক অক্সিডেটিভ চাপ থেকে সুরক্ষিত রাখে। অক্সিডেটিভ মেডিসিন অ্যান্ড সেলুলার লংজিভিটি জার্নালয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয় ক্যাফেইন অতিবেগুনি রশ্মির কারণে হওয়া বয়সের ছাপ কমাতে পারে।
  • ব্যবহার পদ্ধতিঃ কফির বীজ পানি যোগ করে পেস্ট তৈরি করে আলতো করে ত্বকে গোলাকারভাবে ব্যবহার করতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
  • মধুঃ ত্বক ‘ডিটক্সিফাই’ বা দূষণ মুক্ত করে স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় ও ভাঁজ দূর করতে সহায়তা করে।
  • ব্যবহার পদ্ধতিঃ একটা পাত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ মধু নিয়ে তাতে সামান্য পানি যোগ করতে হবে। ত্বকের ভাঁজযুক্ত স্থানে মিশ্রণটি মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

লেখকের মন্তব্য বলিরেখা দূর করার উপায় - বয়সের ছাপ দূর করার প্রাকৃতিক উপায় জানুন

আজকে আমার এই পোস্টটিতে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি আশা করছি পুরোটা পড়ার পরে আপনি অনেক না জানা কিছু জানতে পেরেছেন যেসব তথ্য কিনা আপনার ত্বকের পরিচর্যার জন্য খুবই কার্যকরী এবং অনেকেই অল্প বয়সে মুখে বলি রেখা মুখের বলিরেখা দূর করা নিয়ে অনেক চিন্তা যুক্ত হয়ে থাকেন তাদের জন্য আমার এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আশা করছি পুরোটা পড়ছেন আর এরকম আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url