স্বামীর প্রতি স্ত্রীর -ভালোবাসা বৃদ্ধির আমল

Tanzila ✍

8 Jan, 2024

সম্মানিত পাঠক আপনাদের অনেকেরই জানা নেই স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা বৃদ্ধির আমল সম্পর্কে তাই আজকে আমার এই আর্টিকেলটিতে স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা বৃদ্ধির আমল সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য। আপনারা যদিও এমন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমার আজকের এই আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন। আমার আজকের এয়ারটেল এর মূল বিষয় হলো স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা বৃদ্ধির আমল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা বৃদ্ধির আমল সেই সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু আলোচনা। আজকের বিষয়টি নিয়ে আমার এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি আরো ভালো করে জানতে পারবেন কখন স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালোবাসা বৃদ্ধি হয় এবং কি আমল করলে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসার বৃদ্ধি পাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা

স্ত্রীকে ভালোবাসা প্রসঙ্গে হাদিসে বর্ণিত আছে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এরশাদ করেন তোমাদের মধ্যে তারাই উত্তম যারা তাদের স্ত্রীর জন্য উত্তম। অন্য এক হাদীসে এরশাদ রয়েছে তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো এর সহিত আম্মার কাছ থেকে গ্রহণ করো এ আদেশ পালনের উদ্দেশ্যে যদি কেউ তার স্ত্রীকে ভালোবাসে তখন সেই ভালোবাসা আর দুনিয়া থাকে না বরং সেই ভালোবাসা সরাসরি দিন হয়ে যায়। এবাদত ভক্ত কাজ হয়ে যায়। হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ত্রীদের প্রতি অত্যন্ত পণ্য আচরণ করতেন এবং তাদের প্রত্যেককে প্রচন্ড ভালোবাসতেন। যা বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত করা হয়েছে হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা এর সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতা করতেন রাতের বেলা মহিলার কাহিনী শুনেছেন

এবং হাফসীদের লাঠি খেলার লাঠি খেলা দেখিয়েছেন।তার পিঠের উপরে দাঁড় করিয়ে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের স্ত্রীদের অনেক ভালবাসতেন। আমাদের পূর্ববর্তী অলি আউলিয়ারা তাদের স্ত্রী সন্তানদের অনেক ভালোবাসতেন। এই ভালোবাসা সৎ এ ভালোবাসা দোষের কিছু না। বরং স্ত্রী সন্তানদের ভালবাসলে আল্লাহ তাআলা খুশি হন কিন্তু আমরা তাদের মত আমাদের স্ত্রী সন্তানদের ভালবাসতে পারি না এখানে বড় পার্থক্য রয়েছে। তাই আমাদের উচিত আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মত অনুসরণ করে আমাদের স্ত্রীকে ভালোবাসতে হবে।

স্বামীর মন জয় করার আমল

স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক হল একটি পবিত্র সম্পর্ক প্রত্যেক স্ত্রীর উচিত স্বামীকে কাছে পেয়ে মন ভরে প্রফুল্লতা প্রকাশ করা। যাতে করে আপনার স্বামী আপনার প্রতি আকৃষ্ট হয় স্বামীর চোখে যদি চোখ পড়ে যায় তাহলে আপনি মাথা নিচু করে বিনয়ে হালকা হাসি দিন আর সম্মানসূচক শব্দ কথা বলুন। প্রত্যেক স্ত্রী যদি এই ধাপগুলো অনুসরণ করে চলতে পারে তাহলে খুব সহজে সে তার স্বামীর মন জয় করতে পারবে। সেগুলো হলোঃ

ছোট ছোট বিষয় নিয়ে রাগারাগি না করা
আপনার বাসস্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা
ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর অধিকার সম্পর্কে জানুন
আপনার শ্বশুর শাশুড়ির সাথে ভালো আচরণ করা
প্রত্যেক স্ত্রীর উচিত স্বামীকে হাসিমুখে সালাম দেওয়া
স্বামীর পছন্দ অনুযায়ী পোশাক আশাক পরিধান করা
তাকে বলুন স্বামী হিসেবে তিনি শ্রেষ্ঠ তার সুনাম করুন
স্বামী পছন্দ করে এমন কিছু মাঝে মাঝে রান্না করে খাওয়ানো
তাকে সহজ কোন গৃহস্থলী কাজ দিন কাজটি শেষ করার পর তার প্রশংসা করুন
তাকে এমন বিষয়ে প্রশংসা করুন যা নিয়ে তিনি নিজেই যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী নন ধরুন চেহারা বা বুদ্ধিমত্তা বিবেচনা বোধ ইত্যাদি
যখন আপনার স্বামী ঘরে আসবে তখন আপনি এমনভাবে ছুটে যান যেন সে মনে করে আপনি তারই অপেক্ষা করছেন
উপরের বিষয়গুলো আপনি যদি সঠিকভাবে পালন করতে পারেন তাহলে অতি সহজে আপনি আপনার স্বামীর মন জয় করে নিতে পারবেন আশা করা যায়।

স্বামীর ভালোবাসা পাওয়ার উপায়

স্ত্রীগণ যদি অল্প কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে তাহলে সে তার স্বামীর অধিক ভালবাসা পেয়ে থাকেন। আপনি কিভাবে আপনার স্বামীর ভালোবাসা পাবেন সে বিষয়ে কয়েকটি ধাপ নিচে জেনে নিনঃ

আপনার শশুর বাড়িতে সবার সাথে ভালো ব্যবহার করুন যেমনটি আপনি চান আপনার স্বামী আপনার মায়ের সাথে করুক।

তাকে ভালো কাজে উৎসাহিত করুন
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন এবং তাকেও নামাজ পড়ার জন্য উৎসাহিত করুন
সে যদি আপনার সাথে রেগে গিয়ে বকাবকি করে তাহলে আপনি চুপ করে থাকুন এবং তাকে বকতে দিন
মনে রাখবেন আপনার স্বামীর আবেগ অনুভূতিগুলো আপনাকে বুঝতে হবে এবং তাকে সম্মান করতে হবে।
সে যদি একঘেয়ে কথা বলে তাহলে চুপ করে শুনুন এবং মাঝে মাঝে তাকে প্রশ্ন করুন যাতে সে মনে করে আপনি তার কথা আগ্রহ দিয়ে শুনছেন।

স্বামী স্ত্রী মিল মহব্বত বৃদ্ধির দোয়া

স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মিল মহব্বত বৃদ্ধির জন্য এই আমলটি করা যেতে পারে। যদি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা ও মতামত এবং অসন্তুষ্টি হয় তাহলে এই আমলটির মাধ্যমে এই সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে। আমলটি হল আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম আল ওয়াদুদু ১০১ বার আমল করে দুজনকে যদি কোন খাদ্য সঙ্গে খাওয়ানো যায়। তাহলে তাদের মধ্যে আল্লাহর রহমতে উভয়ের মধ্যে মিল মহব্বত ও আন্তরিকতা সৃষ্টি হবে। এই ছোট্ট আমলের মাধ্যমে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মিল মহব্বত তৈরি হতে পারে।