গর্ভবতী মায়ের আমল এবং দোয়া - গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার উপায়
সম্মানিত পাঠক বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম আজকে যে বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছি সে বিষয়টি হচ্ছে গর্ভবতী মায়ের আমূল এবং দোয়া গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার উপায় সেসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। গর্ভবতী মা মানে একটু বেশি যত্নশীল এবং সেই সঙ্গে একটু বেশি ইবাদতকারী হতে হয়।
গর্ভবতী মায়ের আমল এবং দোয়া করলে গর্ভাবস্থায় বাচ্চা সুরক্ষিত রাখার আমল গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার আমল করবে সন্তান ছেলে হওয়ার আমল সন্তান হওয়ার আমল গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কোন সূরা পড়তে হয় এই বিষয়গুলো নিয়ে আজকে আলোচনা করতে চলেছি আপনি যদি সে সব বিষয়ে জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত পড়বেন আশা করি অনেক কিছু জানতে পারবেন যা আপনার কাজে আসবে।
গর্ভের সন্তানের জন্য দোয়া
মা শব্দটি ছোট হলে ও এটি প্রত্যেকটি সন্তানের জীবনে একটি অনেক বড় পাওয়া পৃথিবীতে মায়ের কোন তুলনা হয় না ।পৃথিবীতে মাকে যেমন সম্মান করতে এবং তার আদেশ মেনে চলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।একইভাবে মৃত্যুর পরেও মায়ের সম্মান এবং মর্যাদা অনেক বেশি বলে গণ্য করা হয়েছে। আল্লাহ তা'আলা বলেন মায়ের পায়ের নিচেই সন্তানের বেহেশত । গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের যে কষ্ট ও যা বিপন্ন অবস্থার সম্মুখীন হতে হয় তার পুরস্কার স্বরূপ প্রদান করা হয়েছে মাতৃত্বের এই মর্যাদা।
হীরক খন্ডের চেয়ে দামি বানানো হয়েছে তাদের মা সন্তানের জন্য সীমাহীন কষ্ট করে তাই তো মহান আল্লাহ তার সঙ্গে সদাচারণ করার কথা খুব জোর দিয়ে বলেছেন। গর্ভবতী মায়ের আমল এবং দোয়া অনেক রয়েছে গর্ভবতী মায়ের আমল ও দোয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সন্তানের মঙ্গলের জন্য। কোরআন ও হাদিসের একটি গর্ববতী মায়ের সম্পূর্ণ পরিপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেগুলো অনুসরণ করলে শুধু কষ্ট সহ্য করতে পারবে।
এমনটা নয় বরং তার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চার আত্মিক তার বিয়াতের প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া সহজ হবে।গর্ভাবস্থায় হযরত মরিয়ম আলাইহিস সালাম এর মায়ের আমল থেকে শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে মরিয়ম আলাইহি সাল্লামের জন্মের পূর্বে যখন গর্ভধারিণী মাকে সন্তানের ব্যাপারে সুসংবাদ দেওয়া হলো তখন তিনি মহান আল্লাহর নিকটে এই করেছিলেন সেটি সূরা আলে ইমরানের ৩৫ নাম্বার আয়াতে বিদ্যমান রয়েছে।
- দোয়াটি হলোঃ রাব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা জুররিয়াতান তায়্যিবাতান ইন্নাকা সামিউদ দোয়া অর্থাৎ হে আমার পালনকর্তা আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পবিত্র সন্তান দান করুন আপনি নিশ্চয়ই দোয়া কবুলকারী নেক নিয়তে পুত্র সন্তান চেয়ে দোয়া করা যায়।
- দোয়াটি হলোঃ রাব্বি হাবলি মিনাস সালেহীন।অর্থাৎ হে আমার প্রতিপালক আপনি আমাকে সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দান করুন। গর্ভাবস্থায় কোন নারী মারা গেলে সেই নারী শহীদের মর্যাদা লাভ করে থাকেন বলে হাদিসে বর্ণিত রয়েছে ।
গর্ভবতী নারী যখন সন্তান প্রসব করেন তখন তার দুধের প্রতিটি ফোটায় বিনিময়ে একটি করে নেকি দান হয়। এজন্য গর্ভবতী মায়ের আমল এবং দোয়া এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলত পূর্ণ। গর্ভে সন্তান আসা নারীর জন্য বোঝা নয় বরং সম্মান ও সৌভাগ্যের। আনাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
এর পুত্র ইব্রাহিমের দুধ মাতা সালেমাকে রাযিআল্লাহু তা'আলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমরা নারীরা কি এত খুশি নও যে যখন কোন নারী তার স্বামীর পক্ষ থেকে গর্ভধারিণী হয় আর স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন তখন সে আল্লাহর জন্য সর্বদা রোজা পালনকারী ও সারারাত নফল ইবাদত কারীর মতো সওয়াব পেতে থাকবে।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা সুরক্ষিত রাখার আমল
সন্তান গর্ভধারণ করা একজন নারীর জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং পরম সৌভাগ্যের বিষয় একজন নারী তখনই পরিপূর্ণ পাই যখন সে গর্ভধারণ করে গর্ভাবস্থায় একজন নারীর যে কষ্ট ও বিপন্ন অবস্থায় সম্মুখীন হতে হয় তার জন্য ইসলামে মায়ের সম্মান ও মর্যাদা অনেক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।হাদিসে শরীফে বলা হয়েছে হযরত আনাস রাঃ হতে বণিত হজরত মুহাম্মদ সাঃ। ইরশাদ করেন আল জান্নাতু তাহতা আকদামুল উম্মুহাত মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।
হাদিস শরীফে আরো বলা হয়েছে আনাস রাঃ থেকে বণিত তিনি বলেন। নবীজি সাঃ এর পুত্র ইব্রাহিমের দুধমাখা সালামা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা নবীজি সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন তোমরা নারীরা কি এত খুশি নও। যে যখন কোন নারী তার স্বামীর পক্ষ থেকে নেক সন্তান গর্ভধারণ করে। সন্তান যদি কোন রাতে তাকে জাগিয়ে রাখে কান্নাকাটি করে মাকে বিরক্ত করে ঘুমাতে না দেয়। তাহলে সে আল্লাহর জন্য নিখুত সত্তাটি গোলাম আজাদ করার সব পাবে গর্ভাবস্থায় বাচ্চা সুরক্ষিত রাখতে আগে আপনাকে সুরক্ষিত থাকতে হবে।আপনাকে কোন পাপ কাজে জড়িয়ে যাওয়া যাবে না।
অস্বাস্থ্যকর কোন কাজ করা যাবে না বাচ্চার সুস্বাস্থ্য তার জন্য বেশি রাত জাগা যাবে না। দিনের বেশিরভাগ সময় আপনাকে আল্লাহর এবাদত এর মধ্যে শামিল থাকতে হবে। সালাত আদায় করতে হবে কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে বেশি বেশি জিকির করতে হবে আপনি যদি আদর্শবান মা হন তাহলে অবশ্যই আপনার বাচ্চা আদর্শবান হবে। এজন্য আপনাকে আল্লাহর এবাদতের মধ্যে মশগুল থাকতে হবে এবং নিজের সন্তানের মঙ্গল কামনা করতে হবে তার জন্য বেশি বেশি দোয়া করতে হবে।
গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার উপায়
সাধারণত গর্ভাবস্থায় ছেলে সন্তান ফর্সা হবে এমন কোন নির্দিষ্ট আমল উল্লেখ করা নেই তবে হ্যাঁ আপনি নেক্কার সন্তান চাইতে পারেন এবং নেককার সন্তান এবং সুন্দর সন্তান চাওয়া টা আপনার অধিকার।আল্লাহ তাআলা তার কোরআন এবং নবীজির সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করতে বলছেন আপনারা যদি সেই সুন্নাহ এবং কোরাআন মেনে আমল করেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আপনার দোয়া কবুল করবে।
আমরা কোরআনে এবং বিভিন্ন হাদিসে দেখেছি যে সন্তানের জন্য বাবা-মা যে দোয়া করেন সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন হয়ে যায়।
তাই আপনারা যে সন্তান আপনার গর্ভে আছে সেই সন্তানের জন্য আপনি যখন আমল করবেন এবং দোয়া করবেন আল্লাহ তাআলা কোন ভাবে সেটা ফিরিয়ে দিতে পারবেন না। গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার আমল কিছু আমল রয়েছে সেগুলো কতটা বিশ্বাসযোগ্য এবং শরীয়ত সম্মত তা আমার সঠিকভাবে জানা নেই তবে আপনার যদি মনে ধরে থাকে তাহলে আপনি এই আমলগুলো করে দেখতে পারেন এই বিষয়গুলো আমি বিভিন্ন সাইট থেকে পড়ার পরে জানতে পেরেছি বিধায় আপনাদের জানানোর আগ্রহ প্রকাশ করতেছি। আমলগুলো হলঃ
- সুরা ইয়াসিন ষষ্ঠ মাসে আমল করলে সন্তান জ্ঞানী হয়।
- পঞ্চম মাসে সূরা মুহাম্মদ পড়লে সন্তান চরিত্রবান হবে।
- তৃতীয় মাসে সূরা মারিয়াম পড়লে সন্তান সোহিনযুত হবে।
- দ্বিতীয় মাসে সূরা ইউসুফ আমল করলে সন্তান সুন্দর হবে।
- সূরা আলে ইমরান প্রথম মাসে আমল করলে দামি সন্তান হয়।
- সপ্তম অষ্টম নবম ও দশম মাসে সূরা ইউসুফ মোঃ এবং ইব্রাহিম এর কিছু কিছু পড়বেন।
ইসলামের অন্যান্য হুকুম মানতে হবে উদাহরণস্বরূপ আপনার সন্তান যদি আপনার গর্ভে জানুয়ারি মাসে আসে তাহলে পরবর্তী মাস ফেব্রুয়ারিতে সূরা ইউসুফ বেশি বেশি পাঠ করতে হবে সারা মাস ধরে আপনি এই সূরা পাঠ করবেন অবশ্যই পাক পবিত্র অবস্থায় যেকোনো সময় যেকোনো সংখ্যা বার এই সূরা আপনি আমল করতে পারবেন।
গর্ভের সন্তান ছেলে হওয়ার আমল
আল্লাহু পক্ষো থেকে অমূল্য সম্পদ হচ্ছে সন্তান , তিনি কাউকে পুত্র সন্তান দান করেন আবার কাউকে মেয়ে সন্তান দান করেন। কাউকে ছেলে নিয়ে উভয় দান করেন কাউকে নিঃসন্তান রাখেন এটি মহান রবের নিজস্ব ফয়সালা তার ফয়সালার বাহিরে মানুষ কিছুই করতে পারে না আল্লাহ তা'আলা বলেন যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। আবার ছেলে মেয়ে উভয় দান করেন আবার যাকে ইচ্ছা তাকে বন্ধ্যা বানিয়ে রেখে দেন। তবে অনেকেই পুত্র সন্তান কামনা করে থাকে এজন্য।
আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করার বিকল্প নেই হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম একসময় নিঃসন্তান ছিলেন বৃদ্ধ বয়সে তিনি আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করলেন। আল্লাহ তাআলার কাছে সৎপুত্র সন্তানের জন্য দোয়া করলেন তাকে নেক পুত্র সন্তান দান করলেন। তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন রাব্বি হাবলি মিনাস সালেহীন, অর্থাৎ এ আমার প্রভু আমাকে এক সৎপুত্র দান করুন পুত্র সন্তান লাভের ইব্রাহিম আলাইহি সাল্লাম এই দোয়াটি মুসলিম ওমরাহের জন্য অনুকরণীয়।
হযরত জাকারিয়া আলাইহি সাল্লাম বায়ো বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও নিঃসন্তান ছিলেন একদিন তিনি দেখলেন আল্লাহ তাআলা মৌসুম ছাড়াই মরিয়ম আলাইহিস সালামকে ফল দান করেছেন। এটা দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে সন্তান লাভের আশায় দোয়া করলেন সেই দোয়াটি হল রাব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা জুরাইয়া তান তাইয়্যেবা ইন্নাকা সামিউদ অর্থাৎ হে আমাদের প্রতিপালক তোমার পক্ষ থেকে আমাকে পুতপবিত্র সন্তান দান করো নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা কবুলকারী।
হযরত ইয়াহিয়া আলাইহি সালাম হলেন জাকারিয়া আলাইহিস সাল্লাম এর সন্তান পুত্র সন্তান লাভের জন্য এই দোয়াটিও করা যায়। নিঃসন্তান দম্পতির উচিত আল্লাহর উপর ভরসা করা উল্লেখিত দোয়া গুলো পাঠ করা ঈদের গুণ হল তারা আল্লাহ তালার কাছে যে কোন বিষয়ে দোয়া করে থাকেন। আল্লাহর বান্দার পরিচয় দিয়ে কুরআনে বলা হয়েছে।
ধার্মিক স্ত্রী ও সন্তানের জন্য দোয়া করেন, হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের আমাদের জন্য নয়ন প্রতিকর কর এবং আমাদের সংযমীদের আদর্শ রূপ কর। সন্তান লাভের জন্য কুরআনে বর্ণিত উল্লেখিত সব কয়টি দোয়া করা যায়। মনে রাখতে হবে আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে সন্তান কামনা করা যাবে না সন্তান লাভের জন্য অবৈধ ও ইসলামিক উপায় অবলম্বন করা যাবে না।
সন্তান মেধাবী হওয়ার আমল
সন্তানকে মেধাবী বানানোর জন্য মায়েরা কি না করে কত রকমের পুষ্টিকর খাবার দেয় অনেক নিয়ম-কানুনের ভিতরে রাখে যাতে করে সন্তান কোন খারাপ কাজ না করে এজন্য ইসলামে মায়ের মর্যাদা এবং সম্মান অধিক পরিমাণ দেওয়া হয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে কিছু দোয়া রয়েছে যে দোয়াগুলো পাঠ করলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং সকল কিছু মনে রাখার ক্ষমতা আল্লাহ তা'আলা তরফ থেকে বৃদ্ধি পায়।
- রাব্বি জিম্মি ইলমা অর্থাৎ হে আল্লাহ আপনি আমার স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে দিন।
- দ্বিতীয় দোয়াটি হলঃ আল্লাহুমা ফাকফি ফিদ্দিন অর্থাৎ হে আল্লাহ আপনি তাকে দিনের জ্ঞান দান করুন উপকার রাসুল সাঃ ইবনে আব্বাস রাযিআল্লাহু তা'আলা এর জন্য এই দোয়াটাই করেছিলেন।
গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কোন সূরা পড়তে হয়
প্রতিটি গর্ভবতী মায়ের জন্য দরকার হলো গর্ভ অবস্থায় কোন সূরা পড়তে হয় কোন মাসে একজন মা যদি ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক তার সন্তান তার মঙ্গলের জন্য আল্লাহর এবাদত এর মধ্যে মশগুল থাকে তাহলে অবশ্যই তার সন্তান নেককার সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করবে অবশ্যই আপনাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে।
আর গর্ব অবস্থায় সন্তানের সুরক্ষার জন্য বেশি বেশি আল্লাহর এবাদত করতে হবে। সব রকমের বদ অভ্যাস ছেড়ে দিতে হবে কোন ধরনের বাজে খাবার খাওয়া যাবে না যেমন মাদকদ্রব্য এগুলো বাচ্চার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকার গর্ভবতী অবস্থায় অ্যালকোহল জাতীয় কোন খাবার খাবেন না। চলুন তাহলে জেনে নিই গর্ভবতী মায়ের কোন মাসে কোন সূরা পড়তে হয়ঃ
- সূরা মুহাম্মদ পড়লে সন্তান চরিত্রবান হবে।
- ষষ্ঠ মাসের সূরা ইয়াসিন পড়লে সন্তান জ্ঞানী হবে।
- তৃতীয় মাসে সূরা মারিয়াম পড়লে সন্তান সোহিনী হবে।
- সন্তান বুদ্ধিমান হবে চতুর্থ মাসে সূরা লোকমান পড়লে।
- প্রথম মাসে সূরা আল ইমরান পড়লে সন্তান দামি হবে।
- সন্তান সুন্দর করতে সূরায়ে ইউসুফ পড়ুন দ্বিতীয় মাসে।
- সপ্তম অষ্টম নবম ও দশম মাসে সূরা ইউসুফ মোহাম্মদ এবং ইব্রাহিম কিছু কিছু পড়বে।
সূরা লোকমান তেলাওয়াত বা পড়লে আল্লাহ চাইলে গর্ভে সন্তান জ্ঞানী তীব্র বুদ্ধি ও হেকমত সম্পন্ন হবে সূরা ইন্সি কাক তেলাওয়াত করলে গর্ভের সন্তান সকল প্রকার ক্ষতি থেকে আল্লাহ চাইলে নিরাপদে থাকবে সূরা ইউসুফ তেলাওয়াত করলে আল্লাহ পাকের দয়ায় গর্ভের সন্তানের প্রকাশ ও গোপনীয় উভয় দিক সুন্দর হবে।
লেখক এর মন্তব্যঃ গর্ভবতী মায়ের আমল এবং দোয়া গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার উপায়ঃ
সর্বশেষে বলা যায় যে গর্ভবতী মায়ের সর্বদা আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে সন্তানকে আদর্শবান সন্তান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তাকে গর্ভ অবস্থায় ভালো কাজ করতে হবে অর্থাৎ আল্লাহর এবাদতে ব্যস্ত থাকতে হবে কোনরকম খারাপ কাজ করা যাবে না। আজকে আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি হয়তো অনেক কিছু জানতে বা বুঝতে পেরেছেন যদি কিছু জেনে থাকেন বা এরকম আরো নতুন নতুন কিছু তথ্য পেতে চান তাহলে আমার এই ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url