মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম তাহাজ্জুদে সময় ফজিলত নিয়ত দোয়া

আসসালামু আলাইকুম নিয়মিত ভিজিটারদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা আজকে আমরা মহিলাদের তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানব ও জানাবো ইনশাল্লাহ । 
মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
মহিলাদের তাহাজ্জত নামাজের নিয়ম ফজিলত সময় এবং তাহাজ্জুদ নামাজ কেন পড়বেন মনের ইচ্ছা পূরণের জন্য আল্লাহর কাছে চাইবার একমাত্র তাহাজ্জুতের নামাজ।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মহিলাদের তাহাজ্জত নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা শুরু করা যাক।

ভূমিকাঃ

রাতের শেষভাগে আমরা যে নামাজ পড়ে থাকি মূলত তাকেই আমরা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে থাকি। ইসলাম ধর্ম অনুসারীদের জন্য ইবাদত হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামাজ এটা বাধ্যতামূলক পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের অন্তর্ভুক্ত নয়। নবী করিম হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়মিত তাহাজ্জতের সালাত আদায় করতেন। এবং সাহাবীদের এটা পালনে উৎসাহিত করতেন তাহাজ্জুদ নামাজ আপনার মনের ইচ্ছা আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের একমাত্র পন্থা যার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।

তাহাজ্জুদ নামাজঃ

হযরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত অপর এক হাদীসে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। আল্লাহ প্রতি রাতে নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে তখন তিনি বলতে থাকেন কে আছো যে আমায় ডাকবে আর আমি তার ডাকে সাড়া দেব। কত সুন্দর একটা কথা কে আছো যে আমার কাছে কিছু চাইবে আর আমি তাকে দা দান করব। কে আছো যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করব। বুখারী ও মুসলিম হাদিস আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত আমি মোহাম্মদ সাঃ কে বলতে শুনেছি ফজর নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুতের নামাজ।

মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়মঃ


তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের শেষ তৃতীয় অংশে পড়া উত্তম তবে ঘুম থেকে সম্ভাবনা থাকলে এশার নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নত ও বিতের এর আগে পরে নেওয়া জায়েজ আছে। তাহাজ্জুদ নামাজের রাকাতের সংখ্যা সর্বনিম্ন দুই রাকাত আর সর্বোচ্চ ১২ রাকাত পড়া উত্তম। তবে আরো বেশি পড়া জায়েজ আছে আপনি যদি সুস্থ স্বাভাবিক থাকেন তাহলে আপনি আরো পড়তে পারেন। তাহাজ্জুদ নামাজ বিতরের নামাজের আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে না। 

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম হচ্ছে দুই রাকাত দুই রাকাত করে। লম্বা কেরাত লম্বা রুকু ও সেজদা সহকারে একনিষ্ঠ মনে পড়া। কেরাত উচু বা নিচু উভয় আওয়াজ এ পড়া জায়েজ আছে তবে কারো যদি কষ্টের কারণ হলে চুপিচুপি পড়া কর্তব্য। রমজান মাস ছাড়াও অন্য যেকোনো সময় মাঝেমধ্যে জামাতে পড়া জায়েজ আছে তবে নিয়মিত ভাবে নয় মেয়েদের জামাতে নামাজ কায়েম হয় না।

মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলতঃ


যারা বিনা হিসাবে জান্নাত পেতে চান তাদের মধ্যে একশ্রেণীর মানুষ হলেন তারা যারা যত্ন সহকারে তাহাজ্জত নামাজ আদায় করেন কোরআনে বিভিন্ন সূরায় এ নামাজের প্রতি তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তাই প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর সাহাবায়ে কেরাম তাবে-তায়েবিসহ সব যুগের অলি ও বিধানরা তাহাজ্জুদ নামাজে রাত কাটিয়ে দিয়েছেন। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের প্রাথমিক যুগে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ।

হওয়ার আগে এ নামাজ পড়া নির্দেশ ছিল না। রাতের কিছু অংশ ছাড়া সারারাত জেগে তাহাজ্জুদ আদায়ের নির্দেশ ছিল। তাহাজ্বতের এতই মর্যাদা বা নামাজে এ নামাজ পড়া মুসলিম মেয়ের দোয়া বা চাওয়া পাওয়া লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় না। আল্লাহ তায়ালা তাহাজ্জুদ পড়া ব্যক্তির ডাকে সাড়া দেন দোয়া ও মনের আশা কবুল করেন আমিন।

তাহাজ্জুদ নামাজের সময়সূচীঃ


মধ্যরাতের পরে বা রাতে দুই তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হলে তাহাজ্জুদ নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় রাত দুইটার পর থেকে ফজর নামাজের ওয়াক্ত আরম্ভ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাহাজ্জত নামাজ ওয়াক্ত। তবে রমজান মাসে সেহরির সময় শেষ হলে তথা ফজরের ওয়াক্ত শুরু হলে তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়। দুই রাকাত নামাজ থেকে শুরু করে তাহাজ্জুদ নামাজ শুরু হন আপনার মনের ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা পূরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামাজ।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়তঃ

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মত তাহাজ্জুদ নামাজের নির্দিষ্ট কোন নিয়ত নেই আপনি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী আল্লাহর কাছে যেভাবে চাইবেন একনিষ্ঠ ভাবে নিয়ত করে দাঁড়ানোটাই শ্রেষ্ঠ। তাহাজ্জুদের নিয়ম হে আল্লাহ তোমার দরবারে দুই রাকাত তাহাজ্জুতের নিয়ত করছি অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে নিয়ত বেদে নামাজ পড়া শুরু করবেন।

তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়াঃ

একজন মুসলমানের অত্যন্ত প্রধান দায়িত্ব আল্লাহতালা বিধানে সামনে নিজেকে সমর্পণ করে দেওয়া। কোন কথা ছাড়াই ফজর বিধান মেনে নেওয়া। ফরজ বিধান পালনে অবজ্ঞা করলে পরকালের শাস্তি ভোগ করতে হবে। তাই সবার উচিত ফরজ বিধানগুলো পালনে সতর্ক থাকা এবং নিয়মিত মেনে চলা। হাদীসে এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। যদি সে সঠিক হিসাব দিতে পারে তবে কৃতকার্য হয়ে যাবে। আর যদি ব্যর্থ হয় ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হয়ে যাবে। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় একটি বিশেষ দোয়া পড়তেন আপনার চাইলে সেই দোয়াটি পড়তে পারেন।

তবে এটা পড়া অবশ্য মনে করা যাবে না বা এটা করলে তাহাজ্জত নামাজ হবে না এমন ভাবে যাবে না। তবে আপনি আপনার মত করে চাইতে পারেন। যেমন ধরুন হে আল্লাহ আপনার কাছেই আমি আত্মসমর্পণ করলাম আপনার উপর ঈমান আনলাম আপনার উপর ভরসা করলাম আপনার দিকে রুজু করলাম আপনার সন্তুষ্টির জন্যই আপনাকে বিচারক মেনে নিলাম তাই।  আপনি আমার আগের পরের জানা-অজানা প্রকাশ্য ও গোপনীয় সকল পাপ অপরাধ ভুল ক্ষমা করুন।আপনি শুরু এবং আপনি শেষমানি। আপনি ব্যতীত সত্য কোন প্রকৃত ইলাহ নেই আপনি ব্যতীত অন্য কেউ নেই আমিন।

লেখকের মন্তব্যঃ

সম্মানিত পাঠক ত মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম নিয়ত ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমার এই আর্টিকেলটিতে তুলে ধরা হয়েছে আপনি যদি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন বা কিছু জেনে থাকেন। তাহলে একটি মন্তব্য করে যাবেন আপনাদের আরো সঠিক তথ্য দেওয়ার অনুপ্রেরণা জোগাবে আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন আরো নতুন নতুন তথ্য নিন শেয়ার করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url