শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় - মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানুন

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার পাশাপাশি মানসিকভাবে সুস্থ থাকাটাও খুব প্রয়োজন কর্মব্যস্ততার কারণে অনেক সময় মন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় অনেকে হয়তো বুঝতে পারে না যে সে ধীরে ধীরে মানসিক ভালো ক্লান্ত হয়ে পড়ছে মানসিকভাবে সুস্থ থাকা বলতে বোঝায়।
শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়
প্রতিদিন সব কাজ সুন্দরভাবে পরিচালনা করা যেকোনো পরিস্থিতির দক্ষতার সঙ্গে সব কিছু হামলায় নিতে পারা মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে কি কি করা যায় শুধু আমাদের বড়দের মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকাকে গুরুত্ব দিলেই চলবে না পাশাপাশি শিশু শারীরিক মানসিকভাবে সুস্থ আছে কিনা সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে এবং গুরুত্ব সহকারে সেটাকে দেখতে হবে।

পারিবারিক সমস্যার সমাধানের উপায়

পারিবারিক সমস্যার সমাধানের জন্য কিছু উপায় হলো
  • প্রার্থনাঃ স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করা কারণ তিনিই সকল সমাধানদাতা।
  • ইতিবাচক মনোভাবঃ সমাধানের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রাখা এবং সমস্যা সমাধানে বিশ্বাস রাখা।
  • ফ্যামিলি থেরাপিঃ একজন পেশাদার থেরাপিস্টের সাহায্য নিয়ে পারিবারিক সমস্যাগুলি নিরসন করা
  • মনোবিদের পরামর্শঃ মনোবিদদের পরামর্শ নিয়ে সমস্যাগুলি বুঝতে ও সমাধান করতে সাহায্য নেওয়া।
  • গঠনমূলক আলোচনাঃ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা করে সমস্যাগুলি সমাধান করা।
  • আইনজীবীর পরামর্শঃ আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়ে পারিবারিক বিষয় ও সমস্যা সম্পর্কে সহায়তা পাওয়া।
এই উপায়গুলি পারিবারিক সমস্যার ধরন ও প্রকৃতি অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। তাই সমস্যার সমাধানের জন্য প্রথমে সমস্যার মূল কারণ বুঝতে হবে এবং তারপর উপযুক্ত উপায় নির্বাচন করতে হবে। আপনার সব থেকে কাছের মানুষ হলে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব নিজের সুখ দুঃখ এদের সঙ্গে ভাগ করুন দেখবেন মানসিক অসুস্থতা স্পর্শ করতে পারবেনা আপনাকে আপনার ভালো লাগা খারাপ লাগা কষ্ট নিজের ভিতরে লুকিয়ে না রেখে মা বাবা ভাই বোন বা কাছের কোন বন্ধুর কাছে খুলে বলুন দেখবেন নিজেকে। 
অনেক বেশি হালকা লাগবে এবং সেখান থেকে একটা সলিউশন্স্বে চ্ছাসেবী হিসেবে একে অপরের পাশে থাকা আপনি যদি করেন তাহলে দেখবেন নিজের ভেতরে অনেক আনন্দ অনুভব করছেন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার জন্য খুব বেশি টাকার দরকার পড়ে না স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার জন্য উৎসাহ থাকতে হবে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে।
  • পরিমাণ মতো ঘুমানোঃ রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপকারিতা অনেক বেশি রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হওয়ায় আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
  • বর্তমান নিয়ে ভাবাঃ যেসব মানুষ অলওয়েজ কাজ প্রেমে হয়ে থাকে তাদেরকে দেখা যায় না বললেই চলে তাই বর্তমান সময়টাকে কাজে লাগালেই সঠিকভাবে ভবিষ্যতে আরো ভালো করতে পারবেন এমন চিন্তাভাবনা করুন।
  • পজেটিভ মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাঃ এই ধরনের মানুষদের মন অনেক ভালো হয় এরকম মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলে তাদের কথায় আপনার মন ভালো থাকবে পজেটিভ মানুষদের সাথে থাকলে মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে পছন্দের কাজ করা আপনি যদি আপনার শখের কাজটি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তাহলে দেখবেন চিন্তা মুক্ত থাকা সম্ভব না থাকে।

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়

মানব জীবন ধারায় পরিবর্তন ও খারাপ অভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে আগামী নতুন বছরের শুরুটা হতে পারে দারুন এক সময় যদিও কিছু অল্প সংখ্যক মানুষ তাদের জীবনের সংকল্প থাকতে পারে না তবুও আগামী নতুন বছরে স্বাস্থ্য ও সুস্বাস্থ্যতার জন্য নেওয়া যেতে পারে বেশ কিছু সংকল্প।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা
  • মানসিক চাপ কমানো
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
  • স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার
  • ধূমপান থেকে বিরত থাকা
  • স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখাঃ সুস্বাস্থ্যের জন্য ওজন কমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনার উচ্চতা অনুযায়ী যদি ওজন বেশি হয়ে থাকে তাহলে সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন ওজন নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে হৃদরোগ টাইপ২ ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপের রোগের ঝুঁকি কমতে থাকে তাই ওজন কমাতে চাইলে স্বাস্থ্যকর খাবার খান ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • মানসিক চাপ কমানোঃ দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ স্বাস্থ্য ও সুস্বাস্থ্য তার উপর প্রভাব ফেলে মানসিক চাপ কমানোর উপায় জানার মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ অতিরিক্ত চাপ অনুভব করলে শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম হাটা গান কোরআন তেলাওয়াত শোনার মত কাজগুলো আপনার সহায়ক হতে পারে তাই এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় বের করতে হবে।
  • কি খাচ্ছি কিভাবে খাচ্ছেনঃ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফল ও শাকসবজি থাকা গুরুত্বপূর্ণ কারণ শাক সবজি ও ফলেক্যালোরি ও চর্বি কম থাকে ভিটামিন ও খনিজের ভালো উৎস এগুলো ফাইবার সম্মিলিত খাবার আর মানবদেহে ফাইবার সংযুক্ত খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করে দ্রুত খাবার খাওয়া ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে খাওয়ার সময় টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন থেকে দূরে থেকে খাবারটি উপভোগ করতে হবে।
  • ধূমপান থেকে বিরত থাকাঃ ধূমপানশারীরিক ক্ষতি সাধনের খুব বড় একটা ভূমিকা পালন করে ধূমপান ধূমপান মানব শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গের ক্ষতি করে থাকে এছাড়াও তামাক জর্দা মধ্য সিগারেট বিভিন্ন প্রক্রিয়া ধূমপানে মুখের ক্যান্সারের সৃষ্টি করে ধূমপান একটি সুন্দর জীবন নষ্ট করে দেয় তাই সুস্থ থাকতে যে কোন প্রক্রিয়াতেই ধূমপান সেবন বন্ধ করুন পরিকল্পনা করি ধূমপান মুক্ত জীবন।
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষঃ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনে একটি বিষয় বছরে একবার নিয়ম করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এতে করে ছোটখাটো স্বাস্থ্য সমস্যা বড় আকার ধরনের আগে সনাক্ত ও প্রতিরোধ করা সম্ভব তাই আমাদের উচিত বছরে একবার হলেও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম আরামদায়ক ঘুমের জন্য রুটিন তৈরি ঘুমানোর আগে মোবাইল বা টেলিভিশন এড়িয়ে যেতে হবে ভালো ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও মানসিক সুস্থতা বাড়ায় যদি ঘুম কম হয় সমস্যা থাকে তাহলে মানসিক চাপ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত

খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা

শীতকালে শরীরকে সুস্থ রাখতেএবং কর্মকর্ম রাখতে আধা ও তুলসির কোন বিকল্প নাই বললেই চলে এই দুই ধরনের প্রাকৃতিক উপাদানে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এন্টিবায়োটিক এবং এন্টিভাইরাল প্রপার্টিজ যা শীতের প্রকোপ থেকে বাচতে সব দিক থেকে উপকার তাই আসল নিচে জেনে নিই আদা ও তুলসীর কিছু উপকারিতা ও গুণাবলী জানতে হলে নিচে বিস্তারিত দেখুন।

আদার গুনাগুন ও উপকারিতা

আদায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিনা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভালো শীতের সকালে আদা চা আপনার ঠাণ্ডা ভাব অনেকটাই কমিয়ে দিতে ওজন কমায় আদায় রয়েছে উচ্চমাত্রায় জিন যে দল যেটি অ্যান্টি ইনফি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এ শক্তিশালী উপাদান গ্রামে একটি প্রবাদ রয়েছে সকল রোগের দাদা নাম তার আদা আসুন নিচে জেনে নেই আধা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য।
  • কখন খাবেন কিভাবে খাবেনঃ আদায় রয়েছে পটাশিয়াম আয়রন ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম ফসফরাস সোডিয়াম ম্যাংগোনিজ ভিটামিন এ বি৬ ইও সি এন্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট ও আন্টি ইন ফ্লেমরেটরি এজেন্ট ইত্যাদি এই আদা মুখ পরিষ্কার করতে ক্যান্সার মাইগ্রেন ঋতুস্রাব ঠান্ডা কাশি ফ্লু পেট ব্যথা রক্ত সঞ্চালন গলা ব্যাথার মত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় উপশম হিসাবে সাহায্য করে তাই রোজ নিয়ম করে আমরা এক কুচি আদা খেয়েও অনেকটাই শীতের সকালে সুস্থ থাকতে পারে

তুলসী পাতার উপকারিতা

আমরা জানি প্রতিটি হিন্দু বাড়িতেই তুলসী গাছ রয়েছে আজকে নিজেদের পূজনীয় মনে করে কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা তুলসী পাতা একই মহা ঔষধি হিসাবে কাজ করে থাকে তুলসী পাতায় থাক ইমিউনোমডুলেটরি বৈশিষ্ট্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় তুলসী পাতা উপকারী এ কথা প্রায় সবারই জানা কিন্তু তুলসী পাতা খেলে কোন উপকার গুলো পাওয়া যায় সে কথা অনেকেরই অজানা আসুন জেনে নি ই তুলসী পাতার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি রোগ কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা তুলসীতে এন্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা ফ্রী রেডিক্যাল এর প্রভাব কমায় খালি পেটে তুলসীর ভেজানো পানি খেয়ে নেন।
শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়
সর্দি-কাশির ঝুঁকি কমে দুশ্চিন্তা কম হয় তুলসী পাতা ভেজানো পানি মন শান্ত রাখে এবং টেনশন দূর হয় এছাড়াও তুলসীর পানি হজম শক্তি ভালো রাখে ।কোষ্ঠকাঠিন্য এসিডিটি দূর করে তুলসী পাতা যেমন উপকার রয়েছে তেমনি অপকারও রয়েছে যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা থাকে তাদের ক্ষেত্রে এই তুলসী পাতা না খাওয়াই ভালো তুলসী পাতায় রয়েছে অতিরিক্ত পটাশিয়াম যা কিনা রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে তুলসী পাতা খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা ও কোলেস্টেরল দুটোই রোধ করে তাই খুব সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে তুলসী দিয়ে তৈরি ২৫০ মিলিগ্রামের একটি ক্যাপসুল প্রতিদিন খাওয়ার ফলে ওবেসিটি ও লিপিড প্রোফাইল নিয়ন্ত্রণ করা যায় তবে যেকোনো ওষুধ খাওয়ার। 
আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে তুলসী পাতা আমাদের পাকস্থলীর জন্য খুবই উপকারী এবং এটি দ্রুত মেটাবলিক সিস্টেম মেরামত করে তাই প্রতিদিন তুলসী পাতা খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে সে ক্ষেত্রে আমরা প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে তুলসী পাতা একটা অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে।

শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ

বয়সের অনুপাতে আমরা শুধু নিজেদের মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ রাখার চেষ্টা করি কিন্তু কখনো কখনো আমরা ভুলে যায় আমাদের যেমন শারীরিক বা মানসিকভাবে সুস্থ থাকার প্রয়োজন সেরকম শিশুদের ক্ষেত্রেও আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত আমাদের উচিত তাদের সুস্থ রাখার জন্য তাদেরকে নির্দিষ্ট একটা সময় দেওয়া তাদেরকে বোঝানো আমরা সকলেই জানি ছোট্ট একটি গাছ আগামী দিনের ভবিষ্যৎ আসো নিচে বিস্তারিত জেনে নি কিভাবে শিশুর শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখা যায় শিশুর মানসিক সুস্থ রাখার উপায় একজন শিশুকে সুস্থ রাখতে পিতা-মাতা পরিবার-পরিজন ও শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম কেননা বিদ্যালয়ে শিশু বিকাশে এগিয়ে আসা সকল শিক্ষকের মহান দায়িত্ব পালন কর। প্রাথমিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা কত ছাড়া মানুষিক বিরতিযুক্ত শিশুদের বাড়িতে স্কুলে এবং বন্ধুত্ব গঠনের সমস্যা হতে পারে মানসিক ব্যাধিগুলো করতে পারে যার ফলে এমন সমস্যা পর্যন্ত চলতে পারে শিশুর।
বিভিন্ন ধরনের বিকাশের মধ্যে সামাজিক বিকাশ একটি মানুষ সামাজিক জীব তাই শিশুদের সমাজবদ্ধভাবে বসবাসের জন্য সামাজিক বিকাশ জরুরী বিদ্যালয়ে একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান বলা যেতে পারে ও সমাজ ও একটি অন্যটির পরিপূরক গঠনের জন্য সমাজের সকল সদস্যের মধ্যে পারস্পরিক মমতা আন্তরিকতা সহানুভূতির শ্রদ্ধাবোধ দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ জাগ্রতকরণের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধারণা আবিষ্কার শিশুর মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে পরিবার ও বিদ্যালয় অস্বাভাবিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আজকের শেষ হয়ে আগামীর দিনের ভবিষ্যৎ তাই আমাদের সকলের উচিত শিশুর মানসিক সুস্থতার গুরুত্ব দেওয়া তাদের সময় দেওয়া তাদের সুষ্ঠু পরিবেশে গড়ে তোলা মা বাবার পাশাপাশি পরিবার পরিজন আত্মীয়-স্বজন সবার সবাই মিলেই কিন্তু একজন শিশুকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখা যায়।

শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ

আমরা একজন শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য ও শারীরিক সুস্থ বলতে বোঝায় শিশু ঠিকমতো খাচ্ছে কিনা ঘুমাচ্ছে কিনা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠছে কিনা এতোটুকুই বুঝি কিন্তু আমরা কখনো এটা বুঝি না যে শিশুদেরকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে আমাদেরও কিছু করণীয় রয়েছে আসুন জেনে নে কিভাবে একটি শিশুকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখা যায় নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার শিশুর প্রধান খাদ্য পানীয় হিসেবে তাকে পানি খেতে উৎসাহিত করুন সারাদিনে যে আপনার শিশু পর্যন্ত পরিমাণ পানি পান করে সেটি নিশ্চিত করুন তাকে ঘরেতে তৈরি হলে শরবত দিতে পারেন তবে বাজারের প্রক্রিয়া যাতে জুস বা কোমল পানীয় পান করতে নিরসাহিত করুন প্রতিদিন খাবারের তালিকায় সুষম ও পুষ্টিকর খাবার রাখার। চেষ্টা করুন অনেক মায়েরা সন্তানের ওজন বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং তাকে ওজন কমানোর ডায়েটে অভ্যস্ত করেন আপনার ছোট সোনামণিকে ওজন কমানোর ডায়েট অভ্যস্ত না করে তাকে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনে উৎসাহিত করুন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমঃ ঘুম শিশুদের সব রকম মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম অতি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু প্রায় ২৫ শতাংশ শিশু ঘুমের সমস্যায় ভুগে থাকে শিশুদের সুস্থভাবে শারীরিক বৃদ্ধি ও মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশের জন্য ঘুম অতি সুন্দর অতি প্রয়োজনীয় একটি শিশুকে ঘুমানোর ঘরটাই যথেষ্ট আনন্দের দায়ক ঠান্ডা শব্দহীন ও হালকা শব্দ বাগান দিয়ে রাখতে হবে যেন বাইরের আওয়াজ না শোনা যায় গবেষণায় দেখা গেছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম শিশুকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে গুরুত্ব বহন করা।

লেখকের মন্তব্যঃ শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় - মানসিক রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে জানুন

উপরের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যসমূহ আর্টিকেলটি আপনার যদি ভালো লেগে থাকে এবং আপনি যদি সঠিক তথ্যসমূহ পেয়ে থাকেন এছাড়াও অন্য কোন বিষয়ে জানার থাকলে এখানে আপনার মূল্যবান একটি মন্তব্য করতে পারেন আপনার একটি ভালো মন্তব্য আমার লেখার আগ্রহ এবং দায়িত্ব বাড়িয়ে দিবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url