মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা - মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পর্কে জানুন
সম্মানিত পাঠক পাঠিকাগণ আজকে আমার এই আর্টিকেলটিতে মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো আমরা সকলেই জানি মোবাইল ব্যাংক থেকে হুন্ডির মাধ্যমে এক দেশ থেকে আরেক দেশে অর্থ লেনদেন করতে পারি। বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে আমার এই আর্টিকেলটি পুরো পড়তে হবে
আশা করি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনি অনেক কিছু অজানা তথ্য জানতে পারবেন। এবং মোবাইল ব্যাংকিং বলতে কি বুঝায় করতে পারি এবং কিভাবে তার পদক্ষেপ নিতে পারি সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করেছি তাই দেরি না করে চলুন বিস্তারিত সবকিছু জেনে নেওয়া যাক।
মোবাইল ব্যাংকিং বলতে কি বুঝায়
আমাদের দেশে যেভাবে মোবাইল ব্যাংকিং সে বিশেষ করে বিকাশ নগদ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে এবং যেভাবে ব্যাংকের এই উপসেবা ভুল সেবা কে ছাড়িয়ে গেছে তাতে করে মোবাইল হুন্ডির মাত্রা ও চরম হারে পৌঁছেছে।আর মোবাইল ব্যাংকিং এর ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করে এই সেবাখাত কে কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনার কথা একাধিকবার বলা হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে হুন্ডি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় বাংলাদেশ ব্যাংক বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তেমন কোন গুরুত্ব দিয়েছে বলে মনে হয় না তার ফলে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে হুন্ডি ব্যবসায়িকরা সফলভাবে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারতেছে।
মোবাইল ব্যাংকিং উপায়
বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে বা মোবাইলে হুন্ডির বিপুল হারে অর্থ পাচার করে থাকে। এখন পুলিশের সিআইডি জানতে পেরেছে যে দেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে ঘটছে ভয়ংকর রকমের মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনা। সিআইডি এর সংক্রান্ত অনেক তথ্যপ্রমাণ ও হাতে পেয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে এর সঙ্গে জড়িত অনেকজনকে আটক করেছে। সিআইডির দেওয়া তথ্যমতে গ্রেপ্তারকৃত সবাই দেশের একটি জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। সিআইডি আরও উল্লেখ করেছে যে বিগত এক বছরে এই সঙ্ঘবদ্ধ চক্র দেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা বা ৭.৮ বিলিয়ন মার্কেট ডলার বিদেশে পাচার করেছে অর্থাৎ দেশে নিয়ে আসতে দেয়নি।
আরো পড়ুনঃ ই-কমার্স এর ব্যবহার
একেবারে আজকে উঠার মত ঘটনা দেশের ডলারের দুর্দিদে এত বিশাল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা সেটা আসার দেশকে কি ভয়ংকর ক্ষতির সম্পন্ন হতে হয়েছে ভাবা যায়। আর যদি মোবাইল ব্যাংকিং দেশের মূল ধারার ব্যাংকিং খাতের মতামত কঠোর নিয়ন্ত্রণের অধীনে চলছে এবং সেটা করতে গিয়ে তারা যদি যথাযথ কমপ্লায়ে নিশ্চিত করে তাদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করত তাহলে এত বিপুল পরিমাণ মা নেই লন্ডারিং করে ডলার দেশে না এলে পাচার করার উদ্দেশ্যে বিদেশে রেখে দিতে পারত না। শুধু তাই নয় ব্যবহার করে এরকম অবৈধ ডলার পাচারের প্রকৃত অবস্থা যেকোনো পর্যায়ে আছে তা হয়তো কল্পনা করাও কঠিন মাত্র কিছু জনকে আটক করেছে অথচ তাদের কাছে আছে যে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে অবৈধভাবে ডলার পাচার বা হুন্ডির সঙ্গে জড়িত আছে এরকম এজেন্টের সংখ্যা ৫ হাজারেরও বেশি হবে।
মোবাইল ফোনের ব্যবহার
দেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা অপব্যবহার করে কিভাবে এই বিশাল অংকের হুন্ডি বা মানি লন্ড্রিঙ্গের মতো ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তা ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করেও খুব একটা সফল হতে পারিনি। কারণ সংবাদমাধ্যমে সেভাবে বিস্তারিত তথ্য আসেনি সিআইডি যে সামান্য কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে তার ওপর ভিত্তি করে স্থান ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ফলের ঘটনার বিস্তারিত কিছু জানার সুযোগ খুব একটা নেই উল্লেখ করা হয়েছে যে তিনটি গ্রুপ এই আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে জড়িত এবং এরা সবাই কোন একটি ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী কোম্পানির সঙ্গে জড়িত।
আরো পড়ুনঃ ই কমার্স এর প্রকারভেদ
মোবাইল ব্যাংকিং সেবা
প্রধান কারি প্রতিষ্ঠানের সরাসরি সহযোগিতা ছাড়া এ ধরনের হুন্ডি বা আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিংসম্পন্ন করা সম্ভব নয়। সে রকম ব্যক্তিরাই বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে এই অপকর্ম করে থাকে বলে সেই গ্রুপের সংখ্যা ৩ তারচেয়ে অনেক বেশি হতে পারে।
- দুটি পক্ষঃ এ ধরনের আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিং এর ঘটনার সঙ্গে দুটি সরাসরি পক্ষ জড়িত থাকে যার মধ্যে একপক্ষ বিদেশ থেকে অর্থ আঠায় এবং অন্য পক্ষ দেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার করে আর এই দ্বিতীয় পক্ষ অর্থাৎ যারা এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে বিদেশে অবৈধভাবে অর্থ পাচার করছে তাদের সনাক্ত করতে পারলেই প্রকৃত ঘটনা জানা সম্ভব হবে।
মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা
একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে সিআইডি বা অন্য কোন এজেন্সি এর সঙ্গে জড়িত এরকম কিছু ব্যক্তিকে আটক করে সাজা দিলে যে দেশে এ ধরনের বন্ধ হবে বা কমে যাবে তেমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। মোবাইল ব্যাংকিং সেবার নামে আর্থিক লেনদেন যেভাবে সহজ বা অবারিত করে দেওয়া হয়েছে তাতে এ ধরনের ঘটনা আগামী দিনে ক্রমান্বয়ে বাড়তেই থাকবে। শুধু জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করেই দেশের যে কোন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির হিসাব খুলে দিলে হাজার হাজার টাকার লেনদেন করা যায়।
আরো পড়ুনঃ নাগরিক সেবা ও ই-কমার্সের অসুবিধা
যদি নিয়ন্ত্রণহীন আর্থিক লেনদেনে উন্নত বিশ্বে এমনি কি অনেক উন্নয়নশীল দেশে কল্পনা করাও কঠিন। অথচ আমাদের দেশে এই ব্যবস্থা চলছে অভালিয়ান আর যা কিছু সস্তা ও নিয়ন্ত্রণ তাই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। জনপ্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে ঘটে সব অঘটন কিন্তু আমরা সেটা বুঝতেই পারি না। মানিলন্ডারিং বন্ধ করতে হলে এই সস্তা ও সহজ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সবার আগে। দেশের দ্রুত অগ্রসরমান এই মোবাইল ব্যাংকিং সেবা যদি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না হয় তাহলে ভবিষ্যতে শুধু হুন্ডি এবং মানি লন্ডারিং ঘটনা ছাড়াও অনেক ভয়ংকর আর্থিক ঘটনা ঘটলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না বলে মনে করা যায়।
বাংলাদেশে অনলাইন ব্যাংকিং
প্রযুক্তি যেভাবে এগিয়ে চলেছে এবং মানুষের সেভাবে খুব সহজেই প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে তাতে অনলাইন ব্যাংকিং এখন যুগের চাহিদা সম্পূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ আমাদের দেশের ব্যাংকিং খাত তাদের প্রকৃত অনলাইন ব্যাংকিং সেবা সেভাবে অগ্রসর ও জনপ্রিয় করে তুলতে পারেনি।
আজ ব্যাংকগুলো যদি তাদেরও গ্রাহকদের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে সীমিত করি সেবা লেনদেন করার সুযোগ অবারিত করে দিতে পারতো তাহলে মানুষ তখন ব্যাংকের হিসাব থেকেই খুব সহজে মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন করতে পারত। ফলে বিকাশ বা নগদের মতো তৃতীয় কোন কোম্পানি প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করার প্রয়োজন হতো না। আর ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারলে গ্রাহকরা যেমন নিরাপদ বোধ করত পারতেন তেমনি লন্ডারিং বা বিদেশে অস্ত্র পাচারের মতো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ও খুব কম হতো।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়
প্রসার হয়নি অনলাইন ব্যাংকিং অনেক আলোচনা সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও ব্যাংকে এখন মানুষের আর্থিক লেনদেনের জন্য সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান। কেননা ব্যাংকেই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যা শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গঠন নিয়ন্ত্রণের মধ্য থেকে ব্যবসা করে। শুধু তাই নয় সেই সঙ্গে তাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইন ও বিধি-বিধান মেনে চলতে হয় আমাদের দেশের সুবিধা সেভাবে এগিয়ে নিতে পারেনি। শুধু সেই কারণেই এই শূন্যস্থান খুব সহজে দখল করে নিয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রধান কারী কোম্পানিগুলো। এসব মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি যেভাবে নিজেদের জনপ্রিয় করে তুলেছে মানুষ আর্থিক লেনদেন সহজ করে দিয়েছে। এমনি কি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের লেনদেনের নিয়ন্ত্রণ যে ধরনের ভূমিকা তাতে এই সেবা প্রদানকারী কোম্পানি বন্ধ করার কথা কল্পনা করাও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বা ঠিক হবেও না। এসব কোম্পানিগুলোকে কঠোর নিয়ন্ত্রণে বা নজরদারির মধ্যে নিয়ে আসা ও কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে।যেহেতু আর্থিক সেবা প্রদানের সঙ্গে জড়িত তাই তাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণের অধীনে আনতেই হবে এবং এর কোন বিকল্প নেই।
আরো পড়ুনঃ ব্লগ লেখার নিয়ম
নিয়ন্ত্রণের কৌশল যদি বলা যায় মোবাইল ব্যাংকিং এবং হুন্ডি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি প্রথমে একটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে সরাসরি অর্থ স্থানান্তর বাল লেনদেন করার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের অবশ্যই কোন না কোন ব্যাংক হিসাব তাদের মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে সঙ্গে লিংক থাকতে হবে ব্যাংক হিসাব ব্যাক্তিকে শুধু মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব দিয়ে দ্রব্য বা ও সেবা ক্রয়ের মূল্য পরিশোধ বা বিল পরিশোধের মতো লেনদেন সম্পন্ন করা যেতে পারে না। মোটকথা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের জন্য দুই ধরনের হিসাব থাকতে পারে এক ধরনের হিসাবে কোন ব্যাংক হিসাবের বাধ্যকতা থাকবে না। এসব গ্রাহক সীমিত পরিসরে সেবা বিশেষ করে দ্রব্য সামগ্রী কেনা বাবিল পরিষদের মতন লেনদেন করতে পারবেন মাত্র। আরেক ধরনের হিসাব থাকবে যাদের দেশের কোন ব্যাংকে হিসাব চালু থাকবে। সেই হিসাব লিংক করা থাকতে হবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা কোম্পানির হিসাবের সঙ্গে।
আরো পড়ুনঃ ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায়
এ ধরনের গ্রাহকই শুধু সরাসরি অর্থ স্থানান্তরের মতো লেনদেন করতে পারবেন উল্লেখ্য কোন ব্যাংক হিসাব লিংক করার অর্থ এই নয় যে সেই হিসাবে পণ্য একসেন্স মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পেয়ে যাবে। যদি কোন গ্রাহক নিতে চান তাহলে তিনি তার সীমিত পরিসরে নিতে পারবেন। তবে এই ব্যাংক হিসাব লিংক করার অর্থ এই যে যখনই কোন গ্রাহক অর্থ স্থানান্তরের লেনদেন করতে চাইবেন তখন সিস্টেম সক্রিয়ভাবে ভ্যালিড ব্যাংক হিসাব ভেরিফাই করে নিবে। এরকম আরো কিছু নিয়ন্ত্রণ মূলক ব্যবস্থা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রধান কারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে বলে মনে করা যায়। তা না হলে হুন্ডি বা মানি লন্ডা রিং এর মত ঘটনা বিশেষ করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা অপব্যবহার করে। বিদেশে অর্থপাচারের ঘটনা কমবে না উল্টো ক্রমান্বয়ে বাড়তেই থাকবে। তাই আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত যাতে করে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বা হুন্ডির মাধ্যমে আমরা যেন প্রতারিত না হই।
লেখকের মন্তব্যঃ মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা - মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পর্কে জানুন
সম্মানিত পাঠক আজকের বিষয় ছিল মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হুন্ডি কিভাবে নিয়ন্ত্রন করতে পারি সেসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত কিছু তথ্য আমার এই আর্টিকেলটিতে তুলে ধরেছে আশা করি আপনি পুরোটা পড়েছেন। এবং অনেক কিছু না জানা তথ্য জানতে পেরেছেন যদি নতুন কোন কিছু তথ্য জেনে থাকেন তাহলে একটি কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে যাবেন আপনার একটি কমেন্ট আমার লিখার আগ্রহ এবং আপনাদের নতুন নতুন তথ্য দেওয়ার আগ্রহটা বাড়িয়ে দিবে আমার এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন লাইক শেয়ার কমেন্ট করে যাবেন আপনার পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url