ই-কমার্স এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো কি বিস্তারিত জানুন

সম্মানিত পাঠক আমরা আধুনিক বিশ্বের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়  ই-কমার্স এর  সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো কি  সম্পর্কে আমার এই আর্টিকেলটিতে জানাতে চলেছি। সহজ ভাবে ই-কমার্স যা ইলেকট্রনিক বাণিজ্য বা ইন্টারনেট বাণিজ্য নামেও পরিচিত ঘরে বসে ইন্টারনেট ব্যবহার করে পণ্য বা পরিষেবা বাদী বিক্রয় এবং এই লেনদেন গুলির কার্যকর করার জন্য অর্থের আদান-প্রদান কে ই কমার্স বুঝায়।
ই-কমার্স এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো কি বিস্তারিত জানুন
ই-কমার্সে যতটা সুবিধা রয়েছে ঠিক ততটা ই-কমার্সে অসুবিধা রয়েছে তাই আমার এই আর্টিকেলটিতে ই-কমার্স কি এবং টি কমার্সের সুবিধা অসুবিধা গুলো কি কি সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ই-কমার্স এর মাধ্যমে ফিজিক্যাল ও ভার্চুয়াল দুই ধরনের পণ্যের ক্রয় বিক্রয় করা যায়। তাই আসুন দেরি না করে বিস্তারিত জেনে নেই ই কমার্স এর প্রকারভেদ এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো কি কি তার জন্য আপনাকে আমার এই আর্টিকেলটি পুরো পড়তে হবে।

ই-কমার্স এর ব্যবহার

১১ আগস্ট ১৯৯৪ সালে একজন আমেরিকান সিডি বিক্রেতা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে তার তিন বন্ধুর কাছে ব্র্যান্ড স্টিংয়ের মাধ্যমে একটা সিডি বিক্রি করেছিল। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা ই-কমার্স এর মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের প্রথম উদাহরণ। অনলাইনে পণ্য খুচরা ও পাইকারি ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যমে অনেক সহজ করে দিয়েছে এভাবেই ই-কমার্স একটি নির্ভরযোগ্য বাণিজ্যিক মাধ্যমে গড়ে উঠেছে। ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বৃহত্তর কর্পোরেশন গুলো সকলে ই-কমার্স থেকে উপকৃত হয়েছে যার ফলে তাদের পণ্য এবং পরিসেবা গুলো এমন একটি স্কেলে বিক্রয় করতে সক্ষম হয়েছে যা অনলাইন ঐতিহ্যগত মাধ্যমে সম্ভব ছিল না।সারা বিশ্বের যে কোন জায়গায় যে কোন স্থান থেকে এখন এই কমার্সের মাধ্যমে আমরা যে কোন কিছু আদান-প্রদান করতে পারি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ই-কমার্সের গুরুত্ব অনেকটাই।

ই কমার্স এর প্রকারভেদ

সাধারণত চারটি প্রধান ধরনের ই-কমার্স মডেল রয়েছে গ্রাহক এবং বিক্রেতার মধ্যে ঘটে যাওয়া দিতে পারে।
  • ই-কমার্স এর উদাহরণঃ বর্তমানে মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের ই কমার্স প্রচলিত রয়েছে নিচে উল্লেখযোগ্য কিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
  • গ্রাহক থেকে ব্যবসায়ীঃ যখন কোন ভোক্তা তাদের নিজস্ব পণ্য বা পরিষেবা গুলো কোন ব্যবসায়িক সংস্থার কাছে বিক্রি করে তখন তিনি একজন গ্রাহক থেকে একজন ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন।
  • গ্রাহক থেকে গ্রাহকঃ যখন কোন গ্রাহক থেকে অন্য কোন গ্রাহকের কাছে কোন পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে থাকে। যেমন আপনি আপনার পুরনো আসবাবপত্র অন্য গ্রাহকের কাছে বিক্রি করেন।
  • খুচরাঃ কোন মধ্যস্তকারি ছাড়াই সরাসরি কোন গ্রাহকের কাছ থেকে পণ্য বিক্রয় করে নিজেকে ব্যবসায়ী হিসাবে দাঁড় করায় তাকে খুচরা বিক্রেতা বলা হয় সেটাকে আমরা খুচরা বিক্রেতা হিসেবে গণ্য করে থাকে।
  • ব্যবসায়িক থেকে ব্যবসায়িকঃ ব্যবসায়িক থেকে ব্যবসায়িক এক্ষেত্রে একজন বড় ব্যবসায়ী থেকে ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের নিকট পণ্য বিক্রয় করে থাকে। যেমন ধরুন কোন খুচরা বিক্রেতা বিক্রির জন্য কোন পণ্য করা।
  • ব্যবসায়ী থেকে গ্রাহকঃ ব্যবসায়ী থেকে গ্রাহকের ক্ষেত্রেও কোন ব্যবসায়িক পৃথক পৃথক গ্রাহকের কাছে পণ্য বা পরিষেবা বিক্রয় করে থাকে । এই ধরুন আপনি একটি অনলাইন থেকে খুঁজে বিক্রেতা থেকে এক জোড়া জুতা কিনলেন এটাই কিন্তু ই-কমার্স এর ব্যবসায়িক থেকে গ্রাহকের সুবিধা।
  • স্টোর এবং পণ্য তালিকা তৈরিঃ গ্রাহকরা যখন কোন আইটেম অনুসন্ধান করেন একটি পূর্ণ তালিকার মাধ্যমে তখন তা দেখতে পান। এটি ই-কমার্স এর একটি সুবিধা যা বিক্রেতার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনলাইন ব্যবসার প্লাস পয়েন্ট হল
  • ব্যয় হ্রাসঃ গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল এটি আপনার ব্যবসার ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে অনেক ব্যয় হ্রাস করবে অনেক কর্মচারীর প্রয়োজন হয় এবং তাদের প্রচুর অর্থ দিতে হয়। অনলাইন ই-কমার্স এর মাধ্যমে আপনি যদি কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন বা ব্যবসা করতে চান তাহলে ই-কমার্সের ক্ষেত্রে কোন অর্থ প্রদান করতে হয় না কোন কর্মচারীর প্রয়োজন পড়ে না। এছাড়াও ভাড়া মেরামত স্টোর ডিজাইন ইভেন্টরি ইত্যাদির মত এমন করতে পারে অনেক ক্ষেত্রে ই-কমার্সের ক্ষেত্রে থেকে আপনি বিরত থাকতে পারেন।
আপনি আপনার পণ্য তৈরি করার পরে তাদের তালিকা তৈরি করতে পারেন একটি তালিকা তৈরি করতে খুব কম সময় লাগে। এবং খুব সহজেই নিজেকে একটা প্রতিষ্ঠিত জায়গায় দাঁড় করানো যায়। একটি তালিকা তৈরি করতে খুব কম সময় লাগে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী পড়লে নাম বা কোড গুলো যেমনEAN,UPC,ISBN, এর মত করে বন্যের তালিকা তৈরি করতে পারেন। পন্যের তালিকাটা আপনি চিত্র একটি বিবরণ পণ্য বিভাগ দাম বা বিতরণ তারিখ যুক্ত করতে পারেন সুতরাং তালিকার মাধ্যমে মাত্র একটি ধাপে আপনি গ্রাহককে পণ্যের সম্পর্কে অনেকগুলো তথ্য বলতে পারবেন। তালিকাটি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজ করতে পারবেন কাস্টমাইজেশনের ওপর আপনার পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

ই-কমার্স এর সুবিধা

আপনার জন্য ই-কমার্স এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল আপনি গ্রাহকদের চাহিদা সরবরাহ করতে পারেন এবং উত্তর ডাটা ব্যবহার করে আপনার পণ্য বা পরিষেবা গুলো গ্রাহকদের অফার করতে পারেন এর ফলে গ্রাহকরা আপনার পণ্য বা সেবা যে কোন জায়গা থেকে যেকোনো ভাবে অর্ডার করতে পারেন।
গ্রাহকরা সর্বদা আপনার ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সাথে যুক্ত থাকতে পারেন আপনি পূর্বে তাদের যে সুবিধা দিয়েছেন তার কারণে তারা অনলাইনে আপনাদের পণ্যটি পুনরায় ক্রয়ের জন্য ফিরে আসতে পারে। তাই এই সুযোগগুলোর মধ্যে ফ্রী শপিং সাধারণত নূন্যতম কাঠের মূল্য এক্সপ্রেস অর্ডার ডেলিভারি ডিল এবং ছাড় সাবস্ক্রাইব সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
  • গ্রাহকদের ডেটা ট্রাকিংঃগ্রাহকদের ডেটা ট্রাকিংএকটি বিশাল সুবিধা ই-কমার্সের জন্য। কখনো কখনো কোন ক্রেতা চেক আউট পৃষ্ঠায় পৌঁছায় তবে ক্রয় টি সম্পন্ন করে না। ডেটা ট্রাকিং এর মাধ্যমে আপনি ক্রয় শেষ করার জন্য তাদেরকে ফোন বার্তা ইমেইল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গ্রাহকদের অবহিত করতে পারেন কিন্তু কোন ফিজিক্যাল স্টোর এর ক্ষেত্রে আপনি এ ধরনের কোন সুবিধা পাবেন না।
  • ই-কমার্সের সীমাবদ্ধতা নেইঃ ফিজিক্যাল স্টোর এর ক্ষেত্রে একজন বিকৃতা কেবলমাত্র নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছাতে সক্ষম হয়। তারা নির্দিষ্ট দূরত্বে গ্রাহকদের নিকট কোন পণ্য পৌঁছে দিতে পারেনা। কিন্তু ই-কমার্স এর ক্ষেত্রে এর ধরনের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। শুধুমাত্র ই-কমার্সের জন্যই নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পুরো বিশ্বব্যাপী পণ্যবাস সেবা বিক্রয় করা সম্ভব হয়েছে।ই কমার্সে বিভিন্ন
  • পেমেন্ট মেথডঃ ই-কমার্সে মার্কেটপ্লেস গুলি একাধিক অর্থ প্রদানে মেথডগুলোকে অনুমতি দেয় যার মধ্যে ইউপিআই নগদ অন ডেলিভারি কাড অন ডেলিভারি নেট ব্যাংকিং ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের ইএমআই এবং পে পরে ক্রেডিট সুবিধা রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট মেথড থাকায় গ্রাহকদের পেমেন্ট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয় না।

নাগরিক সেবা ও ই-কমার্সের অসুবিধা

ই-কমার্সে যে রকম সুবিধা রয়েছে ঠিক কিছু কিছু বিষয়ে সেরকম অনেক অসুবিধা রয়েছে তাই আসলেই কমার্সে কি ই-কমার্সের অসুবিধা গুলো কি কি সেগুলো বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করি আমাদের প্রিয় বাংলাদেশেও এই ই কমার্স কার্যক্রমে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে কার্যক্রমের প্রসার ও গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে আর একটু সময় লাগবে। সেখানে আগ্রহী সাহসী ও উদ্যোগী মানুষী এ ধরনের অনলাইন ব্যবসায়ী কার্যক্রম সম্পৃক্ত হলেও এখনো অনেক মানুষ সাহস ও ব্যবসায়ী পরিবেশের অভাবে ই-কমার্স থেকে দূরে আছে।
আরো পড়ুনঃ কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি
যেখানে নতুন ব্যবসায় সফল হতে একটু বেশি সময় লাগেই ই-কমার্স ইন্টারনেটের ভিত্তিক ব্যবসায়ী তাই ইন্টারনেটের গতি শব্দের জনক না হলেও এ ব্যবসায়ের আগ্রহ প্রকাশ করে না। ইতিমধ্যে আমাদের দেশে সবার জন্য ইন্টারনেট সহ করার প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তারপরও ইন্টারনেট নেট নিয়ে ব্যবহারে ব্যবহারকারীরা সন্তুষ্ট জনক না। পরেও অনেক গ্রাহকে এর ব্যবহার উপযোগিতা নিয়ে সন্তুষ্ট না নিচে ই-কমার্সের অসুবিধা গুলো আলোচনা করা হলো।
  • নিরাপত্তার অভাবঃ বিস্তারিত ও নিরাপত্তার অভাবে এখনো মানুষ অনেকেই ই-কমার্স থেকে পিছিয়ে রয়েছে তারা ই-কমার্সে বুঝলেই ভয় পায় ই-কমার্সের নিরাপত্তার ঘাটে থাকাই অনেকেই এ ধরনের ব্যবসায় সংযুক্ত হতে চান না।
  • ব্যক্তিগত স্পর্শ বা সম্পর্কে অভাবঃ লক অফ পার্সোনাল টাচ অ্যান্ড রিলেশনশিপ অন্যতম প্রধান অসুবিধা হলো এখানে সরাসরি ও ব্যক্তিগতভাবে তেমন কিছুই কার্যক্রমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় না। এছাড়াও পন্যের স্পর্শ ছাড়া পণ্য সম্পর্কে তেমন কোন ধারণাও লাভ করা সম্ভব হয় না যার ফলে পণ্যের প্রকৃত সাত বা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ক্রেতার কোন ধারণা লাভ করতে পারে না।
  • বিলম্বে পণ্য সরবরাহঃ ই-কমার্স প্রক্রিয়ায় সরাসরি বা সাথে সাথে পণ্য ডেলিভারি করা সম্ভব হয় না। আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের পণ্য সরকারের ক্ষেত্রে বিলম্বের মাত্রা আরও বেশি।
  • সুনির্দিষ্টগ্রাহক চিহ্নিত করাঃ ই-কমার্স প্রক্রিয়ায় সুনির্দিষ্ট করা হোক বা ক্রেতা খুঁজে পাওয়া ততটা সহজ ব্যাপার না আবার সম্ভাব্য ক্রেতা খুঁজে পেলেও সে প্রকৃত ক্রেতায় পরিণত হবে কিনা তাও বিচার বিশ্লেষণের ব্যাপার রয়েছে।
  • অনাগ্রহঃ আমাদের দেশে ই-কমার্সের আরেকটি বড় সমস্যা হলো ক্রেতাদের অনা গ্রাহ। ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যবসার হওয়ার অনেকেই ই-কমার্স থেকে দূরে থাকতে চাই। তবে ধীরে ধীরে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে বলে মনে করি।
  • নকল পণ্য সরবরাহঃ ই কমার্সের একটি বড় অসুবিধা হলো আসল পণ্য সরবরাহ না করা। অনেক সময় ক্রেতারা যে পণ্য বা সেবা অর্ডার করে তাদেরকে সেটি দেওয়া হয় না নকল বা অন্য একটি পণ্য সরবরাহ করা হয়। এক্ষেত্রে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় অনেক সময় ক্রেতা অভিযোগ জানাতে পারে না। এবং এতে করে তার সার্থক ক্ষুন্ন হয় যে পেমেন্টটা করে সেটা নষ্ট হয় সেই কারণে ই-কমার্স এর উপর মানুষের এখনো সেরকম কোনো নির্ভরযোগ্য আস্থা তৈরি হয়নি।

পরি শেষ কথাঃ ই-কমার্স এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো কি বিস্তারিত জানুন

আজকে আমার এই আর্টিকেলটিতে ই-কমার্স কি এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো কি কি সেগুলো বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে অনেকে অনেক ভাবে উপকৃত হয়েছে এবং অনেক কিছু না জানা তথ্য জানতে পেরেছেন যদি নতুন করে তথ্য কিছু জেনে থাকেন অবশ্যই একটা কমেন্টের মাধ্যমে চালিয়ে যেভাবে আপনার একটা কমেন্ট আমার লেখার আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দিবে এবং আপনাদের আরো নতুন নতুন তথ্য দেওয়ার জন্য আগ্রহী হব শেয়ার করে দিবেন অন্যদের ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url