অতিরিক্ত ভিটামিন খেলে শরীরে কি কি সম্যাসা হয়

খাবার থেকে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান গ্রহণ করা ভালো। তবে অনেকেই ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল খেয়ে এসবের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ভিটামিন বরি খেলে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে ।

প্রাকৃতিকভাবে খাদ্যাভাস মেনে চলার মাধ্যমে শরীরের দৈনিক ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণ করা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ। তবে অনেকেই মনে করেন শুধু খাবার থেকে পুষ্টি ও খনিজের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না ফলে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট আশ্রয় নেন তবে আমি মনে করি এটা স্বাস্থ্যের পক্ষে আরো বেশি ক্ষতিকারক।
প্রাকৃতিকভাবে শরীরে যে পুষ্টিক উন্নত তৈরি হয় সাপ্লিমেন্ট থেকে সেরকম কিছু পাওয়া যায় না। ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট শরীরের জন্য ভালো তবে সেটা গ্রহণ করতে হবে নিয়মমাফিক। কারণ অতিরিক্ত ভিটামিন এ শরীরের জন্য বিষ হয়ে উঠতে পারে।

আসুন জেনে নেই অতিরিক্ত ভিটামিনের ফলে শরীরে কি কি রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে বা অতিরিক্ত ভিটামিন খাওয়ার ফলে কি ধরনের সমস্যাগুলো তৈরি হয় তা আমার এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
  • ভিটামিন এঃ
  • ভিটামিন সিঃ
  • ভিটামিন ডিঃ
  • ভিটামিন ইঃ
  • ভিটামিন কেঃ
  • ভিটামিন বি ওয়ানঃ
  • ভিটামিন বি থ্রিঃ
  • ভিটামিন বি সিক্স পাইরিডক্রিনঃ
  • ভিটামিন বি টু ঃ
  • ভিটামিন বি টুয়েলভঃ
  • ভিটামিন বি সেভেন বা বায়োটিনঃ

ভূমিকাঃ


আমরা জানি অতিরিক্ত ভিটামিন খেলে শরীরের পুষ্টিগুণতা শরীর দুর্বলতা সুস্থ থাকে কিন্তু এটা ভুল অতিরিক্ত ভিটামিন খেলে শরীরের নানান রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই আমাদের উচিত সবকিছু নিয়মমাফিক খাওয়া উচিত।

ভিটামিন যেমন শরীরের উপকারে আসে ঠিক তেমনি ভিটামিন ক্ষতিও করে থাকে তাই অতিরিক্ত ভিটামিন খাওয়ার ফলে কি কি সমস্যা হতে পারে এবং কি কি উপকারে আসতে পারে সেসব নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো দয়া করে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন আপনার উপকারে আসবে আশা করি।

ভিটামিন এঃ

ভিটামিন এ পানিতে সহজেই মিশে যায় বলে শরীর বাড়তি ভিটামিন এ সংরক্ষণ করে রাখতে পারে । এতে অ্যালার্জি হতে পারে মুখ ফুলে যেতে পারে ঠোঁট জিভা কিংবা গলা পাশাপাশি ইনট্রাকরানিয়াল প্রেসার মাথার খুলির ভিতর অংশের চাপ বৃদ্ধি পাওয়া মাথা ঘোরা বমি ভাব হাড়ের জয়েন্ট ব্যথা এমনি কি অচেতন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ও থাকে তাই অতিরিক্ত ভিটামিন এ খাওয়া যাবেনা।

ভিটামিন সিঃ

ভিটামিন সি পানিতে সহজে দ্রবণীয় অতিরিক্ত ভিটামিন সির কারণে ডায়রিয়া বমি ভাব ও মাথাব্যথা বৃক্কে পাথর অনিদ্রা বুক জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ভিটামিন ডিঃ

সঙ্গে দ্রবণীয় ভিটামিন ডি শরীরে অতিরিক্ত মাত্রা খাওয়ার রুচি কমিয়ে দিতে পারে পানি শূন্যতা বমি ভাব মাংস বেশি দুর্বল হওয়া ডায়রিয়া মত নানান ধরনের রোগের দেখা দিতে পারে এছাড়াও অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণের সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক রয়েছে।

ভিটামিন ইঃ

ভিটামিন ই অতিরিক্ত গ্রহণ করলে ক্লান্তি বাড়ে মাথাব্যথা এবং ত্বকে ফুসকুড়ি হয় দৃষ্টিশক্তি ঘোলাটে হওয়া এবং প্রচন্ড পেটে ব্যথাও হতে পারে। এছাড়াও মাথা ঘোরা এবং শ্বাসকষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় তাই যতদূর সম্ভব ভিটামিন ই খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

ভিটামিন কেঃ

শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিন কে থাকার পার্শ্ববর্তী প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো যকৃতের আঁকা বৃদ্ধি পাওয়া শরীর ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া। অতিরিক্ত ঘাম হওয়া শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি শক্ত হয়ে যাওয়া শরীর ফুলে যাওয়া নড়াচড়ার সমস্যা চোখের পাতা ফুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ভিটামিন বি ওয়ানঃ

পেট খারাপ হওয়ার জন্য দায়ী হচ্ছে ভিটামিন বি ওয়ান। এলার্জিও দেখা দিতে পারে তবে এমনটা খুব কম হয় ।এছাড়া ও ঠোঁটে নীলচে রং দেখা দিতে পারে এবং হাঁসফাঁস লাগতে পারে।

ভিটামিন বি থ্রিঃ

ভিটামিন বি থ্রি কে ডাক্তারি ভাষায় একে বলা হয় নিরাশিন। শরীরে অতিরিক্ত মাত্রা চুলকানি তলপেটে ব্যথা ত্বকে লালচে ভাব দেখা দেওয়া গেটেবাত ডায়রিয়া বুক ধরফর করা নানান্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

ভিটামিন বি সিক্স বা পাইরিডক্রিনঃ

ভিটামিন বি সিক্স অতিরিক্ত গ্রহণে রয়েছে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যার ফলে পায়ের তলার অসারতা হাত-পা কাঁপা স্পর্শ তাপ ও কম্পন অনুভব করার ক্ষমতাও কমে দেখা যেতে পারে। শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে নিজেকে টাল মাতাল লাগতে পারে।

ভিটামিন বি টুঃ

ভিটামিন টু এ ভিটামিনের অপর নাম রিভো ব্লাভিন যার কারণে প্রসবের রং হলুদ কমলাটি হয়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত গ্রহণ করলে ডায়রিয়া ও ঘনঘন প্রসাদ হতে পারে কিছু অ্যালার্জি সমস্যা যেমন চেহারা ঠোঁট বা জিব্বা ফলে যেতে পারে তবে প্রায়ই সে দেখা যায় ভিটামিন বি টু মুখে ঘা ভালো হওয়ার খুব ভালো একটা কার্যকারিতা প্রদান করে।

ভিটামিন টু টুয়েলভঃ

বাহু হাত ও মুখে অসারতা দেখা দিতে পারে এই ভিটামিনের অতিরিক্ত মাত্রায় অপটিক নার্ভ বা মস্তিষ্ক থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় ঘাম ঝরায়। পুষ্টি আপনার সমস্ত কোষের ডিএনএ এবং জেনেটিক উপাদান তৈরিতে একটি ভূমিকা পালন করে এটি রক্তস্বল্প প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও প্রয়োজন যার মধ্যে অস্বাভাবিক অস্থি মজা গঠন অপরিপক্কল হইতে রক্ত কণিকা ইত্যাদি রয়েছে তাই সুযোগকে সুস্থ রাখতে হলেও ভিটামিন টু টুয়েলভ দরকার।

ভিটামিন বি সেভেন বা বায়োটিনঃ

ভিটামিন বি৭ এর অপর নাম বায়োটিন হে ভিটামিন অতিরিক্ত গ্রহণে ঘন ঘন প্রসব হতে পারে এছাড়াও হতে পারে অস্বাভাবিক ঘাম। হালকা বমি ভাব পেট ব্যথা ও ডায়রিয়া হতে পারে প্রত্যেকটি মানুষেরই দৈনিক ভিটামিন চাহিদার তফাৎ রয়েছে তবে ভিটামিন যুক্ত খাবার বা অতিরিক্ত ভিটামিন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী না গ্রহণ করাই ভালো।

লেখক এর মন্তব্যঃ

আমরা অনেকেই মনে করি অতিরিক্ত ভিটামিন খেলে শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় শরীর সুস্থ থাকে কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা অতিরিক্ত ভিটামিনের ফলে যেমন শরীর সুস্থ রাখে। ঠিক অতিরিক্ত ভিটামিন খাওয়ার ফলেও হয় নানান রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাই আমাদের উচিত প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টি কোনতা বা ভিটামিন যুক্ত খাবার পাওয়া যায় আমাদের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় সেগুলো গ্রহণ করাই শ্রেয় আমার এই আর্টিকেলটিতে ভিটামিন সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এটি পড়ে আপনি যদি কোন উপকৃত হয়ে থাকেন যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে একটি মন্তব্য করে যাবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url