বর্তমান সময়ে নারীর সামাজিক অবস্থান - নারীর ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্য ২০২৪

সম্মানিত পাঠক বন্ধুরা, আজকে আপনাদের মাঝে আমি একটা নতুন টপিক্স নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। বর্তমান সময়ে নারী সমাজের অবস্থান কোথায়, সেসব বিষয়ে আমরা অনেকেই জানিনা এখনো, প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায় নারীদের সেভাবে কোন মূল্যায়ন করা হয় না। নারীর ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্য ২০২৪ সম্পর্কে সরকার কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন। সেসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য ও তুলে ধরেছি, আপনাদের মাঝে বর্তমান সময়ে নারীরা অনেক পিছিয়ে রয়েছে।

হয়তো অনেক জায়গায় অনেক কাজে নারীদের দেওয়া সত্ত্বেও নানান জায়গায়, নারীরা হ্যারাসমেন্টের শিকার হয়ে পড়ছে সে জায়গা থেকে বর্তমান সময়ে নারীর সামাজিক অবস্থান কোথায়। নারীদের ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যটা কি, সেসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক নারীর ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্য ২০২৪ সম্পর্কিত আলোচনা।

বাংলাদেশের সকল আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে সর্বক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সমতা প্রতিষ্ঠা করার পথে রয়েছে বাংলাদেশে এখন বিশ্ব নারীর ক্ষমতায় অনেক দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে জাতির ভবিষ্যৎ উন্নয়নে অধিকাংশই নির্ভর করছে নারীর ক্ষমতায়নের উপর শিক্ষার স্বাস্থ্য শ্রমবাজার চাকরি ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমেই নারীর অগ্রগতি সম্ভব শিশু ও মাত্র মৃত্যুহার কমানো দারিদ্র দূরীকরণে নারী উদ্যোক্তা ও কর্মজীবীর সংখ্যা বাড়ছে আসুন। 

আমরা জেনে নি ই নারী ক্ষমতায়নে নারীদের কর্মসংস্থানের কিছু অজানা তথ্য  জীবনকে নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা অর্জন করতে হলে নারী ক্ষমতায়নে ধারণাটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ১৯৭৫ সালে। কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের নারীর সম্মেলনের সময় পাওলো ফেইরি নামক এক নারী ব্রাজিলও শিক্ষাবিদ সর্বপ্রথম নারীর সমাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ ব্যবহার করেন অর্থাৎ নিজেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রাখে।

• সমান সুযোগ সৃষ্টিঃ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীর অংশগ্রহণকে বর্তমান সরকার খুব গুরুত্বের সাথে দেখছে। নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন কে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সম্মানিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে নারীদের স্বাবলম্বী করতে কোন জামানত ছাড়াই সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা এ ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে আবার নারী উদ্যোক্তারা বাংলাদেশ ব্যাংক শিল্প কর্মরত আছে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হয়েছে।
• প্রশাসনে নারীঃ নারীর ক্ষমতায় অনেক বেশ কিছু আইন ও বিধিমালা তৈরি করেছ বর্তমানে সেনাবাহিনী,ডেপুটি গভর্নর,রাষ্ট্রদূত,বিচারপতি সচিব, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ধরার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মানবাধিকার কমিশনের, মত গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন নারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে মোট নারী সংখ্যা বেশি ব্যবস্থা রয়েছে।

• উন্নত স্বাস্থ্য সেবাঃ গত ১ দশকে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করেছে জনগণ বিশেষ করে নারীদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও লোকমন গড়ে তুলেছে মাতৃকালীন সেবা ও সন্তান জন্মদানের পর মায়ের যথাযথ পরিচর্যা নিশ্চিত নবজাতকের মৃত্যুর হার কমছে।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রথম মেয়াদে ম্যাটারোনরেটি হেল্প ভাউচার স্কিন চালু করেছে আইসক্রিমের মাধ্যমে ভাউচার প্যাকেজ প্রদান করা হয় মধ্যে থাকে গর্ভকালীন সময়ে তিনবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা দক্ষ ধাত্রীদের উপস্থিতিতে নিরাপদ সন্তান প্রসব সন্তান প্রসবের পর একবার পরীক্ষা ও যথাযথ ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রামীন প্রান্তিক নারীদের প্রাথমিক চিকিৎসা স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে।

রাষ্ট্রের সুষম উন্নয়নের স্বার্থে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন একান্ত অপরিহার্য উন্নয়নের সাথে নারীর ক্ষমতায়নের পথে সকল অন্তরায় দড়িহৃত করা এখন সময়ের দাবি বিভিন্ন নিরাপত্তা স্কিমের মাধ্যমে গৃহস্থালি সম্পদ আহরণ নানা ধরনের প্রশিক্ষণ ক্ষুদ্র উদ্যোগ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে হাতে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের সংবিধান শুরু করে প্রচলিত আইন ব্যবস্থা করবে দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অবদান রয়েছে সকল নগরী কাহি নীর দৃষ্টিতে সমান ও আশ্রয় লাভের অধিকার রয়েছে কেবল গোষ্ঠী, বর্ণ, ধর্ম,  প্রবেশ ভেদ বা জন্মস্থানের কারণে রাষ্ট্র নাগরিকের শুভ প্রদর্শন করিনা প্রজাতন্ত্রের কর্মী নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নারীকে সুযোগের সভ্যতা দিয়ে থাকে।

এক দশকে বাংলাদেশের নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন হয়েছে সরকার তার নীতি নাগরিক সমাজবাধিকার কর্মীদের সহযোগিতায় নারী-পুরুষ সমতা প্রতিষ্ঠা ও নারী ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার চেষ্টায় চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের নারীরা এখন তাদের অধিকার দাবি করতে পারছে তারা এখন খেলার মাঠে ঝড় তুলতে পারে সমাজে নেতৃত্ব দিতে পারে মূল কথা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য সরকার শ্রমবাজার কথা ভাবছে ফলে নারীর কাজের ক্ষেত্রে আরো প্রসারিত হবে এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায় অনেক এবং কর্মসংস্থান নিয়ে কতটুকু তথ্য তুলে ধরতে পারছি সে বিষয়ে আপনাদের মতামত জানতে চাই যদি এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার একটি মূল্যবান কমেন্ট করে জানাবে এছাড়াও আরো নতুন নতুন আপডেট পেতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।