গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় - বাচ্চাদের টনসিলের ঔষধ সম্পর্কে জানুন

সম্মানই পাঠক বন্ধুরা আপনি কি গলা ব্যথায় ভুগছেন গলা ব্যথায় ঘরোয়া উপায় খুঁজছেন আপনার জন্য আজকের আমার এই পোস্টটি আমার এই বাংলা আর্টিকেলটিতে তুলে ধরেছি গলা ব্যাথার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গলা ব্যথা মধু ও গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা গলা ব্যাথায় গাঁড় গোল করার নিয়ম গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত
গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
সেসব বিষয়ে আলোচনা কমবেশি সবারই গলা ব্যথা হয়ে থাকে ইদানিং এই সকল সমস্যা তাই বেড়েই চলেছে। অনেকের একটু ঠান্ডা লাগলে গলা ব্যথা হয়ে থাকে গলা ফুলে যায় গলা ব্যথা হলে করণীয় কি আপনি চাইলে ঘরোয়া উপায় দ্রুত আপনার গলা ব্যথা দূর করতে পারবেন কিভাবে আপনার গলা ব্যথা থেকে দ্রুত উপশম পাবে আসুন নিচে বিস্তারিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।

গলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

আপনার যখন গলা ব্যথা করবে তখন হালকা গরম পানি করে তার সাথে লবন মিশিয়ে গারগান করুন দেখবেন দ্রুত গলা ব্যথা কমে গেছে এছাড়াও রং চায়ে আদাল লবঙ্গ মিশিয়ে খান দ্রুত ফল পাবেন এছাড়াও চায় সংগীত মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এটি গলা ব্যথার ঘরোয়া প্রতিকার।
  • গল ব্যথা মধু খাওয়ার উপকারিতাঃ যখন গলা ব্যথা করবে তখন চায়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন মধুর গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়াও মধুর ঠান্ডা সর্দি কাশি ছাড়াতেও কাজ করে মধুর গলা ব্যথা দূর করার ঘরোয়া বেস্ট পদ্ধতি হতে পারে আপনার জন্য।
  • গলা ব্যাথায় মেথির কার্যকারিতাঃ মেথিগলা ব্যথায় খুব ভালো কাজ করে মেথিতে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল গলা ব্যথা দূর করতে ভূমিকা রাখে যখন গলা ব্যথা করবে তখন মেথির চা খেতে পারেন এবং মেথির তেল ব্যবহার করলে আরাম পেতে পারেন।
  • গরম পানি বা গরম খাবার খাওয়াঃ গলা ব্যথায় সহজ একটি পদ্ধতিও হচ্ছে যখনই গলা ব্যথা করবে হালকা গরম পানি খাওয়া শুরু করুন ভুলেও ঠান্ডা পানি খাবেন না গরম পানির সাথে সাথে বা এ ধরনের খাবার খেতে পারেন দেখবেন আপনার গলা ব্যথা কমে যাবে।
  • গলা ব্যথা কখন গারগিল করবেনঃ গারগিল করা বিষয়ে আমরা সবাই জানি গাঁড় গোল করা টেকনিকটা ঘরে ঘরে সকলের কাছে পরিচিত গলা ব্যথা হয়ে গারগোল করলে ভালো ফল পাওয়া যায় এছাড়াও হালকা কুসুম গরম পানিতে কিছুটা লবণ নিয়ে গার্গল করলে দেখবেন আরাম পাচ্ছেন। গলা ব্যথা কমাতে গলাকে বিশ্রাম দিয়ে তরল খাবার খান ঠান্ডা পানি থেকে দূরে থাকুন।
  • গোলমরিচ গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করেঃ গোলমরিচ বলতে আমরা বুঝি রান্নার কাজে ব্যবহার হয়
  • কিন্তু আপনি কি জানেন বিভিন্ন ব্যাথা দূর করতে গোলমরিচ ভালো কাজ করে এছাড়া বিভিন্ন সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পেতেও গোল মরিচ ভূমিকা রয়েছে গলা ব্যথা কমাতে দ্রুত গোলমরিচের দানা পানিতে গরম করে চায়ের মত করে পান করুন দেখবেন অনেকটাই আপনার গলা ব্যথা কমে গেছে।
  • গলা ব্যথায় রসুনের কার্যকারিতাঃ আমরা প্রতিদিনই খাবারের সাথে কম বেশি সবাই রসুন খেয়ে থাকে কিন্তু আপনি কি জানেন গলা ব্যথায় রসুন ভালো কাজ করে গবেষণায় দেখা গেছে রসুন কাশি বা সর্দি ছাড়াও বিভিন্ন ভাইরাস থেকে আমাদের রক্ষা করে রসুন খাওয়ার তেমন কোন নিয়ম নেই তবে গলা ব্যথায় আপনি কাচা রসুন চিবিয়ে খেতে পারেন রসুন আমাদের শরীরের ন্যাচারাল আন্টি ব্যাকটেরিয়া হিসেবে কাজ করে তাই গলা ব্যথা হলে রসুন খেতে পারেন।

গলা ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত

গলা ব্যথা হলে নরম এবং সহজে গিলতে পারে এমন খাবার খাওয়া ভালো। উষ্ণ খাবার এবং পানীয় গলা প্রশমিত করতে সাহায্য করে। এখানে কিছু সুপারিশ দেওয়া হলো
  • গরম চাঃ আদা লবঙ্গ মধু মিশ্রিত চা গলা ব্যথা উপশমে কার্যকর।
  • চকলেট বা লজেনস চুষতে পারেনঃ এগুলি গলা ব্যথা উপশমে সাহায্য করে।
  • গরম পানির সঙ্গে লবণ মিশিয়ে গার্গল করাঃ এটি গলার প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
  • গরম স্যুপঃ চিকেন বা সবজি স্যুপ গলা আরাম দেয়।গরম পানির সঙ্গে লেবু বা মধু মিশিয়ে খাওয়া এটি গলার জ্বালা কমাতে সাহায্য করে।
ঠান্ডা পানি বা খাবার এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এগুলি গলা ব্যথা বাড়াতে পারে। যদি গলা ব্যথা তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

গলা ব্যথার এলোপ্যাথিক ঔষধ

এতক্ষণে তো জানলেন গলা ব্যথার ঘরোয়া কিছু সমাধান কিন্তু অনেক সময় গলা ব্যথা মারাত্মক আকার ধারণ করে কোনোভাবেই গলা ব্যথা না করলে আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এছাড়াও অনেকের টনসিল থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে অনেক ডাক্তার দেখিয়েও ভাল হয়নি। একটু ঠান্ডা লাগলেই টনসিলের সমস্যা বেড়ে আপনি যদি সঠিক সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ না আনেন তাহলে এটা কিন্তু অনেক বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে তাই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।গলা ব্যথার জন্য এলোপ্যাথিক চিকিৎসা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এবং এটি সাধারণত উপসর্গ এবং কারণের উপর নির্ভর করে।

ভাইরাস জনিত গলা ব্যথা সাধারণত ওষুধ ছাড়াই সেরে যায় কিন্তু ব্যাকটেরিয়া জনিত গলা ব্যথার জন্য এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন হতে পারে। ব্যথা এবং জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল বা ইবুপ্রোফেন মতো ওষুধ সাহায্য করতে পারে তবে গলা ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয় এবং উপযুক্ত চিকিৎসা নির্ধারণের জন্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যদি গলা ব্যথা তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত এছাড়াও গলা ব্যথা কমানোর জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় যেমন গরম জলে লবণ মিশিয়ে গার্গল করা পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা উপকারী হতে পারে। তবে এই উপায়গুলি সাময়িক স্বস্তি দিতে পারে কিন্তু সঠিক চিকিৎসা না নিলে সমস্যা আরও জটিল হতে পারে।

গলা ব্যথার এন্টিবায়োটিক ঔষধ

গলা ব্যথার জন্য এন্টিবায়োটিক ঔষধের প্রয়োজন হলে চিকিৎসক সাধারণত ব্যাকটেরিয়া জনিত ইনফেকশনের জন্য এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করেন। একটি সাধারণ এন্টিবায়োটিক হলো ই সিক্স (১০০) এম জি ট্যাবলেট যা ব্যাকটেরিয়া জনিত গলা ব্যথা নিরাময়ে কার্যকরী হতে পারে। তবে এন্টিবায়োটিক ঔষধ শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নেওয়া উচিত কারণ অপ্রয়োজনীয় বা ভুল এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। গলা ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয় এবং উপযুক্ত চিকিৎসা নির্ধারণের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

টনসিল হলে কিভাবে বুঝব

  • জ্বর ও শীত বোধঃ জ্বর সহ শীত বোধ হতে পারে।
  • কানে ব্যথাঃ গলা ব্যথার সাথে কানেও ব্যথা হতে পারে।
  • কাশি ও মাথাব্যথাঃ সাধারণ কাশি এবং মাথাব্যথা হতে পারে।
  • ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্টঃ ঘুমের সময় শ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে।
  • টনসিল বা টনসিলাইটিস হলে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে
  • গলা ব্যথা বিশেষ করে খাবার গিলতে বা কথা বলতে ব্যথা হতে পারে।
  • টনসিলের ফুলে যাওয়া ও লাল হওয়াঃ গলার ভেতরে টনসিল ফুলে যেতে পারে এবং লাল হয়ে যেতে পারে।
এছাড়াও কিছু বিরল লক্ষণ যেমন ক্লান্তি বমি বমি ভাব পেট ব্যথা মুখে দুর্গন্ধ ইত্যাদি হতে পারে। যদি এই ধরনের লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। টনসিল বা টনসিলাইটিসের সঠিক চিকিৎসা না হলে জটিলতা হতে পারে তাই সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

বাচ্চাদের টনসিলের ঔষধ

বাচ্চাদের টনসিলের চিকিৎসায় সাধারণত নিম্নলিখিত ঔষধ ও পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়
  • গার্গলঃ লবণ মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে গার্গল করা যা গলার প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
  • ব্যথানাশক ওষুধঃ যেমন প্যারাসিটামল বা ইবুপ্রোফেন যা ব্যথা ও জ্বর কমাতে সাহায্য করে।
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও তরল পানঃ শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখতে এবং দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।
  • অ্যান্টিবায়োটিকঃ যদি টনসিলাইটিস ব্যাকটেরিয়া জনিত হয় তাহলে চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ ই ফিক্স ১০০ এম জি ট্যাবলেট
এছাড়াও মুখের ভেতরে ইনফেকশন না ছড়াতে ওরাল হাইজিন মেইনটেইন করার জন্য পভিডন মাউথ ওয়াশ গরম পানির সাথে মিশিয়ে গার্গল করা যেতে পারে তবে সব ঔষধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নেওয়া উচিত। যদি টনসিলের লক্ষণ গুরুতর হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

লেখকের মন্তব্যঃগলা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় - বাচ্চাদের টনসিলের ঔষধ সম্পর্কে জানুন

সুস্থতা আল্লাহর নেয়ামত আপনার শারীরিক সুস্থতা কে কেন্দ্র করে যে কোন ঔষধ বা যেকোনো কিছু সেবন করার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন যদি এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার একটি মূল্যবান কমেন্ট করে জানাবেন এছাড়াও আরো নতুন নতুন আপডেট পেতেওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন এতক্ষণে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url