বাল্য বিবাহের কারণ ও প্রতিকার - বিবাহ বিচ্ছেদের পরের অধিকার

সম্মানিত পাঠ হোক বন্ধুরা বাল্যবিবাহ কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আজকের এই পোস্টটিতে আমি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি বিয়ে হল একটি সামাজিক ও ধর্মীয় বন্ধন যার মাধ্যমে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয় কিন্তু নানান সমস্যার কারণে বিবাহ বিচ্ছেদের পর্যায়ে চলে যায় কিন্তু আমরা জানি না বিবাহ বিচ্ছেদের পরেও অনেক রকমের অধিকার থেকে থাকে।
বাল্য বিবাহের কারণ ও প্রতিকার
সেসব বিষয় নিয়েও আমার এই পোস্টটিতে তুলে ধরেছি বিবাহবিচ্ছেদের পরের অধিকার গুলো কি কি সেসব বিষয় নিয়ে জানতে হলে আমার এই পোস্টটি পুরোটি পড়বেন আশা করছি অনেক না জানা তথ্য জানতে পারবেন তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যায় বাল্যবিবাহের কারণ ও প্রতিকার বিবাহ বিচ্ছেদের পরের অধিকার গুলো কি কি সেসব বিষয় নিয়ে।

ছেলে এবং মেয়েদের বিয়ের বয়স কত

বিয়ে হল একটি সামাজিক ও ধর্মীয় বন্ধন যার মাধ্যমে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। কিন্তু ইসলামে বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ বলে কোন বিধান নেই। বিয়ে এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে দুজন নারী ও পুরুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও যৌন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে। ১৮ বছর বয়স বাল্যবিবাহন্ত শিশুকাল তাই ১৮ বছরের আগে বিয়ে হলে তাকে শিশু বিবাহ বলে বা বাল্যবিবাহ বলে। আরে বাল্যবিবাহের ফলে আমাদের দেশে বিবাহ বিচ্ছেদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কিন্তু হাদিসে বিবাহ বিচ্ছেদের পরের অধিকার দেওয়ার কথা ও উল্লেখ রয়েছে থঅথচ ২১ শতকে এসো বাংলাদেশের ৬৬ পার্সেন্ট নিয়ে এখনো শিক্ষা থেকে বঞ্চিত যার প্রধান কারণ বাল্যবিবাহ অনেকে বাল্যবিবর বয়সে মেয়ে বিয়ে দেওয়াকে সুন্নত বলে তারা বলতে চান নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তো তার কন্যাকে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়েছে অনেকে আবার আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা কম বয়সে তার সঙ্গে নবীজি সাঃ এর বিয়ে নিয়ে সমালোচনা করেন।

মোহরানা আদায়ের ইসলামিক নিয়ম

বাল্যবিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ ইসলামিক ভিত্তিতে এবং আইন সংগত একটি গরুতর সমস্যা বিবাহর ক্ষেত্রে মেয়েদের বয়স বয়স ১৯ এবং ছেলেদের বিবাহের ক্ষেত্রে ২৪ বছরের বয়সে সীমাকে সুন্নাহ সম্মত বয়স হিসাবে বলা যায়। ইসলামিক ইতিহাস গবেষণায় প্রমাণিত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু তা'আলা এর সাথে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালামের বিবাহের সময় তার বয়স ছিল কমপক্ষে ১৪ থেকে ১৬,।
বর্তমানে আমাদের দেশে ধীরে ধীরে আধুনিকতায় দিকে অগ্রসর হলেও কিছু কিছু হীন মানসিকতা থেকে এদেশের মানুষেরা আজও বেরিয়ে আসতে পারেনি তার মধ্যে একটি হলো বাল্যবিবাহ। আজকাল আধুনিকতাই যুগে এসেও বাল্যবিবাহের মত পূর্ব যুগিও হীন মন-মানসিকতার ঘটনা আমাদের দেশে অহরহ ঘটে যাচ্ছে আসুন বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইল।

বাংলাদেশের বাল্যবিবাহের কারণ

যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে তাদের মধ্যে বুদ্ধি বিবেচনার উন্মেষ আচ করতে পারে-এর অর্থ বিয়ের একটা বয়স আছে সেটা তখনই হবে যখন তাদের মধ্যে বুদ্ধি বিবেচনা উন্মেষ হইয় কথাটা নাবালিকাদের ক্ষেত্রে খাটে না বাল্যবিবাহ ওখানে সুস্পষ্ট ভাষায় নাকচ করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রক্ষণশীল আলেমরা কোরআন লঙ্ঘন করেন তাদের প্রধান যুক্তি সহি বুখারীর হাদিস রাসুল সাঃ বিয়ে করেছিলেন ছয় বছর বয়সে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়েছিলেন নয় বছর বয়স । 

অথচ ছয় বছরে বিয়ে হয়েছে। এটা নির্ভরযোগ্য নয় তার নিজের কথাতেই বিবি আয়েশা রাঃ বলেছেন বিয়ের সময় তার বয়স ছিল সাত বছর এক বছরের তফাৎ বেশি না মনে হতে পারে কিন্তু এ থেকে প্রমান হয় বুখারীর ওই ছয় বছর নয় বছরের দলিল প্রশ্নটি তো নয়।

বিয়ে নিয়ে হাদিসের তথ্য

মনে রাখতে হবে ১০০ বছর আগেও যেখানে কেউ দিনক্ষণ বছরের দলিল রাখত না সেখানে আমরা ১০০০৪০০ বছর আগের কথা বলছি। অনেক বেশি সময় এবং বয়স মনে রাখার কোন বৈজ্ঞানিক প্রথা চালু ছিল না তখন তারা কোন বিশেষ ঘটনার সাহায্যে যেমন যুদ্ধ করা অথবা অন্য কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভিত্তিতে। 

বছর মনে এমনি কি ইতিহাসের পাতায় সভ্যতার শীর্ষে যে রোমান জাতি তাদের মধ্যেও এই প্রথা চালু ছিল। নবীর সঃ জন্মের বছরই ইয়েমিনের রাজা আব্রাহা তার হাতের বহর নিয়ে মক্কা আক্রমণ করেন। তাই সে বছরকে বোঝাতে মক্কার লোকেরা হস্তির বছর উল্লেখ করত তাই বয়সের সময় হিসাবে অনিচ্ছাকৃত ভুল ধরা পড়ে তারপরও যে দলিলগুলো আমাদের হাতে আছে তার ভিত্তিতে কয়েকটা সংখ্যা দেখা যায়।
  • বদর যুদ্ধ হয় ৬২৪ সালে
  • ওহুদ যুদ্ধ হয় ৬২৫ সালে
  • রাসুল সাঃ মদিনায় হিজরত করেছিলেন ৬২২ সালে
  • রাসুল সাঃ আয়েশা রাঃ ঘরে তুলেছিলেন ৬২২ সালে
  • রাসুল সাল্লাল্লাহু সালাম নবুওয়াত পেয়েছিলেন ৬১০ সালে
ইবনে ওমর বলেন রাসুল সাঃ আমাকে ৬২৫ সালে ওহুদ যুদ্ধ যোগ দিতে দেন নি কারণ তখন আমার বয়স ছিল ১৪কিন্তু খন্দক যুদ্ধে আমি যোগ দিতে পেরেছিলাম কারণ তখন আমার বয়স ১৫ ছিল।
  • বাস্তবতাঃ যারা বাল্যবিবাহ সমর্থন করেন তারা ওই কচি মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়েছেন একবার বিশ পচিশ বছরের তরুণীদের দেহে দুর্দান্ত খেলা করে প্রচন্ড যৌবনের ওইদিকে ওই বাচ্চা মেয়েটা না শরীর তৈরি না মন। সেখানে প্রতিদিনই বাচ্চাটাকে কি দুযোগের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তার শরীরের উপর কি মর্মান্তিক অত্যাচার হয়।তা কি বাল্যবিবাহ সমর্থনকারীরা ভেবেছেন একবারও অন্ধের মত হাদিস অনুসরণ করার উদ্যোগ এভাবে জীবন ধ্বংস করে ইসলামের বদনাম হয় তার ওপর আছে ওই কচি শরীরে চাপ।

বাল্যবিবাহের কুফল গুলো কি 

বাল্যবিবাহ সমাজের অভিশাপ বাল্যবিবাহের কারণে নারীদের প্রতি সহিংসতা পাত্রী মৃত্যু অপরিণত গর্ভধারণ প্রসবকালীন শিশুর মৃত্যু ঝুঁকি প্রজনন স্বাস্থ্য সংস্থা নারী শিক্ষার হার হ্রাস স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার বৃদ্ধি। নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষমতা ও সুযোগ কমে যাওয়া বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি পরিবারের বাল্যবিবাহ কখন সম্পর্কে জ্ঞান রাখে তবুও তারা বাল্যবিবাহ চালিয়ে যায় বিশেষ করে গ্রাম এলাকায় বাল্যবিবাহ অসংখ্যভাবে প্রচলিত আছে এই বাল্য বিবাহের কারণে দেশে আজ বিবাহ বিচ্ছেদের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের উপায়

বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন একটি বৈধ যুক্তি যার মাধ্যমে নারী-পুরুষ দুজন দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপন করে। রচনা করে স্বপ্নের সুখের নিড় গড়ে তোলে পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন। আর সেই সুখের নির ধ্বংস করে দেয় বিবাহ বিচ্ছেদ যা একটি পারিবারিক ধ্বংস করে দেয় । বিয়ের পর অনেক সময় অনেক সময় পারস্পারিক সম্পর্কের কারণে স্বামী-স্ত্রীর দমবন্ধ বোধ মনে হয় এই ভালোবাসা এবং ঘনিষ্ঠতার অভাব ।
একে অপরকে সম্মান না করা একটি সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসা যত বেশি গুরুত্বপূর্ণ সম্মান তত বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের দেশে বহু পরিচিত এক নাম যৌতুক নির্যাতন। যা কিনা বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হয়ে দাঁড়ায় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকার কারণেও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে একজন মুসলিম পুরুষ তার স্ত্রীর কাছে মৌখিক বাল লিখিতভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের ইচ্ছার কথা জানতে পারে প্রক্রিয়ার নাম তালাক।

বিবাহ বিচ্ছেদের পরের অধিকার

নারী জীবনে অন্যতম অধিকারের মধ্যে একটি অধিকার বিবাহ বিচ্ছেদের পরের অধিকার এই অধিকার বিশ্বের প্রতিটি নারী পাচ্ছেন প্রতিটি ধর্মে নারীকে এই অধিকার দেওয়া হচ্ছে কি ইসলাম কি বলে ইসলামে নারীর অধিকার রক্ষার কথা বলা হয়েছে একটি হচ্ছে। কোন নারী যদি না চান ইচ্ছে না করেন তবে তিনি তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারেন কিন্তু যেসব দেশের সারিয়া আইন প্রচলিত যদি কেউ চান যে তিনি স্বামীর সঙ্গে সংসার করবেন না।
তাহলে তাকে এক ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়। অসংখ্য নারীর জীবনে তার ফল ধ্বংস হয়ে গেছে স্বামী ইচ্ছে করলে স্ত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে তালাক দিতে পারেন কিন্তু স্ত্রী বিচ্ছেদ চাইলে তাকে সরিয়ে আদালতে আবেদন করতে হবে এই ক্ষেত্রে পুরুষ এবং নারীর মধ্যে শুধু যে ওই বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে তাই নয় সারিয়া আদালত তখন স্বামীর সঙ্গে দেন দরবার করে এবং স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে এই বিচ্ছেদের সম্মতি দেওয়া হয়।

বাল্যবিবাহের কারণ ও প্রতিকার

সারিয়া আইনে মেয়েরা বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারেন আইন এবং এটা একেবারে অত্য ন্ত অনুসার বিধিবদ্ধ ইসলামের আইনের প্রথম খন্ড ধারা শরীয়তে ইসলামিক আইনের গণ্য করা হয় অন্যায় বলে কিন্তু সারিয়া আইন থেকে কিভাবে মুক্তি নেই মেয়েদের ধর্মের নামে যখন অত্যাচার হয় তখন সেখান থেকে। বের হয়ে আসার মত কম পদ্ধতি হলেও ওই ধর্মের ভিতর থেকে সমাধানটা তুলে আনা আমরা রসূল দিয়ে এই আইনটাকে পরাজিত করতে পারি এবং মেয়েদের সম্মান রক্ষা করতে পারি।

চলুন নবীজির কাছেই যাই বুখারী ভলিউম হাদিস নাম্বার ১৯৯ থেকে ২০৬ দুজন মহিলা এসে নবীজিকে বলেছিলেন যে তারা তাদের বিয়ে অব্যাহত রাখতে চান না। তাদের মধ্যে একজনকে নবী বলেছিলেন যে তুমি এই বিয়ে অব্যাহত রাখো এটা আমার ইচ্ছা তখন সে মহিলা বলেছিলেন না যদি আপনি হুকুম দিয়ে বলেন আমি এই বিয়ে বাড়িতে রাখবো কিন্তু এটি যদি আপনার ইচ্ছা হয় আমি এতে রাজি নয় দুজন মহিলাকে নবীজি তাদের ইচ্ছা মেনে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে দিয়েছিলেন।
  • আইন প্রক্রিয়াঃ কোন যুক্তিসঙ্গত কারণে মুসলিম স্বামী বা স্ত্রী একে অপরকে সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারেন মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ধারা অনুযায়ী আপনি বিবাহ বিচ্ছেদ চাইলে তালাকের নোটিশ নিজেই তৈরি করে কিংবা কারো মাধ্যমে তৈরি করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যাকে তালাক দিতে চাচ্ছেন তিনি যদি এলাকায় বসবাস করেন তাহলে সেই ইউপি চেয়ারম্যান কে নোটিশ দিতে হবে মনে রাখবেন তালাকে নোটিশের দুজন উপযুক্তির সাক্ষীর কলাম রাখবেন এবং তাদের স্বাক্ষর নিবেন অনেকেই মনে করেন।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের রাগ ভাঙ্গানোর রোমান্টিক কবিতা

তালাকে নোটিশ কাজের মাধ্যমে না পাঠালে তা কার্যকর হয় না এটি ভুল ধারণা। ১৯৬১ সালে মুসলিম পারি কাহিনী কাজির কাছে যেতে হবে এমন কোন কথা লেখা নেই এখন অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন যে পক্ষ থেকে ই তালাকের নোটিশ দেওয়া হোক না কেন। সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান মাপ নিয়েও নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে উভয় পক্ষে মনোনীত প্রতি গঠনের মধ্য দিয়ে প্রতিনিধির নাম উভয়ের কাছে লিখিত চিঠি পাঠিয়ে তালাক কার্যকারিত হয় তবে স্ত্রী গর্ভবতী থাকলে গর্ভকালীন শেষ হওয়া পর্যন্ত না হওয়া পর্যন্ত বিবাহবিচ্ছেদ কার্যকর হয় না।
  • বাল্যবিবাহের কারণঃ অনেকে একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে যে স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক দিলে দেনমোহর পাবে না আইনত কোন স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক দিলে দেনমোহর পাই না আমাদের দেশে এখনো অধিকাংশ মানুষ বিবাহ ও তায়ালার সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করেন কোর্ট ম্যারেজ শব্দ একটা জিনিস এর মাধ্যমে বিয়ে করলে বিয়ে শক্ত হয় অনেকেই ভেবে থাকেন মোহরানা বা দেনমোহর ইচ্ছেমতো কাঁদিনে বসিয়ে দিয়ে বাসর রাতে বউয়ের কাছে মন থেকে মাফ চেয়ে নিলেই হবে।
  • বাল্যবিবাহের প্রতিকারঃ দেওয়ানী আদালতে মামলা করা হলে বাংলা লেখক ক্ষমতা প্রমাণ করতে পারলে বিবাদী পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ আদাই করতে পারেন মান-সম্মানের মূল্য অর্থ তার পরিপাক না করা গেলেও মুক্তি দেওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন।

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের উপায়

এবারে আসুন হাদিস ১৮৮ ভলিউম সাতএসে বলেছেন যে আল্লাহ তাদেরকে রাসুল বিবিকে এই অধিকার দিয়েছিল তারা চাইলে রসূলকে ছেড়ে যাবেন অথবা থাকবেন উনার আর রাসূলের সাথে থেকেছেন কিন্তু তাদের অধিকার তো দেওয়া ছিল। এখন আয়াত এবং সূরা আয়াত ১৯ এই দুই জায়গাতে বলা হয়েছে মেয়েদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদেরকে আটকে রাখবে না এটা সুস্পষ্ট হুকুম ১৪ বছর আগেরাসুল মেয়েদেরকে এই অধিকার দিয়েছিলেন যে তারা ইচ্ছা হলে তো রাখবে ইচ্ছা না হলে রাখবে না। 
কিন্তু পুরুষ ত্রান্তিক ষড়যন্ত্র এমনভাবে পেচি আর সরিয়া আইন করেছে কোর্টে যে কোর্টে আবেদন করতে হবে মাসের পর মাস কখনো বছর ধরে কোট স্বামীর সাথে দিন দরবার পড়বে এবং ওই মহিলাকে ওই স্বামীর সাথে ওই ভাষাতেই থাকতে হবে এটা একটা দাসত্বের শৃঙ্খলা আমরা এটা থেকে কোরআন হাদিস দিয়ে বের হয়ে আসতে পারি।

লেখকের মন্তব্য বাল্যবিবাহের কারণ ও প্রতিকার - বিবাহ বিচ্ছেদের পরের অধিকার

সম্মানিত পাঠক ইসলামিক বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে কিছু তথ্য আপনাদের কাছে তুলে ধরেছি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন ও সঠিকতথ্য পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করুন আর আপনার ভালো লাগার বিষয়টি কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমার এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url